
দামেস্কের মধ্যাঞ্চলে ইসরাইলি হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত সিরিয়ান জেনারেল স্টাফ সদর দফতর
ফিলিস্তিন ও লেবাননের পর এবার সিরিয়ায় বড় আকারের বিমান হামলা শুরু করেছে ইসরাইল। গত সোমবার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত দক্ষিণ সিরিয়ার সোয়েইদা ও এর আশপাশের এলাকায় সরকারি বাহিনীর অবস্থান লক্ষ্য করে অন্তত ১৬০টি আঘাত হেনেছে ইসরাইলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ)। এ ছাড়া আইডিএফ সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে হামলা চালিয়েছে এবং দামেস্কের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের একটি অংশেও বোমাবর্ষণ করেছে। এই হামলায় কয়েক ডজন বা তারও বেশি সিরীয় সেনা নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। খবর জেরুসালেম পোস্টের।
আইডিএফ সূত্র জানিয়েছে, তারা সিরিয়ার বাহিনীকে সোয়েইদা থেকে সরাতে এবং সিরীয় দ্রুজদের জন্য স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করতে অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য সামরিক অভিযান চালাতে প্রস্তুত রয়েছে। এদিকে সিরিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে তুর্কি সংবাদমাধ্যম আনাদোলু এজেন্সি জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে ইসরাইলি বিমান হামলায় কমপক্ষে তিনজন নিহত এবং ৩৪ জন আহত হয়েছে। সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সানা জানিয়েছে, ইসরাইলি যুদ্ধবিমান জেনারেল স্টাফ কমপ্লেক্স এবং প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ কাসর আল শাবে হামলা চালিয়েছে।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী (আইডিএফ) বিমান হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে এবং প্রেসিডেন্ট প্রাসাদে হামলাকে সতর্কতামূলক হামলা বলে অভিহিত করে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বহু ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে যেখানে দামেস্কে ইসরাইলি হামলার মুহূর্তগুলো দেখানো হয়েছে, যেখানে এলাকা থেকে ধোঁয়া উড়ছে। ইসরাইলি সেনাবাহিনীও হামলার ভিডিও প্রকাশ করেছে। সানা আরও জানিয়েছে, ইসরাইলি যুদ্ধবিমানগুলো দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ দারা ও রাজধানী দামেস্কের কাতানা শহরে বেশ কয়েকটি বিমান হামলা চালায়।
বুধবার ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাটজের হুমকির পর পরই এই হামলা চালানো হয়। গত ১৩ জুলাই দামেস্ক অভিমুখী মহাসড়কে সুন্নি বেদুঈন গোত্রের সশস্ত্র সদস্যরা একজন দ্রুজ গোত্রীয় সবজি বিক্রেতাকে অপহরণ করেন। এরপর প্রতিশোধমূলক পাল্টা অপহরণ শুরু হয়। সেখান থেকেই সংঘাতের সূত্রপাত। অপহরণের শিকার হওয়া ব্যক্তিরা এক পর্যায়ে মুক্তি পেলেও সংঘাত বন্ধ হয়নি।
প্যানেল হু