লন্ডনে আইএসের সঙ্গে সম্পৃক্ত সন্দেহভাজন শতাধিক জিহাদিকে নজরে রেখেছে পুলিশ। যুক্তরাজ্যের সন্ত্রাস দমন বিষয়ক প্রধান সহকারী কমিশনার মার্ক রাউলি এ তথ্য জানিয়েছেন। এছাড়া দেশজুড়ে আরও কয়েক শ’ সন্দেহভাজনকে নজরদারির মধ্যে রাখা হয়েছে। খবর ডেইলি মেইলের।
স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডের শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক গোপন বৈঠকে রাউলি বলেছেন, শুধু লন্ডনেই সিরীয় সম্পৃক্ত ১১৮টি অভিযান চালানো হয়েছে। এই অভিযানগুলোর মধ্যে রয়েছে, চরমপন্থীদের পর্যবেক্ষণ, যারা মধ্যপ্রাচ্যে প্রশিক্ষণ নিয়ে ব্রিটেনে ফিরে এসেছে। পাশাপাশি দেশে গড়ে ওঠা উগ্রপন্থীদেরকেও নজরদারির মধ্যে রাখা, যারা হামলার পরিকল্পনা করতে পারে অথবা সন্ত্রাসীদের জন্য অর্থ সংগ্রহ করছে। ব্রিটেনে প্রথমবারের মতো দেখা গেছে, এখন সন্ত্রাস দমন অভিযানে আটককৃতদের মধ্যে অর্ধেকের বেশি জঙ্গী সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সঙ্গে সম্পৃক্ত। ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইল রবিবার এ তথ্য জানিয়েছে। এছাড়া সিরিয়া সম্পৃক্ত অপরাধের সন্দেহে গত বছর যুক্তরাজ্যজুড়ে ১৮৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। প্যারিসে সন্ত্রাসী হামলার পর ব্রিটেনকে নিরাপদ রাখতে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলো যে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে তা শনিবার স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। এদিন বেলজিয়ামের নম্বরপ্লেটধারী একটি গাড়ি চুরির সন্দেহে তিনজনকে গ্রেফতারের পর সেন্ট্রাল লন্ডনে সশস্ত্র পুলিশ দ্রুত মোতায়েন করা হয় এবং ব্ল্যাকফায়ার্স ব্রিজে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়। পুলিশ পরে নিশ্চিত করেছে যে, তাদের সঙ্গে কোন ধরনের সন্ত্রাসী সম্পৃক্ততা ছিল না। তবে এই অভিযানে রাষ্ট্রের অতিরিক্ত সতর্কতা সবার দৃষ্টিগোচর হয়েছে। এসি রাউলি মেট্রোপলিটিং কমিশনার স্যার বার্নার্ড হোগান-হইসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের বলেন, জুনের পর লাইভ অভিযানের সংখ্যা বেড়ে ৩৯৪-এ উন্নীত হয়েছে এবং জাতীয় অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে ১৫টি অভিযানের মধ্যে ১১টি পরিচালনা করেছে সন্ত্রাস দমন কমান্ড। সম্প্রতি সিরিয়া সম্পর্কিত ১১৮টি অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড বলেছে, গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও নজরদারিও এই অভিযানের অন্তর্ভুক্ত। দেশটির নিরাপত্তা প্রধানদের বিশ্বাস, গত কয়েক বছরে ৭৫০ জনের বেশি ব্রিটিশ নাগরিক ইরাক ও সিরিয়ায় গেছে আইএসের প্রশিক্ষণ নিতে বা ওই বাহিনীর হয়ে যুদ্ধ করতে। এদের মধ্যে, জিহাদি জন নামে পরিচিত ব্রিটিশ শিরñেদকারী মোহাম্মদ এমওয়াজিসহ অনেকেই যুদ্ধ ও বিমান হামলায় নিহত হয়েছে এবং ৪৫০ জনের বেশি পুনরায় ব্রিটেনে ফিরে এসেছে।
যারা সিরিয়া থেকে ফিরে এসেছে, তাদের প্রত্যেকের সঙ্গেই ব্রিটিশ পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা যোগাযোগের চেষ্টা করছে যে, তারা ওই এলাকার জন্য কতটা হুমকি হয়ে উঠেছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: