ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

লেবুর বাড়তি দামে চন্দনাইশের কৃষক খুশি

​​​​​​​সংবাদদাতা, চন্দনাইশ, চট্টগ্রাম

প্রকাশিত: ২১:৫১, ৩১ মার্চ ২০২৩

লেবুর বাড়তি দামে  চন্দনাইশের  কৃষক খুশি

.

চলতি মৌসুমে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় লেবুর ফলন ভালো হয়নি। এতে মৌসুমের শুরু থেকেই রয়েছে লেবুর দাম বাড়তি। রমজান মাস হওয়ায় লেবুর প্রচুর চাহিদায় দাম বাড়তি পাওয়ায় কৃষকরা খুশি। প্রতিটি লেবু ১০-১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে খুচরা বাজারে। প্রতি ডজন লেবুর মূল্য পাওয়া যাচ্ছে ১২০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত।

উপজেলার পাহাড়ি লর্ড এলাহাবাদ, দোহাজারী লালুটিয়া, ছৈয়দাবাদ, ধোপাছড়ি এসব এলাকায় লেবুর বাগান রয়েছে। সকল বাগানে লেবুর ফুল প্রচুর আসলেও যথাসময়ে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় ফলন ভালো হয়নি বলে জানিয়েছেন লেবু চাষিরা। তবে মৌসুমের প্রথম দিকে লেবুর দাম বেশি থাকায় অনেকটা লাভের মুখ দেখছেন কৃষক। প্রতি ভাঁড় (দুই ঝুড়ি) লেবু বর্তমানে হাজার থেকে ১২শ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পাহাড়ি এলাকা ছাড়াও বাড়ির আঙ্গিনায় অনেক লেবুর গাছ রয়েছে। চন্দনাইশের লেবু এলাকার চাহিদা মিটিয়ে শহরে যাচ্ছে। সেখানে প্রতি পিস ১০ টাকার লেবু শহরে বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকায়। এতে করে মধ্যস্বত্বভোগীরা লাভবান হচ্ছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্র্রসারণ অফিস সূত্রে জানা যায়, চন্দনাইশের কাঞ্চননগর, লর্ড এলাহাবাদ, দোহাজারীর লালুটিয়া, ধোপাছড়ি পাহাড়ি এলাকায় ছোট-বড় ৫০টির অধিক লেবুর বাগান রয়েছে। এসব বাগানের মালিক শ্রমিকরা ভোরে বাগান থেকে লেবু তুলে বাজারে এনে বিক্রি করে থাকে।

লেবু চাষি উত্তর জোয়ারার আবদুর রহিম, সিরাজুল ইসলাম বলেছেন, তারা প্রত্যেকেই লেবু অন্যান্য ফলদ বাগান করে যাচ্ছেন। চলতি মৌসুমে সময়মতো বৃষ্টিপাত না হওয়ায় লেবুর ফলন ভালো হয়নি। চন্দনাইশে হিমাগারের অভাবে লেবু সংরক্ষণ করতে না পারায় বাগানে অনেক সময় লেবুতে পচন ধরে নষ্ট হয়। এতে লোকসান গুনতে হয় কৃষকদের। 

কৃষি কর্মকর্তা স্মৃতি রানী সরকার বলেছেন, এখনো পুরোদমে লেবু উৎপাদন শুরু হয়নি। রমজান মাসের কারণে লেবুর চাহিদা রয়েছে প্রচুর। চন্দনাইশে ছোট-বড় অর্ধশতাধিক লেবু বাগান রয়েছে। এখানকার লেবু সুস্বাদু রসালো হওয়ার কারণে চাহিদা রয়েছে প্রচুর।  

×