
ছবি: সংগৃহীত
টাইমস অব ইন্ডিয়ার একটি সাম্প্রতিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রতিদিনের নাস্তার তালিকায় থাকা ‘ক্রিম বিস্কুট’ স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। শিশু থেকে শুরু করে বড়দের টিফিন কিংবা অফিস ড্রয়ারে সহজেই পাওয়া যায় এই বিস্কুট। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর উপাদানগুলো শরীরের জন্য দীর্ঘমেয়াদে হতে পারে মারাত্মক ক্ষতির কারণ।
ক্রিম বিস্কুটে ব্যবহৃত হয় হাইড্রোজেনেটেড তেল যা ট্রান্স ফ্যাটে পরিপূর্ণ। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় বলা হয়েছে, এই ফ্যাট শরীরে LDL (খারাপ কোলেস্টেরল) বাড়ায় এবং HDL (ভালো কোলেস্টেরল) কমিয়ে দেয়। যার ফলে হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি বহুগুণে বাড়ে।
এই বিস্কুটগুলো রিফাইন্ড ময়দা, কৃত্রিম ফ্লেভার, চিনি ও অতিরিক্ত অ্যাডিটিভস দিয়ে তৈরি। এতে নেই ফাইবার, প্রোটিন বা ভিটামিন, ফলে শরীর পায় না কোনও পুষ্টিগুণ। ২০২৫ সালের BMC Public Health জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, ১০% বেশি আল্ট্রা-প্রসেসড খাবার খেলে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি ১৩% বাড়ে, ওবেসিটির ঝুঁকি বাড়ে ৫%।
রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেট ও চিনি দ্রুত হজম হওয়ায় রক্তে গ্লুকোজ হঠাৎ বেড়ে যায়। এতে শরীরে সাময়িক শক্তি এলেও কিছুক্ষণ পরেই দেখা দেয় ক্লান্তি, বিরক্তি এবং আরও খাওয়ার ইচ্ছা। এভাবে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্স ও প্রিডায়াবেটিসের ঝুঁকি তৈরি হয়।
নিয়মিত ক্রিম বিস্কুট খাওয়ার ফলে হতে পারে—
- ওজন বৃদ্ধি ও পেটের চর্বি জমা
- খারাপ কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়া
- ফ্যাটি লিভার ও হরমোনাল ইমব্যালেন্স
- অতিরিক্ত processed food এর প্রতি আসক্তি
- শুধু একটি বিস্কুট ক্ষতি না করলেও, প্রতিদিন খাওয়া বিপজ্জনক হতে পারে, বিশেষ করে যারা কম চলাফেরা করেন।
ক্রিম বিস্কুট একেবারে বাদ দেওয়ার দরকার নেই। বরং মাঝে মাঝে খাওয়া যেতে পারে। তবে সচেতনভাবে কিছু স্বাস্থ্যকর বিকল্প বেছে নেওয়া যেতে পারে:
- হোল গ্রেইন ক্র্যাকারস ও নাট বাটার
- ৭০% বা তার বেশি কোকোযুক্ত ডার্ক চকলেট
- ফল ও দই
মুমু ২