ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৬ জুন ২০২৪, ২ আষাঢ় ১৪৩১

রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার পেল ২০ প্রতিষ্ঠান

অর্থনৈতিক রিপোর্টার

প্রকাশিত: ২২:৫৬, ২৩ মে ২০২৪

রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার পেল ২০ প্রতিষ্ঠান

রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার পেল ২০ প্রতিষ্ঠান

জাতীয় অর্থনীতিতে শিল্প খাতে অবদানের স্বীকৃতি প্রদান, প্রণোদনা সৃষ্টি, সৃজনশীলতাকে উৎসাহিত করা এবং বেসরকারি খাতে শিল্প স্থাপন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের জন্য শিল্প মন্ত্রণালয় কর্তৃক ‘রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার ২০২১’ পেল ছয় ক্যাটাগরির ২০টি শিল্প প্রতিষ্ঠান।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহের মালিক/প্রতিনিধিদের হাতে পুরস্কার হিসেবে ক্রেস্ট ও সম্মাননা সনদ তুলে দেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন। শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জাকিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ ও এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট মাহবুবুল আলম।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্পমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের যুগোপযোগী পরিকল্পনা ও নীতি এবং কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার ফলে শিল্প খাতে উল্লেখযোগ্য ও দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়েছে। পাশাপাশি জাতীয় অর্থনীতিতে ব্যবসায়ী ও শিল্প উদ্যোক্তাদের গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি দিয়ে তাদের উৎসাহিত করা হচ্ছে।

এ ধরনের সৃজনশীল উদ্যোগের অংশ হিসেবে শিল্প মন্ত্রণালয় নিয়মিত ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শিল্প পুরস্কার’, ‘রাষ্ট্রপতির শিল্প উন্নয়ন পুরস্কার’, ‘সিআইপি (শিল্প) কার্ড’, ‘প্রোডাক্টিভিটি অ্যান্ড কোয়ালিটি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড’ প্রভৃতি পুরস্কার দিয়ে আসছে। তিনি বলেন, এ ধরনের স্বীকৃতি শিল্প উদ্যোক্তাদের নিজ নিজ কারখানায় উৎপাদিত পণ্যের উৎকর্ষ সাধনে অনুপ্রাণিত করবে।

এই দৃষ্টান্ত অনুসরণ করে নবীন শিল্পোদ্যোক্তারাও নিজেদের পণ্যের গুণগত মানোন্নয়ন এবং বিশ্বমানের শিল্প স্থাপনে উজ্জীবিত হবেন। ফলে দেশে গুণগত মানসম্পন্ন শিল্পায়নের ধারা বেগবান হবে। মন্ত্রী বলেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্থনৈতিক উন্নয়নের অন্যতম শর্ত। বিগত ১৫ বছরে এটি বহাল ছিল বলে শিল্পায়ন বেগবানসহ অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়েছে। বাংলাদেশ নিজেই একটি বড় বাজার।

অভ্যন্তরীণ বাজারসহ বিশ্ববাজারে বাংলাদেশী পণ্যের চাহিদা বাড়াতে আমাদের গুণগতমানের পণ্য উৎপাদনের দিকে নজর দিতে হবে। এ সময় বিশ্বমানের গুণগত পণ্য উৎপাদনে শিল্পোদ্যোক্তাদের সততা ও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান মন্ত্রী।

নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় টাঙ্গাইল শাড়িসহ ইতোমধ্যে বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ৩১টি পণ্যকে জিআই সনদ দেওয়া হয়েছে। জাতীয় পর্যায়ে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে ১০ বছর মেয়াদি ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি মাস্টার প্ল্যান প্রণয়ন করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, আধুনিক ও যুগোপযোগী শিল্প কারখানা স্থাপনসহ শিল্পায়নের ধারাকে বেগবান করতে ‘জাতীয় শিল্পনীতি-২০২২’ ও ‘এসএমই নীতিমালা-২০১৯’ প্রণয়ন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিক নির্দেশনায় শ্রমঘন শিল্পায়নে মনোনিবেশসহ শিল্প খাতে গতিশীলতা অব্যাহত রাখতে শিল্প মন্ত্রণালয় নতুন শিল্প কারখানা স্থাপন, পুরাতন কারখানার আধুনিকায়ন এবং যন্ত্রপাতি প্রতিস্থাপনের কাজ করছে। শিল্প খাতে উন্নয়নের চলমান অভিযাত্রা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশ নির্ধারিত সময়ের আগেই শিল্প সমৃদ্ধ রাষ্ট্রে পরিণত হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুস শহীদ বলেন, কৃষি উৎপাদনে ঈর্ষণীয় সাফল্য থাকা সত্ত্বেও আমরা কৃষিপণ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, সংরক্ষণ ও রপ্তানিতে অনেকটা পিছিয়ে আছি। 
প্রক্রিয়াজাতকরণের কম সুযোগ ও সংরক্ষণাগারের অভাবে আমাদের উৎপাদিত শাকসবজি ও ফলমূলের প্রায় ২০-৩০ শতাংশ পর্যন্ত নষ্ট হয়ে যায়। ফলে কৃষকেরা ক্ষতিগ্রস্ত হন, ভোক্তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হন।

শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রেণিবিন্যাস অনুযায়ী ৬ (ছয়) ক্যাটাগরির মোট ২০টি শিল্প প্রতিষ্ঠান/উদ্যোক্তাকে এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। এগুলো হচ্ছেÑ বৃহৎ শিল্প ক্যাটাগরিতে ৬টি, মাঝারি শিল্প ক্যাটাগরিতে ৩টি, ক্ষুদ্র শিল্প ক্যাটাগরিতে ৪টি, মাইক্রো শিল্প ক্যাটাগরিতে ৩টি, কুটির শিল্প ক্যাটাগরিতে ৩টি এবং হাইটেক শিল্প ক্যাটাগরিতে ১টি।

×