বাংলাদেশে ফসলি জমিতে বিভিন্ন ধরনের ফসল উৎপাদিত হলেও চীনে ধানক্ষেতে মাছের চাষও হয়! শুধু তাই নয়, এই ক্ষেতে উৎপাদিত মাছ ও ধান দুটোই দূষণমুক্ত।
১৩০০ বছর আগে ছিংথিয়েন জেলা এমন একটি জায়গা ছিল যেখানে আবাদি জমির পরিমাণ খুবই কম। সেখানে পাহাড় বেশি, জমি খরা যুক্ত। কিন্তু তখনকার মানুষ তাদের নিজেদের প্রয়োজনে ধান ও মাছ একসঙ্গে চাষ করার পদ্ধতি উদ্ভাবন করে।
ছিংথিয়েন পাহাড়ে সিঁড়ির ধাপের মতো জায়গায় চাষাবাদ করে। তারা ক্ষেতে ধানের চারা রোপণ করে এবং পাশাপাশি একই ক্ষেতে মাছের চাষও করে। সেই মাছের নাম ‘ঔ চিয়াং রঙিন মাছ’। এটি বেশ সুস্বাদু।
পাহাড়ি এলাকায় চাষযোগ্য জমির অভাব রয়েছে। সেখানে একই ক্ষেতে ধান ও মাছের চাষ কৃষকদের জন্য কল্যাণ বয়ে এনেছে। এটি স্থানীয় কৃষকদের প্রজ্ঞার প্রতিফলনও বটে।
ছিংথেনের পাহাড়ের চূড়ায় সবুজ গাছপালা। চূড়া থেকে নেমে আসা স্বচ্ছ পানির স্রোত ধারার পাশেই স্থানীয়দের বাড়িঘর। গ্রামবাসীরা সাধারণত এপ্রিল ও মে মাসে মাছের পোনা ধানক্ষেতে ছেড়ে দেয় এবং শরৎকালে মাছ ধরে।
ধানক্ষেতে মাছ চাষে ছিংথিয়েন জেলার কৃষকদের আয় অনেক বেড়েছে। অনেকে মনে করেন, ছিংথিয়েন জেলার ধানক্ষেতের মাছ সমুদ্রের সুস্বাদু হলুদ ক্রোকারের চেয়েও বেশি সুস্বাদু। এটি কেবল পাহাড়ি মানুষের জীবন উন্নত করেছে তা নয়, বরং প্রকৃতি সংরক্ষণেও ভূমিকা রেখে চলেছে ।
বর্তমানে কৃষিপ্রযুক্তি এতো উন্নত হওয়া সত্ত্বেও এমন কৃষি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য কতটা তাৎপর্যপূর্ণ? প্রকৃতপক্ষে কৃষি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য একটি উন্নয়নশীল ঐতিহ্য, এবং এর সাথে আধুনিক কৃষির বিরোধিতা নেই। ছিংথিয়েন ধান-মাছ সিম্বিওসিস সিস্টেমে প্রচুর কৃষিপ্রযুক্তি ব্যবহৃত হচ্ছে।
তাবিব