ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ইউক্রেনে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা সম্পর্কে রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মন্তব্য

ওদের সমরশক্তি গুঁড়িয়ে দেব

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ২১:১৪, ৭ ডিসেম্বর ২০২২

ওদের সমরশক্তি গুঁড়িয়ে দেব

সের্গেই শোইগু

ইউক্রেনের বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে রুশ হামলার লক্ষ্য হলো দেশটির ‘সামরিক সম্ভাবনা’ গুঁড়িয়ে দেওয়া। এমন মন্তব্য করেছেন রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সের্গেই শোইগু। ইন্টারফ্যাক্সের বরাত দিয়ে বুধবার এক প্রতিবেদনে এ খবর জানা গেছে। খবর আল জাজিরার।
সের্গেই শোইগু বলেন, ইউক্রেনের সামরিক কমান্ড এবং নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, প্রতিরক্ষা শিল্প উদ্যোগ এবং সংশ্লিষ্ট অবকাঠামোতে ব্যাপক হামলা চালাচ্ছে রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী। দেশটির সামরিক সম্ভাবনাকে চূর্ণ করে দিতেই দূরপাল্লার নির্ভুল অস্ত্র দিয়ে এসব হামলা চালানো হচ্ছে। রুশ বাহিনী ডনবাসের বিভিন্ন এলাকা ‘মুক্ত’ করা অব্যাহত রেখেছে বলেও জানান সের্গেই শোইগু।
তিনি বলেন, ‘রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনী ডনবাসকে মুক্ত করে চলেছে। সম্প্রতি মায়োর্স্ক, পাভলোভকা, অপিটনয়ে, আন্দ্রেভকা, বেলোগোরোভকা ইউঝনায়া এবং কুর্দিউমোভকা আমাদের নিয়ন্ত্রণে এসেছে।’
ডনেস্কে ফ্রন্ট লাইনের সেনাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ জেলেনস্কির ॥ ইউক্রেনের ডনেস্ক অঞ্চল পরিদর্শন করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এ সময় সেখানকার ফ্রন্ট লাইনের সেনাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের দপ্তর জানিয়েছে, জেলেনস্কি ডনেস্কের স্লোভিয়ানস্ক অঞ্চলের ফ্রন্ট লাইন পরিদর্শন করেছেন। গত কয়েক মাস ধরে সেখানে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রুশ বাহিনী।  সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করা ভিডিওতে জেলেনস্কিকে একটি শীতকালীন কোট পরিহিত অবস্থায় দেখা গেছে। তার পেছনে ইউক্রেনের পতাকার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ রং ছিল লক্ষণীয়। এ সময় নিহত সেনাদের স্মরণে এক সেকেন্ড নীরবতা পালনের আহ্বান জানান তিনি।
ইউক্রেনের জ্বালানি স্থাপনায় হামলা ‘বেপরোয়া’-জাতিসংঘ ॥ তীব্র শীতে ইউক্রেনের জ্বালানি স্থাপনাগুলোতে রাশিয়ার হামলাকে ‘বেপরোয়া’ বলে মন্তব্য করেছেন জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা বিভাগের প্রধান মার্টিন গ্রিফিথ। তিনি বলেছিলেন, ইউক্রেনের জরুরি সেবা সরবরাহ করা অবকাঠামোগুলোর ওপর মস্কোর সাম্প্রতিক আক্রমণে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়ে গেছে। লাখ লাখ মানুষ তাপ, বিদ্যুৎ ও পানির সংকটে রয়েছে। সৃষ্ট মানবিক সংকট যুদ্ধে আরেকটি ‘বিপজ্জনক মাত্রা’ যোগ করেছে। জাতিসংঘ নিরাপত্তা কাউন্সিলকে গ্রিফিথ জানিয়েছেন, ইউক্রেনে এক কোটি ৪০ লাখ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এদের মধ্যে সাত লাখ ৮০ হাজার মানুষ ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছে। তিনি বলেন, ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৪১৯ শিশুসহ মোট ১৭ হাজার ২৩ জন বেসামরিক নাগরিক যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছেন।

 

×