ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১২ অক্টোবর ২০২৪, ২৭ আশ্বিন ১৪৩১

সংস্কার করে এফবিসিসিআইয়ের নির্বাচন দাবি

স্টিল খাতের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে প্রশাসকের বৈঠক

স্টাফ রিপোর্টার

প্রকাশিত: ০০:৫১, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪

স্টিল খাতের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে প্রশাসকের বৈঠক

সংস্কার করে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে এফবিসিসিআই নির্বাচন দাবি

সংস্কার করে সরাসরি ভোটের মাধ্যমে এফবিসিসিআই নির্বাচন দাবি করেছে বাংলাদেশ আইরন অ্যান্ড স্টিল ইমপোর্টার অ্যাসোসিয়েশন। রবিবার এফবিসিসিআইয়ের নবনিযুক্ত প্রশাসক হাফিজুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করে এ দাবি জানানো হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সভাপতি আবুজার গিফারী জুয়েল, সম্পাদক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ নাসির উল্লাহ ও স্টিল খাতের প্রতিনিধিত্বকারী এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক আমির হোসেন নূরানী প্রমুখ।

এ সময় এফবিসিসিআই  প্রশাসককে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান ব্যবসায়ী নেতারা। বৈঠকে ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে বেশকিছু দাবি-দাওয়া তুলে ধরা হয়। হাফিজুর রহমান বলেন, ব্যবসায়ীদের দাবি-দাওয়াগুলো গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হয়েছে। যেসব সংস্কারের কথা বলা হচ্ছে এগুলো গভীরভাবে পর্যালোচনা করবে সরকার। লিখিত বক্তব্যে আবুজার গিফারী জুয়েল বলেন, বিভিন্ন দেশ থেকে  কাঁচামাল আমদানি করে লৌহ শিল্পের চাহিদা মেটানো হয়।

দেশে ছোট-বড় প্রায় ২ লাখের অধিক শিল্প-কারখানা রয়েছে। এদের সঙ্গে প্রায় ৫০ লাখ লোকের কর্মসংস্থান জড়িত এবং বিনিয়োগ প্রায় দুই হাজার কোটি টাকার ওপর।  ক্ষুদ্র ও ছোট কোম্পানি সুরক্ষার জন্য আইন দাবি করে শিল্পের কাঁচামালের ওপর জ উ প্রত্যাহার এর দাবি জানান তিনি। এ ছাড়া তিনি সংস্কার প্রস্তাব তুলে ধরে বলেন, এফবিসিসিআইতে নোমিনেটর এবং কোটা ডাইরেক্টর প্রথা বাতিল করে সরাসরি জিবি মেম্বারদের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচন হতে হবে।

অ্যাসোসিয়েশন এবং চেম্বার এর ডাইরেক্টর সহসভাপতি সিনিয়র সহসভাপতি এবং সভাপতি সকল ক্ষেত্রে এফবিসিসিআইয়ের জিবি মেম্বারদের ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হতে হবে। আমির হোসেন নূরানী বলেন, নতুন ব্যবসায়ীর নেতৃত্ব সৃষ্টির লক্ষ্যে পরপর দুই টার্মের বেশি কোনো ডাইরেক্টর নির্বাচন করতে পারবে না। তবে কেউ চাইলে একটা ড্রপ দিয়ে নির্বাচন করতে হবে। ছোট ছোট সেক্টরের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য এফবিসিসিআইয়ের ভোটের মাধ্যমে পরিচালক হওয়ার সুযোগ রাখতে হবে।

স্টিল খাতের সমস্যা তুলে ধরে তিনি বলেন, কাস্টমস ভ্যালুয়েশন রুলস ২০০০ মান টেরিফ মূল্য অধিক হওয়ার ফলে ব্যবসায়ীরা প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারছে না। এর ফলে বিদেশ থেকে ফিনিশ প্রোডাক্টে বাংলাদেশের মার্কেট সয়লাব হয়ে যাচ্ছে। আমাদের দেশীয় শিল্প-কারখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। স্বৈরাচারী সরকার বিরোধী আন্দোলনের সময় ট্রেন বন্ধ থাকায় কন্টেনার চার্জ ৩০ দিন মওকুফের দাবি জানান তিনি।

×