শক্তিধর পরমাণু অস্ত্রের দেশ হবে উ. কোরিয়া

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উন বলেছেন, বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী পরমাণু ক্ষমতা অর্জনের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে পিয়ংইয়ং। বিজ্ঞানী ও সেনাদের পদোন্নতি প্রদান অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি। কিম তার মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে অনুষ্ঠানে নতুন আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা উদযাপন করেন। রবিবার দেশটির রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এ কথা জানিয়েছে। খবর আলজাজিরার।
পিয়ংইয়ং এখন পর্যন্ত সবচেয়ে শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্রগুলোর অন্যতম হোসং-১৭ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালানোর মাত্র কয়েকদিন পর কিম জং উন তার হোসং-১৭ ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নয়নে অবদানের জন্য ১০০ জনের বেশি কর্মকর্তা এবং বিজ্ঞানীকে পদোন্নতি দিয়েছেন। বিশ্লেষকরা এটিকে দানব ক্ষেপণাস্ত্র বলে অভিহিত করেছে এবং এটি মার্কিন মূল ভূখ-ে পৌঁছাতে সক্ষম বলে ধারণা করা হচ্ছে। সরকারি কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) জানিয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী কৌশলগত অস্ত্র হিসেবে নতুন আইসিবিএমকে (আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র) স্বাগত জানিয়ে কিম বলেন, উত্তর কোরিয়ার বিজ্ঞানীরা ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রে পরমাণু ওয়ারহেড স্থাপনের প্রযুক্তির উন্নয়নে একটি বিস্ময়কর অগ্রগতি অর্জন করেছে। কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দিয়ে তার আদেশে বলা হয়, রাষ্ট্র ও জনগণের মর্যাদা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার জন্য পরমাণু বাহিনী গড়ে তোলা হচ্ছে সর্বশ্রেষ্ঠ এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিপ্লবী কাজ, এর চূড়ান্ত লক্ষ্য হল বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী কৌশলগত এবং দেশের জন্য চূড়ান্ত ও নজিরবিহীন এক বাহিনী গড়ে তোলা। কিম বলেন, শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা এবং বিজ্ঞানীরা উত্তর কোরিয়াকে বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী সেনাবাহিনী গড়ে তোলার লক্ষ্য প্রদর্শন করেছেন।

একটি পৃথক কেসিএনএ রিপোর্টে বলা হয়েছে, নতুন হোসং-১৭ আইসিবিএমের জন্য উৎক্ষেপণকারী যানটিকে ‘ডিপিআরকে হিরো’ উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছে। কোরিয়া ইনস্টিটিউট ফর ন্যাশনাল ইউনিফিকেশনের হং মিন বলেছেন, উত্তর কোরিয়ার হোসং-১৭-এর পরীক্ষা-নিরীক্ষার উদ্দেশ্য ছিল পরমাণু শক্তি হিসেবে এর মর্যাদা উন্নীত করা। এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে সম্প্রতি ফের আন্তঃমহাদেশীয় ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করে উত্তর কোরিয়া। ওনসান এলাকা থেকে এটি পরীক্ষা করা হয়। এটি দেশটির সবচেয়ে শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্রের প্রথম সফল পরীক্ষা, যা উত্তর আমেরিকায় পৌঁছাতে সক্ষম। অঞ্চলটিতে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সামরিক উপস্থিতি বাড়ানোর প্রচেষ্টার প্রতিবাদে এমন পদক্ষেপ নেয় পিয়ংইয়ং। এর মধ্যেই শনিবার কিম জং উনের কাছে চীনা প্রেসিডেন্টের বার্তা পাঠানোর খবর দিল কেসিএনএ। এরপরই উত্তর কোরিয়াকে দুনিয়ার সবচেয়ে শক্তিশালী পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রে পরিণত করার সংকল্পের কথা জানান কিম জং উন।