
প্রোটিন হলো শরীর গঠনের একটি অত্যাবশ্যক উপাদান। যারা ওজন কমাতে চান, পেশি গঠন করতে চান কিংবা দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে চান, তাদের জন্য প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাদাম হলো এমনই একটি প্রাকৃতিক প্রোটিনের উৎস, যা সহজলভ্য ও পুষ্টিকর। নিচে তুলে ধরা হলো সর্বাধিক প্রোটিনসমৃদ্ধ ৪টি বাদাম এবং দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় এগুলো যুক্ত করার উপায়:
১. বাদাম (Peanuts)
প্রোটিন পরিমাণ: প্রতি ১০০ গ্রামে প্রায় ২৫ গ্রাম প্রোটিন।
খাওয়ার উপায়:
- সকালের নাস্তায় ১ মুঠো ভেজানো বাদাম।
- স্মুদি, সালাদ বা চিড়ার সাথে মিশিয়ে খাওয়া যায়।
- চিনাবাদাম মাখন (peanut butter) পাউরুটি বা ফলের সঙ্গে খাওয়া যেতে পারে।
২. বাদাম/আখরোট (Almonds)
প্রোটিন পরিমাণ: প্রতি ১০০ গ্রামে প্রায় ২১ গ্রাম প্রোটিন।
খাওয়ার উপায়:
- প্রতিদিন সকালে ৫-৭টি ভেজানো বাদাম খাওয়া ভালো।
- সালাদ, ওটস বা দইয়ে কুচি করে মেশাতে পারেন।
- কাজের ফাঁকে স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস হিসেবে খাওয়া যায়।
৩. পেস্তা (Pistachios)
প্রোটিন পরিমাণ: প্রতি ১০০ গ্রামে প্রায় ২০ গ্রাম প্রোটিন।
খাওয়ার উপায়:
- বিকেলের নাশতায় ১ মুঠো পেস্তা।
- ঘরের তৈরি মিষ্টি বা হালুয়া সাজাতে ব্যবহার করা যায়।
- দুধ বা স্মুদির সঙ্গে মিলিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
৪. কাজু (Cashews)
প্রোটিন পরিমাণ: প্রতি ১০০ গ্রামে প্রায় ১৮ গ্রাম প্রোটিন।
খাওয়ার উপায়:
- ভেজে বা কাঁচা অবস্থায় সরাসরি খাওয়া যায়।
- সবজি/মাংস রান্নায় ব্যবহার করলে স্বাদ ও পুষ্টি বাড়ে।
- কাজুবাদাম পেস্ট করে কারি বা গ্রেভিতে ব্যবহার করা হয়।
প্রতিদিন ২০-৩০ গ্রাম বাদাম খাওয়া নিরাপদ ও উপকারী। তবে যাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয় বা অ্যালার্জি আছে, তাদের চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে খাওয়া উচিত। সঠিক নিয়মে বাদাম খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে এটি হতে পারে আপনার শরীরের শক্তির চাবিকাঠি। তাই আজ থেকেই আপনার খাদ্যতালিকায় যুক্ত করুন এই প্রোটিনসমৃদ্ধ বাদামগুলো।
আঁখি