ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১

সারাদেশে ১৮২ ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু

প্রকাশিত: ০৪:০৫, ১ সেপ্টেম্বর ২০১৬

সারাদেশে ১৮২ ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে রাজধানীর ৩০টি স্থানসহ সারাদেশে ১৮২টি ভ্রাম্যমাণ ট্রাকের মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে পণ্য বিক্রি শুরু করেছে সরকারের বিপণন সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। বুধবার সকাল থেকে টিসিবির খোলা ট্রাকে করে বিক্রি শুরু হয়েছে পণ্য। শুক্রবার ব্যতীত বিক্রি চলবে ৮ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এবার টিসিবি যেসব পণ্য বিক্রি করবে -চিনি, মসুরের ডাল ও সয়াবিন তেল। সর্বোচ্চ দুই কেজি পর্যন্ত চিনি ও মসুরের ডাল একজন কিনতে পারবে। আর সয়াবিন তেল কিনতে পারবে সর্বোচ্চ পঁচ লিটার। প্রতি কেজি চিনি পাওয়া যাচ্ছে ৫৫ টাকা, মসুর ডাল ৮৯ দশমিক ৯৫ টাকা এবং সয়াবিন তেল ৮০ টাকা প্রতি লিটার। প্রতি ট্রাকে দৈনিক পণ্য বরাদ্দ থাকবে- চিনি ট্রাকপ্র্রতি ৩০০ থেকে ৫০০ কেজি, মসুর ডাল ২০০ থেকে ৩০০ কেজি, সয়াবিন তেল ২০০ থেকে ৫০০ লিটার। ঢাকা শহরে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে পণ্য বিক্রি হচ্ছে- সচিবালয়ের গেটে, প্রেসক্লাবের সামনে, কাপ্তান বাজার, ছাপরা মসজিদ ও পলাশী বাজার, সিটি কলেজ, নীলক্ষেত বাজার, মোহাম্মদপুর শিয়া মসজিদ, জিগাতলা পোস্ট অফিস কলোনি, খামারবাড়ি, কলমিলতা বাজার, রজনীগন্ধা সুপার মার্কেট কচুক্ষেত, আগারগাঁও তালতলা, পাইকপাড়া বাজার, মিরপুর-১, শান্তিনগর বাজার, মালিবাগ বাজার, বাসাবো বাজার, মেরাদিয়া বাজার, মহাখালী কাঁচাবাজার, বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে, শেওড়াপাড়া বাজার, দৈনিক বাংলা মোড়, শাজাহানপুর বাজার, ফকিরাপুল বাজার, দিলকুশা, খিলগাঁও, তালতলা বাজার, রামপুরা বাজার, গোলাপশাহ বাজার গুলিস্তান, মিরপুর-১০ গোলচত্বর, কল্যাণপুর বাসস্ট্যান্ড। এ ছাড়া চট্টগ্রামের ১০টি, অন্যান্য বিভাগীয় শহরে পাঁচটি ও জেলা সদরে দুটি স্থানে খোলা ট্রাকে পণ্য বিক্রি শুরু করছে টিসিবি। পশুর হাটে ব্যবসায়ীদের নোট যাচাই সেবা দেয়ার নির্দেশ অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আসন্ন কোরবানির ঈদের আগে জালনোট চক্রের সদস্যরা কোনভাবেই যাতে জালনোট ছাড়তে না পারে এ জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক বিশেষ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। কোরবানির পশুর হাটে জালনোট প্রতিরোধকল্পে তফসিলী ব্যাংকের কর্মকর্তাদের দ্বারা পশু ব্যবসায়ীদের নোট যাচাই সংক্রান্ত সেবা প্রদানের নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বুধবার বাংলাদেশ ব্যাংকের এ সংক্রান্ত নির্দেশনাটি দেশের সব তফসিলী ব্যাংকগুলো জানিয়ে দেয়া হয়েছে। এতে আরও বলা হয়, জালনোট শনাক্তকারী মেশিনের সহায়তায় অভিজ্ঞ ক্যাশ কর্মকর্তাদের দ্বারা হাট শুরুর দিন হতে ঈদের পূর্বরাত পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে পশু ব্যবসায়ীদের বিনা খরচে নোট যাচাই সংক্রান্ত সেবা দিতে হবে। হাটের জনদায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের নাম, পদবী ও মোবাইল নম্বরসহ আপনাদের ব্যাংকের নিয়ন্ত্রণকারী একজন উপযুক্ত কর্মকর্তার নাম, পদবী ও মোবাইল নম্বর আগামী ৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ই-মেইলে পাঠাতে বলা হয়েছে। বুথে নোট যাচাইকালে কোন জালনোট ধরা পড়লে জালনোটঃ০১(পলিসি)/২০০৭-১৯১ মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। হাটে ব্যাংকের নাম ও তার সঙ্গে জালনোট শনাক্তকরণ বুথের ব্যানার প্রদর্শন করতে হবে। এছাড়া অন্যন্যা জেলাসমূহের পৌরসভা ও থানার অনুমোদিত পশুর হাটে বিভিন্ন ব্যাংকের দায়িত্ব বণ্টনের জন্য সোনালী ব্যাংক লিঃ এর চেস্ট শাখাগুলোকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
×