ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১৭ জুন ২০২৪, ৩ আষাঢ় ১৪৩১

খন্দকার রুহুল আমিনের নেতৃত্বে

দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়াতে এফবিসিসিআই প্রতিনিধিদল অস্ট্রেলিয়ায় 

প্রকাশিত: ২০:৪১, ২৬ মে ২০২৪

দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বাড়াতে এফবিসিসিআই প্রতিনিধিদল অস্ট্রেলিয়ায় 

এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক ও বাংলাদেশ ইলেকট্রিক্যাল এ্যাসোসিয়েশনের সাবেক চেয়ারম্যান খন্দকার রুহুল আমিন।

দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেছেন। প্রতিনিধিদলটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন এফবিসিসিআইয়ের পরিচালক ও বাংলাদেশ ইলেকট্রিক্যাল এ্যাসোসিয়েশনের সাবেক চেয়ারম্যান খন্দকার রুহুল আমিন। মূলত অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে এই সফর করা হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে খন্দকার রুহুল আমিন বলেন, অস্ট্রেলিয়া একটি বড় শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ। দেশটিতে প্রায় ৫০ হাজার বাংলাদেশী বিভিন্ন খাতে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছেন।

একই সঙ্গে দেশটিতে বিপুল পরিমাণ গার্মেন্টস, ইলেকট্রিক ও ইলেক্ট্রোনিক্স পণ্য, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, কৃষিজাতপণ্য, বৈদ্যুতিক পণ্যসামগ্রী, আইসিটি ও প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানির সুযোগ রয়েছে। আমরা ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল যারা অস্ট্রেলিয়া যাচ্ছি তারা রপ্তানি বাজার সম্প্রসারণে দেশটির বিভিন্ন ট্রেডবডি ও সরকারি কয়েকটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠকে অংশগ্রহণ করবো। আশা করছি, ব্যবসায়ীদের এই সফরের মধ্যদিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ আরও বাড়বে। তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়ার ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তাদের বিনিয়োগ করার সুযোগ রয়েছে বাংলাদেশে। সেই বিষয়টিও আমরা তাদের কাছে তুলে ধরবো। এছাড়া যারা প্রবাসী রয়েছেন তাদেরও এদেশে বিনিয়োগ করার ব্যাপারে উৎসাহিত করা হবে। প্রায় দশদিনের এই সফরে দেশটির বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করবে এফবিসিসিআইয়ের সফররত প্রতিনিধিদলটি। 

উল্লেখ্য, ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে বাংলাদেশ-অস্ট্রেলিয়ায় ৮০৪.৬৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য রপ্তানি করেছে, একই সময়ে ৫৯৬.৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের পণ্য আমদানি করেছে। কোভিড-১৯ এর কারণে বিগত দুই বছর বাণিজ্য আশানুরূপ হয়নি। বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সংক্রান্ত কাঠামোগত সমঝোতা (টিফা) চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। বাংলাদেশ বিনিয়োগকারীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্থান। এই টিফা চুক্তি স্বাক্ষরের ফলে বাংলাদেশে অস্ট্রেলিয়ার বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে একশ স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলা হচ্ছে। বাংলাদেশ সরকার দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করার জন্য বিশেষ সুযোগ-সুবিধার প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত সেবা প্রদান সহজ করা হয়েছে।  অস্ট্রেলিয়ার সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। এফবিসিসিআই মনে করে, উভয়  দেশের ব্যবসায়ীরা সফর বিনিময়ের মাধ্যমে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে পারেন। 

উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়া বিগত ২০০৩ সালে থেকে বাংলাদেশকে ডিউটি ফ্রি এবং কোটা ফ্রি বাণিজ্য সুবিধা দিয়েছে। আগামী ২০২৬ সালে এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পরও অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশকে প্রদত্ত বাণিজ্য সুবিধা অব্যাহত রাখবে। অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের তৈরি পোশাকের বড় রপ্তানির বাজার। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের কৃষিখাতের উন্নয়নে সহযোগিতা বৃদ্ধির জন্য আশ্বাস দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এ ছাড়া অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ উভয় পক্ষই মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ পণ্যসহ দ্বিপাক্ষিক কৃষি বাণিজ্যের উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছে। 

 

শাহজাহান

×