ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৮ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

পঞ্চম শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় : একাদশ (আবহাওয়া ও জলবায়ু)

প্রকাশিত: ২২:৩৮, ২৯ নভেম্বর ২০২১

পঞ্চম শ্রেণির বিজ্ঞান অধ্যায় : একাদশ (আবহাওয়া ও জলবায়ু)

ক) শূন্যস্থান পূরণ : ১) বায়ু উচ্চচাপ অঞ্চল থেকে - অঞ্চলে প্রবাহিত হয়। ২) আর্দ্রতা হলো বাতাসে - পরিমাণ। ৩) সরু, ফানেল আকৃতির ঘূর্ণায়মান শক্তিশালী বায়ুপ্রবাহ হলো -। ৪) দিনে স্থলভাগ জলভাগ থেকে - থাকে। ৫) - হলো বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ। ৬) রাতে স্থলভাগ - তুলনায় ঠান্ডা থাকে। ৭) অতি গরম আবহাওয়ার - অবস্থাই হলো তাপদাহ। ৮) প্রকৃতিতে অনেক লম্বা সময় শুষ্ক আবহাওয়া থাকলে - দেখা দেয়। ৯) ঘূর্ণিঝড়ের ফলে সৃষ্ট - লোকালয় প্লাবিত হয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়। ১০) বাংলাদেশের উত্তর পশ্চিম অঞ্চলে -সৃষ্টি হয়। ১১) কোনো স্থানের বহু বছরের আবহাওয়ার গড় অবস্থা হলো -। ১২) - হলো কোনো স্থানের আকাশ ও বায়ুমন্ডলের সাময়িক অবস্থা। ১৩) বর্ষা শুরু হয় - মাঝামাঝি। উত্তর :১) নিম্ন চাপ ২) জলীয় বাষ্পের ৩) টর্নেডো ৪) উষ্ণ ৫) আর্দ্রতা ৬) সমুদ্রের ৭) দীর্ঘস্থায়ী ৮) খরা ৯) জলোচ্ছ¡াসে১০) খরা ১১) জলবায়ু ১২) আবহাওয়া ১৩) জুনের খ) ছোট প্রশ্নগুলোর উত্তর জেনে নেই : ১) আবহাওয়ার উপাদান কয়টি ও কি কি? উত্তর : আবহাওয়ার ২টি উপাদান। যথা : i) তাপমাত্রা ii) আর্দ্রতা। ২) সাধারণত কোন সময়ে সমুদ্র থেকে স্থলভাগে বায়ু প্রবাহিত হয়। উত্তর : সাধারণত দিনের বেলায় সমুদ্র থেকে স্থলভাগে বায়ু প্রবাহিত হয়। ৩) সরু, ফানেল আকৃতির ঘূর্ণায়মান শক্তিশালী বায়ুপ্রবাহের নাম কী? উত্তর : সরু, ফানেল আকৃতির ঘূর্ণায়মান শক্তিশালী বায়ুপ্রবাহের নাম টর্নেডো। ৪) বর্ষাকালে মৌসুমী বায়ু কোন দিক থেকে আসে? উত্তর : বর্ষাকালে দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে মৌসুমী বায়ু আসে। ৫) শীতকালে শৈত্যপ্রবাহের বায়ু কোন দিক দিয়ে প্রবাহিত হয়? উত্তর : শীতকালে বাংলাদেশে উত্তর দিক দিয়ে শৈত্যপ্রবাহের বায়ু প্রবাহিত হয়। ৬) টর্নেডো কী? উত্তর : টর্নেডো হলো সরু, ফানেল আকৃতির ঘূর্ণায়মান শক্তিশালী বায়ুপ্রবাহ, এ বায়ু প্রবাহ আকাশের বজ্র মেঘের স্তর থেকে ভ‚পৃষ্ঠ পর্যন্ত বিস্তৃত হয়। ৭) ঘূর্ণিঝড়ের সময় কী ধরনের অবস্থার সৃষ্টি হয়? উত্তর : ঘূর্ণিঝড়ের সময় দমকা হাওয়া বয় ও মুষলধারে বৃষ্টি হতে থাকে। কখনো কখনো ঘূর্ণিঝড়ের ফলে জলোচ্ছ¡াসের সৃষ্টি হয়। ৮) আবহাওয়া ও জলবায়ুর মধ্যকার একটি সম্পর্ক লেখ। উত্তর : আবহাওয়া ও জলবায়ুর মধ্যকার একটি সম্পর্ক হলো আবহাওয়া ও জলবায়ূর উপাদানগুলো এক। ৯) জলবায়ু কাকে বলে? উত্তর : কোনো স্থানের বহু বছরের আবহাওয়ার গড় অবস্থাকে জলবায়ু বলে। অর্থাৎ কোনো স্থানের আবহাওয়া পরিবর্তনের নির্দিষ্ট ধারাই জলবায়ু। ১০) বাংলাদেশের জলবায়ু কেমন? উত্তর : বাংলাদেশের জলবায়ু উষ্ণ ও আর্দ্র। ১১) বায়ুচাপ কী? উত্তর : বায়ূ তার ওজনের কারণে