ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১৭ জুন ২০২৪, ৩ আষাঢ় ১৪৩১

সুপার স্পেশালাইজ হাসপাতালে বিশ্ব থাইরয়েড দিবস পালিত

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২২:০৫, ২৫ মে ২০২৪

সুপার স্পেশালাইজ হাসপাতালে বিশ্ব থাইরয়েড দিবস পালিত

সেমিনারে বক্তারা।

বিশ্ব থাইরয়েড দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে থাইরয়েড জনিত রোগের সচেতনতা বাড়াতে রাজধানীর সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের হল রুমে একটি সায়েন্টিফিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে৷ এসোসিয়েশন অব এন্ডোক্রিনোলজিষ্ট এন্ড ডায়াবেটোলজিষ্ট অব বাংলাদেশ (এএসইডিবি) থাইরয়েড হরমোন ফোকাল গ্রুপ এ সেমিনারের আয়োজন করে৷ সেমিনারে সায়েন্টিফিক পার্টনার হিসেবে সার্বিক সহযোগিতা করেছে রেনাটা লিমিটেড। 

এবারের বিশ্ব থাইরয়েড দিবস ২০২৪ এর প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল- ‘থাইরয়েড হরমোন জনিত রোগ-অসংক্রামক রোগ।’ 

সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নন কমিউনিকেবল ডিজিসেস কন্ট্রোল প্রোগ্রামের সন্মানিত লাইন ডিরেক্টর প্রফেসর ডা. রোবেদ আমিন, এসোসিয়েশন অব ক্লিনিক্যাল এন্ডোক্রাইনোলজিষ্ট এন্ড ডায়াবেটোলজিষ্ট অব বাংলাদেশের (এসিইডিবি) সভাপতি প্রফেসর ডা. ফরিদ উদ্দিন, ওবসটেট্রিক্যাল এন্ড গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশের (ওজিএসবি) সভাপতি প্রফেসর ফারহানা দেওয়ান, এসিইডিবির সেক্রেটারি জেনারেল প্রফেসর ডা. ইন্দ্রজিত প্রসাদ, ওজিএসবির সেক্রেটারি জেনারেল প্রফেসর ডা. সালমা রউফ সহ আরো বিশেষজ্ঞ ডাক্তারবৃন্দ। 

সেমিনারে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডা. রোবেদ আমিন বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষের মধ্যে সাড়ে তিন কোটি মানুষ থাইরয়েড জনিত রোগে আক্রান্ত। এই রোগ নিয়ে আগে আমাদের লাছে তেমন উল্লেখ করার মত কোন তথ্য-উপাত্ত ছিল না। কিন্তু বর্তমানে এ রোগের বিষয়ে সচেতনতা বাড়ছে। দেশের সাধারন মানুষকে সহজ সরল ভাষায় এ রোগ সম্পর্কে জানাতে হবে, সচেতনতা বাড়াতে হবে। এ জন্য প্রয়োজন সঠিক গবেষণা। ২০৪১ সালের মধ্যে সরকার যে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার পরিকল্পনা গ্রহন করেছে সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে স্মার্ট মানুষ গড়তে হবে। আর স্মার্ট মানুষ মানে স্বাস্থ্যবান এবং স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ।’

ওজিএসবি'র সভাপতি প্রফেসর ডা. ফারহানা দেওয়ান বলেন, ‘থাইরয়েড রোগ সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানোর কোন বিকল্প নাই। এই সচেতনতা বাড়াতে ডাক্তারদের পাশাপাশি দেশের গণমাধ্যমের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে৷ একটি স্বাস্থ্য সচেতন জাতি গড়তে সবাই একযোগে কাজ করলে অবশ্যই আমরা সফল হতে পারব বলে আমি বিশ্বাস করি৷’

এইসিডিবি'র সভাপতি প্রফেসর ডা. ফরিদ উদ্দিন বলেন, ‘থাইরয়েডের বিশ্বমানের চিকিৎসা এখন বাংলাদেশেই হচ্ছে। দেশে এখন ৩০০ জনেরও বেশি থাইরয়েড বিশেষজ্ঞ রয়েছে। এ রোগের চিকিৎসা নিতে এখন আর বিদেশ যেতে হবে না। থাইরয়েড জনিত রোগে এখন শুধু প্রয়োজন সচেতনতা এবং সঠিক সময়ে সঠিক চিকিৎসা।’ 

সেমিনারের শুরুতে থাইরয়েড নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন এসিইডিবি'র অর্গানাইজিং সেক্রেটারি প্রফেসর ডা. মুর্শেদ আহমেদ খান এবং ওজিএসবি'র লাইফ মেম্বার প্রফেসর ডা. তাবাচ্ছুম পারভিন। এরপর সেমিনারে উপস্থিত ডাক্তারদের সাথে একটি প্রশ্ন-উত্তর পর্ব সেশন ছিল৷ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত ডাক্তাররা আলোচকদের বিভিন্ন থাইরয়েড জনিত ইস্যু নিয়ে প্রশ্ন করেন। পরে সেমিনারে উপস্থিত একঝাক মেডিকেল বিশেষজ্ঞ থাইরয়েড জনিত রোগ নিয়ে তাদের গুরুত্বপূর্ণ মতামত ব্যক্ত করেন।

এম হাসান

×