
খন্দকার রাশেদ মাকসুদ
শেয়ারবাজারের ইতিহাসে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড কমিশনের (বিএসইসি) অফিসাররা, বিশেষ করে সর্বোচ্চ পরিচালক পর্যন্ত পদমর্যাদার অফিসাররা প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণে বিভিন্ন দেশে যায়। নির্বাহি পরিচালকদের প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণ বিরল। সেখানে বিএসইসির চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ প্রশিক্ষণে অংশ গ্রহনে গেছেন। এর মাধ্যমে শেয়ারবাজারে হাস্যরস তৈরী করেছেন। তবে তার এই দেশত্যাগে রবিবার (০৪ এপ্রিল) শেয়ারবাজারে উত্থান দেখা গেছে। এর মাধ্যমে তাকে যে বিনিয়োগকারীরা আরও চায় না, সেটা আরেক দফায় প্রমাণিত হলো।
গত ৩ সপ্তাহ ধরে শেয়ারবাজার টানা পতনে ছিল। এরমধ্যে শেষ ১৪ কার্যদিবসের মধ্যে ১২ কার্যদিবসই পতন হয়েছে। এতে করে বিনিয়োগকারীদের নাভিশ্বাস উঠে গেছে। তারপরেও মাকসুদ কমিশন বিনিয়োগকারীদের পুঁজি হারানোকে পাত্তা না দিয়ে চেয়ার আঁকড়ে ধরে রেখেছে।
এই কমিশনের পদত্যাগের মাধ্যমে যে শেয়ারবাজার ঘুরে দাঁড়াবে, তা গত সপ্তাহের রবিবারও প্রমাণ পাওয়া গেছে। ওইদিন দুপুরে খবর আসে বিএসইসির চেয়ারম্যানকে সরকারের পক্ষ থেকে পদত্যাগে চাঁপ দেওয়া হয়েছে। যে কারনে তিনি বিএসইসি থেকে বেরিয়েও গেছেন। এমন খবরে শেয়ারবাজার ঋণাত্মক থেকে ইতবাচকতার দিকে ধাবিত হয়। এরপরে তার দেশত্যাগের খবরে আজকেও শেয়ারবাজারে উত্থান হয়েছে।
এদিন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ডিএসইএক্স ৩৮ পয়েন্ট বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪৯৫৬ পয়েন্টে। যা আগের দিন কমেছিল ১৮ পয়েন্ট। এছাড়া গত সপ্তাহের মঙ্গলবার ১৭ পয়েন্ট, সোমবার ৪৩ পয়েন্ট কমেছিল এবং রবিবার মাকসুদের পদত্যাগের গুঞ্জনে ২৩ পয়েন্ট বেড়েছিল।
তবে এর আগের ৯ কার্যদিবসের মধ্যে বৃহস্পতিবার ৫০ পয়েন্ট, বুধবার ৪ পয়েন্ট, মঙ্গলবার ১৮ পয়েন্ট, সোমবার ৩০ পয়েন্ট, রবিবার ২৩ পয়েন্ট এবং আগের সপ্তাহের বৃহস্পতিবার ৮ পয়েন্ট, বুধবার ২৬ পয়েন্ট, মঙ্গলবার ৩৮ পয়েন্ট ও সোমবার ৩৬ পয়েন্ট কমে। এই ৯ কার্যদিবসে ২৩৩ পয়েন্ট পতন হয়।
ডিএসইতে ৩৯৯ কোটি ৩৪ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। যার পরিমাণ আগের দিন হয়েছিল ৩২৬ কোটি ৬৪ লাখ টাকা।
এ হিসাবে লেনদেন বেড়েছে ৭২ কোটি ৭০ লাখ টাকার বা ২২ শতাংশ। এদিন ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৯৫ টি কোম্পানির মধ্যে শেয়ার ও ইউনিটের দর বেড়েছে ২৯০ টি বা ৭৩.৪২ শতাংশের। আর দর কমেছে ৬৭ টি বা ১৬.৯৬ শতাংশের ও দর পরিবর্তন হয়নি ৩৮ টি বা ৯.৬২ শতাংশের।