
ছবি: সংগৃহীত
গ্রীষ্মকাল মানেই পথের ধারে কাঁঠাল বিক্রেতার ডাক, দুপুরে ঘরোয়া কাঁঠালের তরকারি কিংবা পাকা কাঁঠালের মিষ্টি গন্ধে ভরা বিকেল। কিন্তু এই কাঁঠাল শুধুমাত্র স্বাদের জন্য নয়—এতে রয়েছে বিভিন্ন পুষ্টিগুন। অনেকেই একে মাংসের বিকল্প হিসেবে চিনলেও কাঁঠালের ভেতরে লুকিয়ে আছে শরীর, মন ও ত্বকের জন্য দুর্দান্ত কিছু উপকারিতা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কাঁঠাল আমাদের হজম শক্তি, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ, ত্বকের স্বাস্থ্য এবং এমনকি মনের অবস্থার উন্নতিতে সহায়তা করতে পারে। নিচে তুলে ধরা হলো এই ফলের অজানা ৬টি গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা:
১. ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
কাঁঠালে আছে উচ্চমাত্রার ফাইবার ও জটিল কার্বোহাইড্রেট, যা ধীরে হজম হয়। ফলে অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে এবং হঠাৎ খিদে পাওয়ার প্রবণতা কমে। এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
২. হজম শক্তি বৃদ্ধি ও অন্ত্রের সুস্থতা
ফাইবার হজমের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। কাঁঠালে থাকা প্রাকৃতিক প্রিবায়োটিক উপাদান অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়া বাড়াতে সাহায্য করে, যা হজম ও মলত্যাগ স্বাভাবিক রাখে।
৩. শক্তির উৎস
প্রসেসড কার্বোহাইড্রেট যেমন হঠাৎ শক্তি দেয় এবং দ্রুত হ্রাস পায়, কাঁঠাল তার বিপরীত। এতে থাকা প্রাকৃতিক চিনি ও পুষ্টিগুণ ধীরে শক্তি প্রদান করে এবং রক্তে শর্করার হঠাৎ বৃদ্ধির আশঙ্কা কমায়।
৪. ত্বকের উজ্জ্বলতা ও অ্যান্টি-এজিং প্রভাব
কাঁঠালে রয়েছে ভিটামিন C এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ত্বকে অক্সিডেটিভ চাপ কমাতে সাহায্য করে। এটি ত্বককে উজ্জ্বল রাখতে এবং কোলাজেন উৎপাদনে সহায়তা করে।
৫. রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক
কাঁঠালে থাকা পটাশিয়াম দেহের সোডিয়াম ব্যালেন্স রক্ষা করে, যা স্বাভাবিক রক্তচাপ বজায় রাখতে সহায়তা করে। এটি হৃদ্রোগের ঝুঁকিও কমাতে পারে।
৬.মানসিক চাপ কমায়
কাঁঠালে আছে ভিটামিন বি৬, যা ‘সেরোটোনিন’ নামক হরমোন তৈরিতে সাহায্য করে। এই হরমোনই মেজাজ ভালো রাখা ও মানসিক চাপ কমানোর জন্য দায়ী।
মুমু