ভ‚-পৃষ্ঠের উপর যে চাপ প্রয়োগ করে তাই বায়ুচাপ। ১২) আর্দ্রতা কী? উত্তর : আর্দ্রতা হলো বাতাসের জলীয়বাষ্পের পরিমাণ। ১৩) আষাঢ়ের শেষ দিকে জলবায়ু অনুযায়ী কোন কাল? উত্তর : আষাঢ়ের শেষদিকে জলবায়ু অনুযায়ী বর্ষাকাল। ১৪) কোন প্রক্রিয়ায় জলীয় বাষ্প মেঘে পরিণত হয়? উত্তর : ঘনীভবন প্রক্রিয়ায় জলীয় বাষ্প মেঘে পরিণত হয়। ১৫) কখন বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়ে? উত্তর : বায়ুতে জলীয় বাষ্প বেশি থাকলে বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়ে। ১৬) শীতকালে মৌসুমি বায়ু কোন দিক থেকে প্রবাহিত হয়। উত্তর : শীতকালে মৌসুমি বায়ু উত্তর-পূর্ব দিক থেকে প্রবাহিত হয়। ১৭) নিম্ন চাপ কী? উত্তর : সূর্যের তাপে বায়ু উষ্ণ হয়ে হালকা হয়ে যায়। আর হালকা বায়ু ভ‚পৃষ্ট থেকে উপরে উঠে যায়। ফলে ঐ জায়গায় বায়ু চাপ কমে যায়। এভাবে কোনো নির্দিষ্ট বায়ু চাপ কমে যাওয়াকে নিম্নচাপ বলে। ১৮) গ্রীষ্মকালে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায় কেন? উত্তর : গ্রীষ্মকালে সূর্য খাড়াভাবে কিরণ দেয় বলে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়। ক) রচনামূলক প্রশ্নোত্তর : ১) আবহাওয়া ও জলবায়ু মধ্যে মিল ও অমিল কোথায়? উত্তর : আবহাওয়া ও জলবায়ুর মধ্যে কিছু ক্ষেত্রে মিল ও কিছু ক্ষেত্রে অমিল দেখা যায়। তা নিচে উল্লেখ করা হলো- আবহাওয়া ও জলবায়ুর মধ্যে মিল : আবহাওয়া ও জলবায়ু একই উপাদান দ্বারা প্রভাবিত হয়। উপাদানগুলো হলো- তাপমাত্রা, বায়ুপ্রবাহ, আর্দ্রতা, মেঘ, বৃষ্টিপাত ও বায়ুচাপ। আবহাওয়া ও জলবায়ুর মধ্যে অমিল : জলবায়ু আবহাওয়া i) জলবায়ু হলো কোনো স্থানের বহু বছরের আবহাওয়ার সামগ্রিক বা গড় অবস্থা। i) আবহাওয়া হলো কোনো নির্দিষ্ট সময়ে কোনো নির্দিষ্ট স্থানের আকাশে ও বায়ুমন্ডলের সাময়িক অবস্থা। ii) জলবায়ু একটি বৃহৎ এলাকার বায়ুমন্ডলের দীর্ঘস্থায়ী অবস্থা। ii) আবহাওয়া একটি ক্ষুদ্র এলাকার বায়ুমন্ডলের ক্ষণস্থায়ী অবস্থা। iii) জলবায়ু পরিবর্তন হতে অনেক বছর কেটে যায়। iii) আবহাওয়া অল্প সময়ের মধ্যে পরিবর্তত হয়। ২) বায়ূচাপ কী? উত্তর : বায়ু তার ওজনের কারণে ভ‚-পৃষ্ঠের উপর যে চাপ প্রয়োগ করে তাই বায়ুচাপ। বায়ুচাপ দুই ধরনের : যথা- উচ্চচাপ ও নিম্ন চাপ। বায়ু সবসময় উচ্চচাপ অঞ্চল থেকে নিম্নচাপ অঞ্চলে প্রবাহিত হয়। বায়ুচাপের হ্রাস বৃদ্ধি বৃষ্টিপাতের মৌসুমকে প্রভাবিত করে। বায়ুচাপ হ্রাস পেলে মেঘ-বৃষ্টির সম্ভাবনা বাড়ে। আর বায়ুচাপ বাড়লে শুষ্ক আবহাওয়া বিরাজ করে। ৩) বাংলাদেশে কেন বর্ষাকালে অধিক বৃষ্টিপাত হয়? উত্তর : বাংলাদেশে বর্ষাকালে অধিক বৃষ্টিপাতের কারণ নিম্নরূপ - i) বর্ষাকালে সূর্য বাংলাদেশের উপর খাড়াভাবে কিরণ দেয়। ii) বর্ষাকালে বাংলাদেশে মাসিক গড় আর্দ্রতার পরিমাণ ও মাসিক গড় বৃষ্টিপাত অন্যান্য মাসের তুলনায় বেশি। iii) এ সময় দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু বঙ্গোপসাগর থেকে প্রচুর জলীয় বাষ্প নিয়ে আসে। vi) এই জলীয় বাষ্প ঠান্ডা হয়ে বর্ষাকালে বাংলাদেশের অধিক বৃষ্টিপাত ঘটায়।
×