ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২২ জুলাই ২০২৫, ৬ শ্রাবণ ১৪৩২

হঠাৎ মাথা ঘোরা: কোন অসুস্থতার লক্ষণ, কীভাবে প্রতিরোধ সম্ভব?

প্রকাশিত: ২০:০৯, ২১ জুলাই ২০২৫

হঠাৎ মাথা ঘোরা: কোন অসুস্থতার লক্ষণ, কীভাবে প্রতিরোধ সম্ভব?

ছবি: সংগৃহীত।

হঠাৎ মাথা ঘোরা অনেকেরই পরিচিত অভিজ্ঞতা। তবে এই সাধারণ উপসর্গটির পেছনে লুকিয়ে থাকতে পারে বেশ কয়েকটি গুরুতর শারীরিক সমস্যা। চিকিৎসকদের মতে, মাথা ঘোরা একদিকে যেমন অস্থায়ী অস্বস্তি, অন্যদিকে তা হতে পারে হৃদরোগ, মস্তিষ্কজনিত সমস্যা বা শরীরের রক্তচাপজনিত সংকেত।

মাথা ঘোরার সম্ভাব্য কারণ:
১. লো ব্লাড প্রেসার বা হাই ব্লাড প্রেসার – রক্তচাপের ওঠানামায় হঠাৎ মাথা ঘোরে।
২. ডিহাইড্রেশন বা পানিশূন্যতা – পর্যাপ্ত পানি না খেলে শরীর দুর্বল হয়ে মাথা ঘোরে।
৩. রক্তে শর্করার তারতম্য – হাইপোগ্লাইসেমিয়া বা ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে রক্তে সুগার কমে গেলে মাথা ঘোরে।
৪. কান বা ভারসাম্যজনিত সমস্যা (ভেস্টিবুলার ডিসঅর্ডার) – ভেতরের কানে সংক্রমণ বা অসুবিধায় ভারসাম্য হারিয়ে মাথা ঘোরে।
৫. আনন্দনালিকা (anemia) – শরীরে হিমোগ্লোবিন কমে গেলে অক্সিজেনের সরবরাহ ব্যাহত হয়, ফলে মাথা ঘোরা দেখা দেয়।
৬. ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া – ঘুমের ওষুধ, উচ্চ রক্তচাপ বা বিষণ্ণতার ওষুধে অনেক সময় মাথা ঘোরে।
৭. স্নায়বিক সমস্যা বা স্ট্রোকের পূর্বলক্ষণ – মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহ কমে গেলে মাথা ঘোরার পাশাপাশি ঝাপসা দেখা বা ভারসাম্যহীনতা দেখা দিতে পারে।

 

কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি?
মাথা ঘোরার সঙ্গে বুক ধড়ফড়, বমি, ঝাপসা দেখা, কথা জড়িয়ে যাওয়া বা একপাশ অবশ অনুভব করলে তাৎক্ষণিক চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।

 

যদি মাথা ঘোরার ঘটনা নিয়মিত হতে থাকে, তবে তার পেছনের মূল কারণ নির্ধারণে মেডিকেল চেকআপ জরুরি।

 

প্রতিরোধের উপায়:
দিনে ৮-১০ গ্লাস পানি পান করুন।
হঠাৎ বিছানা থেকে উঠে দাঁড়াবেন না; ধীরে উঠুন।
পুষ্টিকর খাদ্য গ্রহণ করুন, বিশেষ করে আয়রন ও ভিটামিন বি১২ সমৃদ্ধ খাবার।
রক্তচাপ ও রক্তে চিনি নিয়মিত মাপুন।
দীর্ঘক্ষণ না খেয়ে থাকবেন না, ছোট ছোট বিরতিতে খাওয়া বজায় রাখুন।
পর্যাপ্ত ঘুম ও বিশ্রাম নিন।
নিয়মিত হালকা ব্যায়াম করুন, যা রক্তসঞ্চালন উন্নত করে।

মাথা ঘোরাকে কখনোই হালকাভাবে নেবেন না। বারবার হলে চিকিৎসা না নিলে তা বড় বিপদের কারণ হতে পারে। তাই লক্ষণ দেখলেই সতর্ক হোন, সচেতন থাকুন।

মিরাজ খান

×