ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টে আতঙ্ক, দরকার সচেতনতা ও সাবধানতা

প্রকাশিত: ১০:৩৬, ১৩ জুন ২০২৫

করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্টে আতঙ্ক, দরকার সচেতনতা ও সাবধানতা

ছবিঃ সংগৃহীত

বিশ্ব এখনও করোনা মহামারির ছায়া থেকে পুরোপুরি মুক্ত হয়নি। যদিও প্রাণঘাতী রূপগুলো অনেকটাই দুর্বল হয়ে এসেছে, তবে ভাইরাসের নতুন রূপগুলো মাঝে মধ্যেই বিশ্ববাসীর মনে উদ্বেগ তৈরি করছে। সম্প্রতি করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টের একটি সাবভ্যারিয়েন্ট XBP আবারও নজরে এসেছে।

২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ে প্রথম শনাক্ত হওয়া XBP ধীরে ধীরে শক্তি সঞ্চয় করে বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এর সংক্রমণ ক্ষমতা অনেক বেশি। এমনকি যারা আগে আক্রান্ত হয়েছেন বা টিকা নিয়েছেন, তাদের শরীরেও এ ভ্যারিয়েন্ট প্রবেশ করতে পারছে কিছুটা সহজেই।

তবে আশার কথা হলো—এই ভ্যারিয়েন্টে মারাত্মক অসুস্থতা বা মৃত্যুর হার এখনও খুব কম। Global Virus Network (GVN) জানিয়েছে, এটি এখনো ‘রেড লাইন’ অতিক্রম করেনি।

উপসর্গে ভিন্নতা

ডেল্টা কিংবা প্রাথমিক ওমিক্রনের মতো মারাত্মক জ্বর বা শ্বাসকষ্ট নতুন ভ্যারিয়েন্টে খুব বেশি দেখা যাচ্ছে না। অনেক ক্ষেত্রেই আক্রান্ত ব্যক্তি টেরই পান না যে তিনি করোনা পজিটিভ। কেউ কেউ হালকা জ্বর, মাথাব্যথা, গলা ও গাঁটে ব্যথা অনুভব করছেন। অনেক সময় কাশি বা সর্দি-জ্বর ছাড়া অন্য উপসর্গও থাকে না।

করণীয় কী?

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই, তবে সচেতন না হলে ঝুঁকি বাড়তে পারে। তাই আবারও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার তাগিদ দিচ্ছেন চিকিৎসকেরা।

  • বাইরে গেলে মাস্ক পরতে হবে

  • হালকা জ্বর বা সর্দি হলেও ডাক্তার দেখাতে হবে

  • যদি তিন দিনের বেশি জ্বর থাকে, তাহলে অবশ্যই করোনা টেস্ট করানো উচিত

  • করোনা পজিটিভ হলে আইসোলেশনে থাকা জরুরি

ভারতের কিছু অঞ্চলে নতুন করে সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। তাই বাংলাদেশেও সতর্কতা অবলম্বন করা জরুরি।

শেষ কথা

আবারও সেই পুরনো সচেতনতা ও স্বাস্থ্যবিধির দিনগুলোকে ফিরিয়ে আনার সময় এসেছে। আতঙ্ক নয়, সচেতনতা ও স্বাস্থ্যসচেতন আচরণই পারে নতুন ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণ রোধ করতে।

আলীম

×