ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

জার্মানিতে ব্যাপক ধরপাকড় ॥ আটক ২৫

সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ২১:১৯, ৭ ডিসেম্বর ২০২২

সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র

জার্মানিতে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রে জড়িত অভিযোগে বুধবার ফ্রাঙ্কফুটের হেসেন এলাকায় পুলিশ অভিযান চালিয়ে চক্রান্তের হোতাকে আটক করে

জার্মানিতে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্রের অভিযোগে দেশজুড়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এসব অভিযানে ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অতি ডানপন্থি এবং সামরিক বাহিনী থেকে অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের একটি দল পার্লামেন্ট ভবন রাইখস্ট্যাগে হামলা চালিয়ে ক্ষমতা দখলের পরিকল্পনা করেছিল। ত্রয়োদশ হেনরিখ এইট নামের ৭১ বছরের একজন ব্যক্তি এই ষড়যন্ত্রের প্রধান ব্যক্তি ছিল বলে জানা গেছে। তাকে প্রিন্স হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছিল। খবর বিবিসির।
ফেডারেল প্রসিকিউটররা জানিয়েছেন, দেশটির ১১টি প্রদেশ থেকে গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে দুজনকে পালের গোদা হিসেবে শনাক্ত করেছে তারা। ষড়যন্ত্রকারীদের মধ্যে চরমপন্থি রাইখসবার্গার মুভমেন্টের সদস্যরাও রয়েছে বলে জানা গেছে। এই সংগঠনটির সদস্যরা আধুনিক জার্মান রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে নারাজ। হিংসাত্মক হামলা এবং বর্ণবাদী ষড়যন্ত্র তত্ত্বের জন্য দীর্ঘদিন ধরে তারা পুলিশের নজরদারিতে রয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, উগ্র ডানপন্থি এবং অবসরপ্রাপ্ত কয়েকজন সেনা কর্মকর্তা অভ্যুত্থান পরিকল্পনার সঙ্গে জড়িত। জার্মানির সংসদ ভবনে হামলা চালিয়ে ক্ষমতা দখলের ছক কষেছিলেন তারা। এ সবকিছুর মূল হোতা হলেন হেনরিখ এইট নামের ওই জার্মান নাগরিক। অভ্যুত্থান ঘটানোর পরিকল্পনার সঙ্গে প্রায় ৫০ জন জড়িত আছেন বলে জানিয়েছে জার্মান সংবাদমাধ্যমগুলো। আধুনিক জার্মানির সরকারকে হটিয়ে ১৮৭১ সালের আলোকে সরকার প্রতিষ্ঠা করতে চায় তারা। অভ্যুত্থান পরিকল্পনা ও অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে জার্মানির আইন ও বিচারমন্ত্রী মার্কো বুশম্যান টুইটে লিখেছেন, ‘সন্ত্রাসবিরোধী বড় ধরনের অভিযান চলছে। জার্মানির সাংবিধানিক কাঠামোর ওপর হামলার পরিকল্পনা করা হয়েছিল।’
জার্মানির নির্বাহী কৌঁসুলি আরও জানিয়েছেন, ২০২১ সালের নভেম্বর থেকে এ অভ্যুত্থানের পরিকল্পনা চলছিল। এরসঙ্গে সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তারা জড়িত ছিলেন। তারা এলিট ফোর্সের সাবেক সৈন্যদেরও তাদের সঙ্গে যুক্ত করেছিলেন। অভ্যুত্থান শেষে কীভাবে জার্মানির শাসন কার্যক্রম চলবে এ নিয়েও নিজেদের পরিকল্পনা সাজিয়ে ফেলেছিল তারা। এ ছাড়া তারা বুঝতে পেরেছিল, শুধুমাত্র উগ্র ও সন্ত্রাসী কায়দায় ক্ষমতা দখল সম্ভব। এ কারণে সেভাবেই চলছিল তাদের কার্যক্রম।
জার্মান রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জেডিএফ জানিয়েছে, সংসদের নিম্নকক্ষের একজন সাবেক সদস্যও এর সঙ্গে জড়িত আছেন। ক্ষমতা দখল করতে পারলে তিনি আইন ও বিচারমন্ত্রী হবেন সেটিও ঠিক করে ফেলেছিল উগ্রপন্থি দলটি।

×