ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানি তালিকাভুক্তিতে কাজ করছে বিএসইসি

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২৩:৫৬, ৭ নভেম্বর ২০২৪

মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানি তালিকাভুক্তিতে কাজ করছে বিএসইসি

বিএসইসি

শেয়ারবাজারের ভালো মৌলভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানির তালিকাভুক্তিতে দেশের বৃহৎ কোম্পানিগুলোর সঙ্গে বৈঠক করছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। এর ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার বিএসইসি ভবনে ওয়ালটন গ্রুপের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করে বিএসইসি। বৈঠকে ওয়ালটনের অধীনে থাকা মৌলভিত্তিসম্পন্ন বৃহৎ ও লাভজনক কোম্পানিগুলোকে কীভাবে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তি করা যায়, সেসব বিষয়ে আলোচনা হয়।
বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন বিএসইসির কমিশনার মোহসিন চৌধুরী, নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ রেজাউল করিম এবং অন্যান্য কর্মকর্তা। এ ছাড়া ওয়ালটন হাই-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসির চেয়ারম্যান এস এম শামসুল আলম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক এস এম মাহবুবুল আলম, এএমডি ও সিএফও মো. জিয়াউল আলম, সিনিয়র নির্বাহী পরিচালক ও কোম্পানি সচিব রফিকুল ইসলাম এবং ওয়ালটন ডিজি-টেক ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান এস এম রেজাউল আলম বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির মাধ্যমে কোম্পানির সুফল জনসাধারণের কাছে পৌঁছানোর সুযোগ তৈরি হয়। দেশের বৃহৎ ব্যক্তি উদ্যোগের কোম্পানি ও গ্রুপগুলো তাদের প্রতিষ্ঠানকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারেন তালিকাভুক্তির মাধ্যমে। এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি দেশের জনসাধারণও উপকৃত হবেন। কোম্পানিতে প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন নিশ্চিতে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তির বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ওয়ালটন গ্রুপ নিয়ে তিনি বলেন, ওয়ালটন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ কর ও ভ্যাট দাতাদের মধ্যে একটি প্রতিষ্ঠান। দেশের অর্থনীতিতে এর শক্তিশালী প্রভাব রয়েছে। ওয়ালটনের বিভিন্ন খাতের প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি রয়েছে এবং তারা দেশে ও বিদেশে সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করছে।
শেয়ারবাজারে সংস্কারে টাস্কফোর্সের কথা উল্লেখ করে খন্দকার রাশেদ বলেন, টাস্কফোর্সের সুপারিশের ভিত্তিতে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন পরিকল্পনা ও কার্যক্রমের মাধ্যমে শেয়ারবাজারের সংস্কার বাস্তবায়নে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করবে বিএসইসি।
সভায় ওয়ালটন গ্রুপের অধীনে থাকা মৌলভিত্তিসম্পন্ন বৃহৎ ও লাভজনক কোম্পানিগুলোকে কীভাবে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্তি করা যায়, সেসব বিষয়ে আলোচনা হয়। এ ছাড়া শেয়ারবাজারের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়ন, আইপিও অনুমোদন ও তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়া সহজীকরণসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। এ সময় শেয়ারবাজারে ‘ওয়ালটন’ এর ফ্রি ফ্লোট শেয়ার বৃদ্ধি, ব্যাংক ঋণের পরিবর্তে শেয়ারবাজারের মাধ্যমে অর্থায়ন, সাসটেইনেবল ও গ্রিন বন্ডের মাধ্যমে অর্থায়ন ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। একইসঙ্গে এ সময় ওয়ালটন গ্রুপের অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানির বিষয়ে কথা হয় এবং তাদের মিউচুয়াল ফান্ডের মাধ্যমে ফান্ড সংগ্রহ করে শেয়ারবাজারে নতুন বিনিয়োগ আনয়নের বিষয়ে আলোচনা হয়।

×