ব্রিকস
বিশ্বের উদীয়মান অর্থনীতির ছয়টি দেশের জোট ব্রিকসে যোগ না দেওয়ার কথা জানিয়েছেন আর্জেন্টিনার হবু পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডায়ানা মন্ডিনো। এর মাধ্যমে সদ্য নির্বাচিত ডানপন্থি প্রেসিডেন্ট জাভিয়ের মিলের অধীনে আর্জেন্টিনার পররাষ্ট্রনীতিতে যে বড় ধরনের পরিববর্তন আসছে তার আভাস পাওয়া গেল। খবর রয়টার্সের।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সামাজিক মাধ্যম এক্সে এক পোস্টে ডায়ানা মন্ডিনো বলেন, ‘আমরা ব্রিকসে যোগ দেব না।’ এর আগে ব্রিকসের অন্যতম দুই সদস্য দেশ ব্রাজিল ও চীনের সঙ্গে ব্যাপক বাণিজ্যিক সম্পর্ক সত্ত্বেও জোটটির অর্থনৈতিক সক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ছিলেন তিনি। এ ছাড়া একে অর্থনৈতিক জোটের চেয়ে রাজনৈতিক হিসেবে উপস্থাপন করেছেন তিনি।
গত ১৯ নভেম্বর দ্বিতীয় দফার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে (রান অফ) নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ও সাবেক অর্থমন্ত্রী সার্জিও মাসাকে হারিয়ে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন ডানপন্থি নেতা জাভিয়ের মিলে। যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট জইর বলসোনারোর সঙ্গে মিলেকে তুলনা করা হয়।
এই জাভিয়ের মিলের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্বপালন করছেন ডায়ানা মন্ডিনো। আর প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়লাভের পর নতুন সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে মন্ডিনোকে বেছে নিয়েছেন মিলে। এই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে আর্জেন্টিনায় নতুন সরকার দায়িত্ব নিতে পারে।
গত আগস্ট মাসে দক্ষিণ আফ্রিকায় ব্রিকসের সবশেষ শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ওই সম্মেলন থেকে ছয়টি দেশকে ব্রিকসে যোগ দেওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়। এই ছয় দেশের মধ্যে আর্জেন্টিনাও ছিল। মূলত পশ্চিমাপন্থি ‘সেকেলে’ ধরনের বিশ্বব্যবস্থা বদলে দেওয়ার প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে নতুন করে ছয়টি দেশকে ব্রিকসে যোগদানের আমন্ত্রণ জানিয়েছিল জোটটি।
এস