ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ভূমিকম্প বিধ্বস্ত এলাকা পরিদর্শনে এরদোগান

উদ্ধার অভিযান নিয়ে ক্ষোভ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ২১:১১, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

উদ্ধার অভিযান নিয়ে ক্ষোভ

তুরস্কের ভূমিকম্প বিধ্বস্ত কাহরামানমারাস প্রদেশে একটি এলাকায় বুধবার উদ্ধার অভিযান চলছে

ভূমিকম্পের দুদিন পার হয়ে যাওয়ার পরও এখনো শত শত মানুষ আটকা পড়ে আছেন তুরস্কের বিধ্বস্ত বহু ভবনের নিচে। সাধারণ তুর্কিদের অভিযোগ, ধীরগতিতে উদ্ধার অভিযান চালানোয় অনেকে এখন ধ্বংসস্তূপের ভেতর আটকা পড়ে মারা যাচ্ছেন। আর এ বিষয়টি নিয়ে তাদের মধ্যে অসন্তোষের দানা বাঁধছে। বার্তা সংস্থা এএফপি বুধবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল গাজিয়ানতেপের বাসিন্দারা জানিয়েছেন, ভূমিকম্প সংঘটিত হওয়ার ১২ ঘণ্টার মধ্যে এখানে কোনো উদ্ধারকারী আসেননি। তারা আসেন সোমবার সন্ধ্যার পর। রাত নেমে আসায় কয়েক ঘণ্টা পর আবার উদ্ধার অভিযান বন্ধ করে দেন উদ্ধারকারীরা।
 চেলাল দানিজ নামে গাজিয়ানতাপের ৬১ বছর বয়সী এক বাসিন্দা এএফপিকে বলেছেন, ‘মঙ্গলবার সকালে মানুষ বিক্ষোভ শুরু করেন। পুলিশ পরে হস্তক্ষেপ করে।’ দানিজের ভাই ও ভাতিজারা এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে আছেন।
তিনি ক্ষোভ ঝেড়ে বলেন, ‘১৯৯৯ সাল থেকে আদায় করা আমাদের ট্যাক্স কোথায় গেল?’ তুরস্কে ১৯৯৯ সালে ভয়াবহ ভূমিকম্পে ১৭ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হওয়ার পর ‘ভূমিকম্প ট্যাক্স’ আরোপ করে সরকার। বলা হয়েছিল, এমন বড় কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঘটনা ঘটলে সেই ট্যাক্সের অর্থ খরচ করে উদ্ধার কাজ চালানো হবে।
বর্তমানে এ ট্যাক্স বাবদ তোলা ৮৪ বিলিয়ন তার্কিস লিরা (৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার) সরকারি কোষাগারে জমা আছে। এ অর্থ খরচ করে দুর্যোগ প্রতিরোধী কার্যক্রম এবং জরুরি পরিষেবার অবকাঠামো নির্মাণের কথা ছিল। খবার আলজাজিরার। এদিকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান ভূমিকম্প আঘাত হানা অঞ্চল পরিদর্শন করেছেন।

সোমবার ভোরে ভূমিকম্পটি আঘাত হানার পর বুধবার তিনি পরিদর্শনে যান। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। এই ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল তুরস্কের গাজিয়ান্তেপ অঞ্চলে। এরদোগান এর কাছাকাছি শহর কাহরানমারাস পরিদর্শন করেন। কাহরানমারাস ভূমিকম্পে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উদ্ধার ও অনুসন্ধান দল হিমশীতল আবহাওয়ার মধ্যেও উদ্ধার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। 
কাহরামানমারাস পরিদর্শনের পর তিনি পাজারচিক জেলায় যাবেন- এমনটিই জানিয়েছিল রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আনাদুলো। এরপর তার হাতায়ে যাওয়ার কথা রয়েছে। মঙ্গলবার এরদোগান ১০টি জেলায় জরুরি অবস্থা জারি করেন। ভূমিকম্পে তুরস্ক ও সিরিয়ায় বহু মানুষ হতাহত হয়েছেন।

×