প্রায় দেড় বছর পর ঢাকার অদূরে পানগাঁও বন্দর পুরোপুরিভাবে চালু হতে যাচ্ছে
প্রায় দেড় বছর পর ঢাকার অদূরে পানগাঁও বন্দর পুরোপুরিভাবে চালু হতে যাচ্ছে। এই বন্দরের প্রধান ব্যবহারকারী আয়রন ও স্টিল খাতের ব্যবসায়ীরা মঙ্গলবার পানগাঁও পোর্টের নতুন কমিশনার মো. শওকত আলী সাদীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। ওই সময় পুরান ঢাকার ধোলাইখাল, পোস্তগোলা এবং কেরানীগঞ্জের ব্যবসায়ীরা উপস্থিত ছিলেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আইরন অ্যান্ড স্টিল ইমপোর্টার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি আবুজার গিফারী জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ নাসির উল্লাহ ও স্টিল খাতের প্রতিনিধিত্বকারী এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক আমির হোসেন নূরানী প্রমুখ।
আবুজার গিফারী জুয়েল বলেন, পানগাঁও পোর্ট কমিশনারের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। শীঘ্রই বন্দরটি পুরোপুরি চালু হবে। আমির হোসেন নূরানী বলেন, ব্যবসায়ীরা যাতে হয়রানিমুক্ত পরিবেশে আমদানিকৃত মালামাল খালাস ও শুল্কায়ন করতে পারেন সেই বিষয়টি কমিশনারকে বলা হয়েছে। তিনি আমাদের আশ্বাস দিয়েছেন পোর্টে শুল্কায়নের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা হয়রানির শিকার হবেন না। আগে ২/৩ দিনের কাজ শেষ করতে এখানে ৫৬ দিন লাগতো। এতে করে বন্দরের ডেমারেজ গুনতে হয়েছে ব্যবসায়ীদের। টেস্টিং স্যাম্পলের নামে ব্যবসায়ীদের ৫/৬ লাখ টাকা অতিরিক্ত খরচ হয়েছে।
স্টিলের কার্টনের সঙ্গে আসা কাঠের শুল্কায়নও করা হতো। আমরা এ বিষয়গুলো তুলে ধরে ন্যায্য শুল্কায়নের কথা বলেছি। তিনি আরও বলেন, এ পোর্টের মাধ্যমে শুধু স্টিল খাত থেকে সরকার প্রতি বছর দেড় হাজার কোটি টাকার রাজস্ব পেয়ে থাকে। এ ছাড়া ব্যাংক গ্যারান্টি ফেরত দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
এ সময় ব্যবসায়ীদের দাবি দাওয়ার প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে শওকত আলী সাদী বলেন, এখানে আর কোনো অনিয়ম হবে না। ব্যবসায়ীরা হয়রানিমুক্ত পরিবেশে আমদানিকৃত পণ্য খালাস করতে পারবেন। আশা করছি দ্রুত পানগাঁও বন্দরের স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হবে। এ বন্দরের প্রতি ব্যবসায়ীদের আস্থা বাড়বে।