
ছবি: সংগৃহীত
পানীয়ের মধ্যে জনপ্রিয় নারকেলের পানি। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যারা ডায়াবেটিস, কিডনি সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ বা অ্যালার্জিতে ভুগছেন, তাদের জন্য নারকেলের পানি হতে পারে বিপজ্জনক। নিম্নে বিস্তারিত কারণ ও সতর্কতার পরামর্শ তুলে ধরছি:
নারকেলের পানি যারা এড়িয়ে চলবেন:
১. ডায়াবেটিসে আক্রান্ত:
২০০ মি.লি. পানিতে প্রায় ৬–৭ গ্রাম স্বতঃসিদ্ধ চিনি রয়েছে যা রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা দ্রুত বাড়িয়ে দিতে পারে। যেসব নারকেলের প্যাকেজড সংস্করণে অতিরিক্ত চিনি যুক্ত থাকে, তা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণটা কঠিন করে দেয়।
২. অ্যালার্জির প্রবণতা আছে:
যদিও নারকেল অ্যালার্জির ঘটনা কম, সত্ত্বেও এটি চামড়া প্রদাহ, চোখে লাল ভাব, শ্বাসকষ্ট বা এখানে পর্যন্ত অ্যানাফাইলাকসিসের কারণ হতে পারে। অ্যালার্জির ইতিহাস থাকলে নারকেলের পানি খাওয়ার আগে সতর্ক থাকুন।
৩. কিডনি সমস্যায় ভুগলে:
কিডনির কার্যকারিতা ঠিক না থাকলে, শরীরে পটাশিয়াম জমে যাওয়ার ফলে হাইপারকালেমিয়া হতে পারে, যা সংকল্পে অনিয়মিত হৃদস্পন্দন, মাংসপেশিতে দুর্বলতা ও শ্বাসকষ্টের কারণ হতে পারে।
৪. সর্দি, কাশি বা ফ্লুতে:
আয়ুর্বেদ মতে, নারকেলের পানি ‘প্রাকৃতিকভাবে ঠান্ডা’—যা গলা ব্যথা বা ঠান্ডা জ্বরের সময় কষ্ট বাড়াতে পারে।
৫. উচ্চ রক্তচাপের ওষুধ সেবনে:
যেসব মানুষ ACE inhibitors বা potassium-sparing diuretics নিচ্ছেন, তাদের শরীরে অতিরিক্ত পটাশিয়াম বাড়লে বিপদ হতে পার। যেমনয, হার্টে সমস্যা, গ্যাস্ট্রিক ব্যথা।
৬. ইলেকট্রোলাইট-কন্ট্রোল ডায়েট পালনকারীরা:
নারকেলের পানি উচ্চ পটাশিয়াম, সোডিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের মিশ্রণ। অতিরিক্ত গ্রহণ করলে শরীরের ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্য ভেঙে ফেলতে পারে।
মুমু ২