
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ঈশা খাঁ হল সংলগ্ন লেকে আয়োজিত মৎস্য শিকার প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের আওতাধীন মৎস্য খামারের তত্ত্বাবধানে প্রতিযোগিতাটি আয়োজন করা হয়।শুক্রবার (৪ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৫টায় ঈশা খাঁ হল সংলগ্ন লেকের মোহনায় পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয় ।
জানা যায়, এক দিনব্যাপী এই প্রতিযোগিতা ৩ জুলাই বিকেল ৩টা থেকে শুরু হয়ে ৪ জুলাই বিকাল পর্যন্ত চলে। প্রতিযোগিতায় ৪২ জন মৎস্য শিকারি অংশগ্রহণ করেন। লটারির মাধ্যমে গভীর অংশে ২৫টি এবং অগভীর অংশে ১৭টি আসন নির্ধারণ করা হয়। প্রতিযোগীরা গড়ে ৩০ থেকে ৩৫ কেজি করে মাছ শিকার করেন।
প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেন মৎস্য শিকারি জনি। তার শিকারকৃত কাতলা মাছের ওজন ছিল ৯.৫২৮ কেজি। দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন এরশাদ (৮.৯৭৬ কেজি কাতলা) এবং তৃতীয় হন ড. ফিরোজ (৮.৬০৪ কেজি কাতলা)।
পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদার। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন মৎস্য খামারের সিনিয়র সায়েন্টিফিক অফিসার মোহাম্মদ আবু তাহের। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক। আরও উপস্থিত ছিলেন মৎস্য খামারের ইনচার্জ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মতিউর রহমান, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল আলীম, নাজমুল আহসান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. কাজী কামরুল ইসলাম, শাহজালাল হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো. বদিউজ্জামান খানসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষক-কর্মকর্তা, কর্মচারী এবং মৎস্য শিকারিরা।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, 'অনেক দিন পর অত্যন্ত আনন্দঘন পরিবেশে এই প্রতিযোগিতা সুন্দরভাবে সম্পন্ন হওয়ায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। ভবিষ্যতে প্রতিটি মৎস্য শিকারিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে টোকেন উপহার হিসেবে অন্তত একটি করে টুপি (ক্যাপ) দেওয়া হবে। এ ধরনের আয়োজন আরও সুনামের সঙ্গে নিয়মিতভাবে সম্পন্ন হবে বলে আমি আশা করি।'
রাজু