ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদ হত্যা

সৌদি আরবে সাবু ছিলেন শ্রমিক হিসেবে

প্রকাশিত: ১৮:১৮, ৯ এপ্রিল ২০২৪

সৌদি আরবে সাবু ছিলেন শ্রমিক হিসেবে

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নূর মোহাম্মদ ওরফে সাবু 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি নূর মোহাম্মদ ওরফে সাবু হামলার পরপরই পালিয়ে গিয়েছিলেন সৌদি আরবে।

মঙ্গলবার ভোরে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে তাকে গ্রেপ্তারের পর এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান পুলিশের অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের প্রধান অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক এসএম রুহুল আমিন।

তিনি বলেন, “হুমায়ুন আজাদের ওপর হামলায় সরাসরি অংশ নেন সাবু। এরপর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জঙ্গিবিরোধী অভিযান জোরদার করলে কৌশলে দেশের বাইরে চলে যান। প্রায় ২০ বছর ধরে তিনি সৌদি আরবে শ্রমিক হিসাবে কাজ করেছেন।”

২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি রাতে বাংলা একাডেমি থেকে বেরিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশ দিয়ে টিএসসির দিকে এগিয়ে যাওয়ার সময় সন্ত্রাসীর চাপাতির আঘাতে ক্ষতবিক্ষত হন বহুমাত্রিক লেখক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদ। 

কয়েক মাস চিকিৎসা নেওয়ার পর ওই বছর অগাস্টে গবেষণার জন্য জার্মানিতে যান এই লেখক। পরে ১২ অগাস্ট মিউনিখে নিজের ফ্ল্যাট থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। 

হামলার পরদিন হুমায়ুন আজাদের ভাই মঞ্জুর কবির রমনা থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেছিলেন। আদালতের আদেশে অধিকতর তদন্তের পর তা হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়।

সেই মামলার রায়ে ২০২২ সালের ১৩ এপ্রিল চার জঙ্গির ফাঁসির আদেশ আসে। জেএমবি নেতা নূর মোহাম্মদ ওরফে সাবু ওরফে শামীম তাদেরই একজন। শুরু থেকেই তিনি পলাতক ছিলেন। 

বারিধারা এটিইউ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের প্রধান রুহুল আমিন বলেন, “সাবু জেএমবির আমির শায়খ আব্দুর রহমানের কাছে বায়াত গ্রহণ করে সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত হন। আর তাকে সংগঠনে দাওয়াত দিয়েছিলেন জেএমবির সামরিক শাখার প্রধান আতাউর রহমান সানি। 

“দেশে অবস্থানকালে সালাউদ্দিন সালেহিন, হাফেজ শহিদ, মিজানুর রহমান ওরফে মিনহাজ ওরফে শাওন ওরফে শাকিব ওরফে হাসিম, আনোয়ারুল আলম ওরফে ভাগ্নে শহিদ, মো. হাফিজ মাহমুদ ওরফে রাকিব এর মত জেএমবির শীর্ষ পর্যায়ের নেতাদের সাথে সম্পৃক্ত থেকে সাবু সাংগঠনিক নানা কাজে অংশগ্রহণ করেন।” 

অধ্যাপক হুমায়ুন আজাদের ‘পাক সার জমিন সাদ বাদ’ উপন্যাসটির কারণে ক্ষুব্ধ হয়েই জেএমবি তাকে হত্যার পরিকল্পনা করেছিল মন্তব্য করে রুহুল আমিন বলেন, “২০০৪ সালে জেএমবির আমির শায়খ আব্দুর রহমানের নির্দেশে জেএমবির সামরিক শাখার প্রধান আতাউর রহমান সানি, সালাউদ্দিন সালেহিন, হাফেজ শহিদসহ অন্যদের সঙ্গে সাবু সরাসরি হামলায় অংশ নেন।” 

এ মামলায় মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত বাকি তিনজন হলেন জেএমবির শুরা সদস্য মিজানুর রহমান মিনহাজ ওরফে শফিক ওরফে শাওন, আনোয়ারুল আলম ওরফে ভাগ্নে শহীদ এবং সালেহীন ওরফে সালাউদ্দিন ওরফে সজীব ওরফে তাওহিদ।

 

এস

×