
অনিয়ন্ত্রিত খাবার, অলস জীবনধারা ও অস্বাস্থ্যকর অভ্যাস—এই ত্রয়ীর কারণে সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়ে আমাদের লিভার। বিশেষ করে অতিরিক্ত তৈলাক্ত ও প্রক্রিয়াজাত খাবার, মদ্যপান ও চিনি জাতীয় খাদ্য নিয়মিত গ্রহণ করলে লিভারে চর্বি জমতে শুরু করে। এতে বাড়ে ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি। অথচ চাইলে প্রতিদিনের খাবার তালিকায় কিছু সাধারণ উপাদান যুক্ত করলেই লিভারকে রাখা যায় সুস্থ, সতেজ ও বিষমুক্ত।
বিশেষজ্ঞদের মতে, লিভার পরিষ্কারে প্রতিদিন ডিটক্স ওয়াটার বা ব্যয়বহুল কোনো পানীয় খাওয়ার প্রয়োজন নেই। বরং কয়েকটি সহজলভ্য খাবারই হতে পারে প্রাকৃতিক প্রতিরোধ। নিচে থাকছে এমন সাতটি কার্যকর খাবার—
শাকপাতা
সবুজ শাকে থাকা প্রাকৃতিক ক্লোরোফিল লিভারে পিত্ত উৎপাদনে সাহায্য করে। এটি শরীর থেকে টক্সিন ও চর্বি অপসারণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তাই প্রতিদিন অন্তত একবার শাক খাওয়ার অভ্যাস করুন।
রসুন
রসুনে থাকা অ্যালিসিন ও সেলেনিয়াম লিভারের বিষাক্ত পদার্থ দূর করতে সহায়তা করে। প্রতিদিন মাত্র ১-২ কোয়া রসুন খাওয়ার অভ্যাস আপনাকে দূরে রাখতে পারে ফ্যাটি লিভার থেকে।
হলুদ
হলুদের কারকিউমিন নামের যৌগটি দারুণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও প্রদাহনাশক হিসেবে কাজ করে। এটি লিভার পরিষ্কার রাখে এবং প্রদাহ কমায়।
আপেল
আপেলে থাকা পেকটিন নামের ফাইবার হজমপ্রক্রিয়া উন্নত করে, যা পরোক্ষভাবে লিভার ও অন্ত্রের স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়ক। রোজ একটি করে আপেল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন।
গ্রিন টি
গ্রিন টি-তে আছে ক্যাটেচিন নামের উপাদান, যা ফ্যাটি লিভার কমাতে, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে ও ওজন কমাতে সাহায্য করে। দিনে ২-৩ কাপ গ্রিন টি হতে পারে কার্যকর লিভার টনিক।
লেবুজাতীয় ফল
লেবু, কমলা, মাল্টা ইত্যাদিতে থাকে উচ্চমাত্রার ভিটামিন সি, যা লিভার ডিটক্সে সহায়তা করে। সকালে হালকা গরম পানিতে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে এর কার্যকারিতা আরও বাড়ে।
কপিজাতীয় সবজি
ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রকোলি বা ওলকপিতে গ্লুকোসিনোলেটস নামের এনজাইম থাকে, যা লিভার থেকে বিষাক্ত উপাদান বের করে শরীরকে রাখে সতেজ ও সুস্থ।
পরামর্শ:
শরীরের প্রধান ফিল্টার লিভার। একে অবহেলা করলে তার প্রভাব পড়ে পুরো শরীরেই। তাই জিম না করলেও চলবে, দামি ডিটক্স পানীয় না খেলেও চলবে—কিন্তু খাদ্যতালিকায় উপকারী খাবার রাখতে ভুললে চলবে না।
Mily