এ ভাবেই হামলায় ভাঙচুর চালানো হয়
নিহত বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের স্মরণসভায় হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
শুক্রবার (৭ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ ঘটনা ঘটে। আবরার ফাহাদ স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে এ সভার আয়োজন করা হয়।
আহতরা হলেন- ছাত্র অধিকার পরিষদের হাসিব, আকরাম, জাহিদ, হাসান, মামুন, কাউসার, শাকিল, মিজান, রাকিব, রাসেল, তরিকুল, ইউসুফ, বিন ইয়ামিন, রিকশাচালক মো. কবির হোসেন। এছাড়া ছাত্রলীগেরও বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
আবরার ফাহাদ স্মৃতি সংসদের আহ্বায়ক আখতার হোসেন, আমাদের পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী স্মরণ সভা শুরুর পরপরই প্রক্টরিয়াল টিমের উপস্থিতে আমাদের ওপর হামলা চালায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এতে আমাদের অন্তত ১০ জন আহত ও দুজন গুরুতর আহত হয়েছে। আহতদের ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে আসা হয়েছে। আমরা কোনো দলীয় ব্যানারে এ প্রোগ্রাম করিনি। আমরা ন্যাক্কারজনক এই হামলায় ধিক্কার জানাই।
ছাত্র অধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির দপ্তর সম্পাদক মো. সানাউল্লাহ অভিযোগ করে জানান, তারা শান্তিপূর্ণভাবে রাজু ভাস্কর্যের সামনে মানববন্ধন করছিলেন। সেখান ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অতর্কিত হামলা চালায়। এতে সংগঠনের অন্তত ১৫ জন আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব খান বলেন, যারা এখানে এসেছে সবাই বহিরাগত। আমরা হামলা করিনি।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপ সমাজসেবা সম্পাদক তানভির হাসান সৈকত বলেন, ছাত্রলীগ নয়, বরং তারাই ছাত্রলীগের উপর হামলা চালিয়েছে। তাদের সেখানে কর্মসূচি করার কোনো পূর্ব ঘোষণা ছিল না। আর তাদেরকে বলা হয়েছিলো আবরার হত্যা মামলা যেহেতু বিচার হয়েছে, সুতরাং এটি নিয়ে ঢাবিতে কর্মসূচি করার প্রয়োজন নাই। প্রয়োজন হলে বুয়েটে গিয়ে যেনো তারা এই মানববন্ধন করে। এসব বলার কারণেই তারা ছাত্রলীগের উপর হামলা চালায়।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শের-ই-বাংলা হল থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আবরারের বাবা চকবাজার থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে বুয়েটের ২৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। তা আমলে নিয়ে ২০২০ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
গত বছরের ৮ ডিসেম্বর এই মামলায় রায় দেন বিচারিক আদালত। রায়ে ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয়া হয়।
এমএইচ