ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ০৯ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২

ভাত খেয়ে পেটের ক্ষুধা মেটাতে গিয়ে হাসপাতালে না যেতে চাইলে বিষয়গুলো জেনে রাখুন

প্রকাশিত: ১৫:৫৬, ২৪ এপ্রিল ২০২৫; আপডেট: ১৫:৫৮, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

ভাত খেয়ে পেটের ক্ষুধা মেটাতে গিয়ে হাসপাতালে না যেতে চাইলে বিষয়গুলো জেনে রাখুন

ছবি: সংগৃহীত

রান্না করা ভাত পুনরায় গরম করে খাওয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা জরুরি, কারণ এতে Bacillus cereus নামক একটি ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে, যা খাদ্য বিষক্রিয়ার জন্য দায়ী। এই ব্যাকটেরিয়া উচ্চ তাপমাত্রাতেও বেঁচে থাকতে পারে এবং বমি, ডায়ারিয়ার মতো লক্ষণ সৃষ্টি করতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ অনুযায়ী, নিরাপদে ভাত গরম করার জন্য কিছু নিয়ম মেনে চলা উচিত:

  • রান্নার আগে ও পরে ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিতে হবে।

  • ভাত রান্না করার সময় অবশ্যই উচ্চ তাপে ভালোভাবে সিদ্ধ করতে হবে।

  • রান্নার পর ভাত দ্রুত ঠান্ডা করে ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে হবে। ১ ঘণ্টার বেশি বাইরে রাখা উচিত নয়।

  • রেফ্রিজারেটরে ভাত ৩-৪ দিনের বেশি রাখবেন না, আর ফ্রিজে জমিয়ে রাখলে ৩-৪ মাসের মধ্যে খেয়ে ফেলুন।

পুনরায় গরম করার পদ্ধতি:

ভাত গরম করার সময় অবশ্যই তা যেন পুরোপুরি গরম হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে।

  • মাইক্রোওয়েভে গরম করতে চাইলে প্রতিকাপ ভাতে ১-২ চামচ পানি দিয়ে হালকা ঢেকে গরম করতে হবে।

  • চুলায় বা প্যানে ভাজতে চাইলে তেল ও পানি দিয়ে মাঝারি আঁচে নেড়েচেড়ে গরম করুন।

  • গরম করার পর ভাতের তাপমাত্রা কমপক্ষে ১৬৫°F হয়েছে কি না, তা থার্মোমিটার দিয়ে মেপে দেখতে পারেন।

বিশেষজ্ঞরা জানান, ভাত একবারের বেশি গরম করা উচিত নয়, কারণ এতে খাদ্য বিষক্রিয়ার ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়।

খাদ্য বিষক্রিয়ার প্রাথমিক লক্ষণ হলো:
ডায়ারিয়া, বমি, পেটব্যথা, জ্বর ও কাঁপুনি। সাধারণত এসব লক্ষণ স্বল্পমেয়াদী হলেও যদি ৪৮ ঘণ্টার বেশি স্থায়ী হয় বা অবস্থা খারাপ হয়, তবে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত।

পরিশেষে, সঠিকভাবে সংরক্ষণ ও গরম করা হলে ভাত খাওয়ার ক্ষেত্রে কোনো ঝুঁকি নেই। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সচেতনতা ও খাবার হাইজিন মেনে চলাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।

 

সূত্র: https://www.medicalnewstoday.com/articles/322775#conclusion

আবীর

×