
স্টাফ রিপোর্টার ॥ শাস্ত্রীয় নাচের শুদ্ধতায় রাজধানীর কাকরাইলের আইডিইবি মিলনায়তনে নেমে আসে ধ্রুপদী আমেজ। ছন্দে ও মুদ্রার শুদ্ধতায় সমগ্র মিলনায়তনকে অনন্য করে তুললেন শিল্পীরা। শাস্ত্রীয় নৃত্যের আবেশ ছড়িয়ে দিয়ে পৌষের শীতের হিমেল সন্ধ্যাটিতেও বইছিল উষ্ণতার প্রবাহ। নৃত্যের শৈল্পিকতায় মঞ্চ থেকে শিল্পী শুদ্ধতার স্নিগ্ধতায় সিক্ত করলেন মিলনায়তনে উপস্থিত নৃত্যানুরাগিদের। আর নৃত্যরসিকরাও অভিনন্দনের করতালিতে উচ্ছ্বসিত করলেন নৃত্যপটিয়সীদের। এমন দৃশ্যকল্পই চিত্রিত ছিল তিনদিনের কত্থক নৃত্য উৎসবের উদ্বোধনী সন্ধ্যায়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আইডিইবি মিলনায়তনে বসে ‘কত্থক নৃত্য উৎসব’ শিরোনামের এই শাস্ত্রীয় নাচের আসর।
শুরুতেই প্রভু বন্দনা করেন আয়োজক সংস্থার প্রধান নৃত্যশিল্পী ও শিক্ষক সাজু আহমেদ। এরপর সাজু আহমেদ, প্রিয়াংকা, সুপর্ণা, ভাসানিয়া, ইমাম, পূর্ণ শ্রুতি, মালিহা ও আলিফ দলীয়ভাবে পরিবেশন করেন ‘ছন্দে বাসর’ শিরোনামের নাচ। কৃষ্ণবন্দনায় অনুষ্ঠানকে উপভোগ্য করে তোলেন মুনমুন আহমেদ। পুরিয়া ধনশ্রী রাগে ‘বন্দিশ’ নাচ পরিবেশন করেন বৈশাখী মজুমদার। ঝাপতাল নিয়ে মঞ্চে আসেন আদৃতা আনোয়ার প্রকৃতি। মিশ্র ছন্দের নাচের পরিবেশনা শেষে ‘তারানা’র শুদ্ধতায় গোটা মিলনায়তনে ভাললাগার পরশ ছড়িয়ে দেন অনন্যা ওয়াফি রহমান। নিজের ত্রিতালের পরিবেশনায় অনুষ্ঠানকে মোহনীয় করে তোলেন দীপা সরকার। ঠুমরির নান্দনিকতায় নিজের মুন্সীয়ানা তুলে ধরেন মনিরা পারভীন হ্যাপী। নজরুলসঙ্গীতের ওপর ‘গুরু বন্দনা’ পরিবেশন করেন পার্থ দাস। মৌলভীবাজার থেকে আগত শিল্পী রিয়াশ্রী, অদ্রি, পিয়ু ও রিদি দলীয়ভাবে ‘শুভ্রছন্দ’ শিরোনামের নাচে নৃত্যের সৃজনে মুগ্ধ করেন নাচপ্রিয়দের।
সবশেষে সাজু আহমেদ, সুপর্ণা, প্রিয়াংকা, আনি ভাসানিয়া, পূর্ণ, ইমাম, শ্রুতি প্রমুখদের অংশগ্রহণে ‘মালকোষে তারানার ধ্রুপদীর মধ্য দিয়ে শেষ হয় কত্থক নৃত্য উৎসবের প্রথমদিন।