
আহত অভিনয়শিল্পী শিশির সরদার (বাঁয়ে), চিত্রনায়িকা রাজ রিপা (ডানে)
দেশের শোবিজ অঙ্গনে আবার সরগরম শুরু হয়েছে। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে দেশের নাট্যশিল্প। টিভি নাটক থেকে দর্শক মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে আগে থেকেই। অন্ধকার থেকে যখন আলোর পথে অগ্রসর হতে চলেছে দেশের চলচ্চিত্র, সেই মুহূর্তে নানা অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটতে শুরু করেছে। তারই উদাহরণ মিরপুরের শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগের মারামারি। শোবিজ তারকাদের নিয়ে আয়োজিত সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগে হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনায় ৬ জন শিল্পী আহত হয়েছেন। শুক্রবার রাতে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে ২ দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে এই ঘটনা ঘটে।
আহত হওয়া শিল্পীদের রাজধানীর জাতীয় অর্থোপেডিক্স হসপিটালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন অভিনয়শিল্পী রাজ রিপা, শিশির সরদার, জয় চৌধুরী, আতিকুর রহমান, শেখ শুভ ও আশিক জাহিদ। দ্বিতীয় দিনের গ্রুপ পর্বে পরিচালক দীপঙ্কর দীপন ও মোস্তফা কামাল রাজের দলের খেলা চলাকালীন মাঠে ২ দলের খেলোয়াড়দের মাঝে উত্তেজনা ছাড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আবার খেলা শুরু হয়। তবে ম্যাচ শেষের দিকে রাত সাড়ে ১১টার পর আবার উত্তেজনা ছড়ায়। এক পর্যায়ে তা মারামারিতে রূপ নেয়। চিত্রনায়িকা রাজ রিপা অভিযোগ করেন, তার গায়ে হাত তোলা হয়েছে। এ ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি জানান তিনি।
এদিকে রাজের প্রাক্তন স্ত্রী চিত্রনায়িকা পরীমনি ফেসবুকে ক্ষোভ প্রকাশ করে লিখেছেন, এই অ্যাগ্রেসিভ...এর (প্রকাশ করা যাচ্ছে না) চেহারা দেখতে হবে বলেই যাই নাই সিসিএলে! আল্লাহ বাঁচাইছে। অনেকে মনে করছেন, পরীমনি এখানে শরিফুল রাজকে ইঙ্গিত করেই এই পোস্ট করেছেন। কারণ হাতাহাতির ঘটনায় শরিফুল রাজের বিরুদ্ধেই বিস্তর অভিযোগ উঠেছে। দীপংকর দীপনের টিমের খেলোয়াড় চিত্রনায়িকা রাজ রিপার অভিযোগ, নির্মাতা মোস্তফা কামাল রাজ ও অভিনেতা শরিফুল রাজ মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন।
একই টিমের জয় চৌধুরী বলেন, পরিচালক মোস্তফা কামাল রাজের টিমের কয়েকজন অভিনেতা মনোজ প্রামাণিককে মেরে ফেলার হুমকিও দেন। নির্মাতা দীপংকর দীপন বিষয়টিতে বিব্রত ও স্তব্ধ। জানালেন, এ বিষয়ে অফিসিয়াল বক্তব্য ও ব্যাখ্যা দেবেন তারা। এদিকে অপর দলনেতা মুহাম্মদ মোস্তফা কামাল রাজ বলেন, যা ঘটেছে এরজন্য আমরা সবাই বিব্রত। দুই দলের কেউ এই দায় থেকে নিজেকে এড়াতে পারবে না।
এটা অনভিপ্রেত ঘটনা। দিন শেষে আমরা সবাই ভাই-বন্ধু। যাইহোক, আমি দীপনদার সঙ্গে বসে পুরো বিষয়টি পর্যালোচনা করে সুরাহার চেষ্টা করছি। এটা নিয়ে আসলে রাজনীতির সুযোগ নেই। যারা করছেন, তারা আসলে মিডিয়ার ভালো চান না বলেই আমি মনে করি।