ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

যুক্তরাষ্ট্র-জার্মানিতে মিছিল-সমাবেশ

ইরানের আন্দোলনে সংহতি বিশ্বজুড়ে বিক্ষোভ

প্রকাশিত: ২৩:২৪, ২৩ অক্টোবর ২০২২

ইরানের আন্দোলনে সংহতি বিশ্বজুড়ে বিক্ষোভ

জার্মানির বার্লিনে মাহসা আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদে সংহতি প্রকাশের জন্য বিক্ষোভকারীরা ইরানের পতাকা ধারণ করে

গত ১৬ সেপ্টেম্বরে ইরানে পুলিশ হেফাজতে কুর্দি নারী মাশা আমিনির (২২) মৃত্যুর প্রতিবাদে চলমান বিক্ষোভে সংহতি জানিয়ে বিশ্বের নানা প্রান্তে বিক্ষোভ হয়েছে। তেহরানের রাজপথ ছাড়িয়ে জার্মানির বার্লিনেও বড় ধরনের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। ইরানের শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে স্লোগান দেন অনেকে। খবর বিবিসি ও এএফপির।
এদিকে মাশা আমিনির মৃত্যু ঘিরে বিক্ষোভকারীদের সমর্থনে রবিবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন, লস অ্যাঞ্জেলেস ও জার্মানির বার্লিনে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল মল থেকে হোয়াইট হাউস অভিমুখে সব বয়সের হাজার হাজার নারী-পুরুষ ইরানের পতাকার সবুজ, সাদা, লাল রঙের পোশাক পরে হেঁটে মিছিল করেছে। গোটা যুক্তরাষ্ট্র থেকে মাঠ পর্যায়ের সংগঠকরা একযোগে এই বিক্ষোভে অংশ নিয়েছেন। এর মধ্যে অনেক ইরানিও ছিলেন। আবার অনেকে টরন্টো থেকে এসে এই মিছিলে শামিল হয়েছেন। ইরানের বাইরে লস অ্যাঞ্জেলেসেই সবচেয়ে বেশি ইরানির বাস।

সেখানে বিক্ষোভকারীরা মিছিল করে ইরান সরকারের পতন দাবি করেছে। শত শত ইরানি পতাকাও উড়িয়েছে তারা। মিছিলে নারী স্বাধীনতা ও ইরানে ন্যায়বিচার চেয়ে স্লোগান দিয়েছে বিক্ষোভকারীরা। ওয়াশিংটন ডিসিতে বিক্ষোভকারীরা স্লোগান দেওয়ার পাশাপাশি জীবন ও স্বাধীনতা বিষয়ক ঐতিহ্যবাহী পার্সি গানও গেয়েছে। জার্মানির বার্লিনে লাখ খানেক মানুষ ইরানের বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে বিক্ষোভ করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ‘উইমেন লাইফ ফ্রিডম কালেকটিভ’ এ বিক্ষোভ আয়োজন করে। জার্মানির বিভিন্ন স্থান এবং ইউরোপের অন্যান্য দেশ থেকেও মানুষ এ বিক্ষোভে শামিল হয়েছে। দোকানদার ও কারখানার শ্রমিকরা রবিবার ইরানে ধর্মঘট করেছে বলে জানা গেছে। এদিন ইরানে আয়োজিত বিক্ষোভের নেতৃত্ব দিয়েছেন নারীরা। মাথার স্কার্ফ খুলে সরকারবিরোধী স্লোগান দেন তারা।

যদিও নিরাপত্তা বাহিনী তাদের থামিয়ে দেয়ার চেষ্টা করে। মাশার মৃত্যুর প্রতিবাদে আন্দোলনে এ পর্যন্ত নিরাপত্তা বাহিনীর হাতে অন্তত ১২২ জন নিহত হয়েছেন বলে দাবি করছে মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো। ইরানে বড় ধরনের বিক্ষোভের আয়োজনের আভাস পেয়ে সরকার ইন্টারনেট পরিষেবার ওপর কড়াকড়ি আরোপ করে। যেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা ছড়িয়ে না দেওয়া যায়। কত সংখ্যক মানুষ জড়ো হয়েছিল তা নির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি। এ প্রসঙ্গে এক বিক্ষোভকারী বলেন, আমরা স্বাধীনতার জন্য একসঙ্গে লড়ব। ইরানের উপ-স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাজিদ মিরাহমাদি রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘তাদের বিক্ষোভের দিন শেষ। কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে তারা জমায়েত হয়। আন্দোলনে অংশ নেওয়া মানুষের সংখ্যা প্রতিদিনই কমছে। বিক্ষোভের শেষ দিন চলে এসেছে’। নেদারল্যান্ডস থেকে এসে বার্লিনের এই বিক্ষোভে যোগ দেয়া এক ইরানি বলেন, আমাদের এখানে শামিল হওয়া, ইরানের জনগণের কণ্ঠ হওয়া জরুরি।

 

×