ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মহিমান্বিত মার্চেই আরও এক অর্জন

প্রকাশিত: ০৪:২৮, ২৬ মার্চ ২০১৮

মহিমান্বিত মার্চেই আরও এক অর্জন

স্বাধীনতা অর্জনের ৪৭ বছরের ইতিহাস কোন নিরবচ্ছিন্ন ধারাবাহিকতার চাইতেও বেশি জোরালো ছিল শুধু জাতির স্থপতিকেই হারানো নয় বরং মূল আদর্শিক চেতনাও দুর্ভোগের আবর্তে পড়ে লক্ষচ্যুত হওয়া। মাত্র সাড়ে তিন বছরের মাথায় রক্তাক্ত অভ্যুত্থান জাতিকে কেবল দিশেহারাই করেনি বরং মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তিকেও করেছে অনেক সংহত এবং উদ্ধত। যার রেশ টানতে হয় প্রায়ই ২১ বছর ধরে। এই দীর্ঘ সময়ে লাল-সবুজের পতাকাকে অসম্মান করাই নয়, তার চেয়েও বেশি যথার্থ ইতিহাসকে মুছে ফেলার অবর্ণনীয় হীনচক্রান্তও। ২১ বছর ঘটে যাওয়া হরেকরকম ঘাত-প্রতিঘাতকে সম্মুখ সমরে মোকাবেলা করে যিনি স্বাধীনতার মূলমন্ত্রকে আবারও জনগণের দ্বারে পৌঁছে দিলেন তিনি বঙ্গবন্ধুকন্যা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুধু পিতৃহত্যার প্রতিকারই নয় লক্ষ্যহীন জাতিকে সুষ্ঠু নির্দেশনায় সোনার বাংলা গড়ার দৃঢ় অঙ্গীকারে অতি দুঃসময়ে দলের রাশ টেনে ধরলেন। আশির দশক থেকে শুরু হওয়া এই বন্ধুর যাত্রাপথ কোন সময়ই নিরাপদ আর নির্বিঘ্ন ছিল না। দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল, সম্মুখযুদ্ধে শত্রুপক্ষের মোকাবেলা সবই সামলাতে হয়েছে রাজনৈতিক প্রজ্ঞা, দেশাত্ববোধের অনমনীয় প্রত্যয় ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শিক চেতনায় সমৃদ্ধ হয়ে, যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ গড়ে ওঠার সুবর্ণ সময়ে ’৭৫-এর ধিকৃত এবং নৃশংস হত্যাযজ্ঞ যে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সূচনা করে, সেখান থেকে বের হয়ে আসা অত সহজ ব্যাপার ছিল না। ষড়যন্ত্রকারীদের অভ্যন্তরীণ চক্রান্তও তাদের কোন সুষ্ঠু নির্দেশনা দিতে ব্যর্থ হয়। ফলে অতি অল্প সময়ের মধ্যে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকেও আততায়ীর গুলিতে নৃশংসভাবে প্রাণ হারাতে হয়। এরপর দোদুল্যমান বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট হয় গণতন্ত্রের যথার্থ চর্চা থেকে যোজন যোজন দূরে। ফলে আশির দশকেও বাংলাদেশের ভাগ্যাকাশে দুর্যোগের ঘনঘটা কাটেনি। এরপর স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন জোরদার হলে দোর্দ- প্রতাপশালী এরশাদ ক্ষমতার মসনদ থেকে সরে আসতে বাধ্য হলেন। ফলে বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর প্রথমবারের মতো গণতান্ত্রিক উপায়ে জনপ্রতিনিধিদের নির্বাচনের প্রক্রিয়া শুরু হলো। বিএনপি সমর্থিত খালেদা জিয়ার নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হলো। তাদের হাতেও মুক্তিযুদ্ধের মূল চেতনা এবং ইতিহাস কোন মর্যাদা পেল না। শাসকগোষ্ঠীর রদবদলেও দেশের সার্বিক অবয়বে কোন ধরনের ফারাক দৃশ্যমান হলো না। ’৭৫ পরবর্তী ধারাবাহিকতায় দেশ একই পথে চলতে লাগল। জাতির পিতা এবং ইতিহাসের দলন-পীড়ন কোনভাবেই থামানো যায়নি। তবে ততদিনে শেখ হাসিনা বিরোধী শক্তি হিসেবে নিজের পায়ের তলার মাটি অনেকটাই মজবুত করলেন। দলকে সুসংগঠিত এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ করে পরবর্তী নির্বাচনের অপেক্ষায় নিজের প্রজ্ঞা ও সর্বাত্মক শক্তিকে কাজে লাগালেন। মাত্র ৫ বছরে পরবর্তী নির্বাচনের প্রাক্কালে বিএনপি সরকারের দুঃশাসনে সারাদেশ প্রতিবাদ আর বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে। সচিবালয় থেকে শুরু করে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষরাও এই প্রতিরোধ আর অসহযোগের কাতারে শামিল হন। ফলে খালেদা জিয়া সরকারেরও পতন অনিবার্য হয়ে ওঠে। ১৯৯৬ সালে সর্বসাধারণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের ক্ষমতা অর্জন করে। সেই শুরু শেখ হাসিনার সদর্পে পথচলা। মাত্র ৫ বছরে দেশের চেহারা অনেকটাই পাল্টে গেল। বিভ্রান্ত-বিকৃত ইতিহাসের যথার্থ অভিযাত্রা শুরু হলো। তৎকালীন সময়ে কৃষিতে যে যুগান্তকারী বিপ্লব হয়েছিল তা আজও স্মরণীয়। কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী কৃষি উৎপাদনে যে অসাধারণ ভূমিকা পালন করেছিলেন তা সত্যিই বিস্ময়ের। ৫ বছর ক্ষমতায় থেকে শেখ হাসিনা গণতন্ত্রের সুস্থ ধারাকে বেগবান করলেন। শুধু তাই নয়, সাংবিধানিক নিয়ম পালন করে নির্দিষ্ট সময়ে প্রধান বিচারপতির হাতে ক্ষমতা অর্পণ করে নিজের কর্তৃত্ব ত্যাগ করতে এতটুকু পিছপা হলেন না। সে দামও তাকে দিতে হয়েছিল অন্যভাবে। কারণ ভিন্ন পথে বিএনপি সরকারের নতুনভাবে অভ্যুদয় ছিল জাতির জন্য এক মহাসঙ্কট। তার হিসাবও জাতিকে কড়ায় গ-ায় উসুল করতে হয়। ২০০১ থেকে ২০০৬ বিএনপি সরকারের অনিয়ম, দুর্নীতি, অপশাসন আর অপশক্তির দাপটে পুরো জাতি সঙ্কটাপন্ন, দিশেহারা এবং উৎকণ্ঠিত। সেই সুযোগে তত্ত্বাবধায়ক নামক স্বপ্লকালীন সরকার (মাত্র ৩ মাস) নানা রকম অপকৌশল প্রয়োগ করে প্রায়ই দুই বছর শাসন ক্ষমতায় নিজেদের আসন পাকা করে। এই শতাব্দীর শুরুতে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আবারও একটি রক্তাক্ত অধ্যায়ের নৃশংসতা দেখল সারা জাতি। পারিবারিকভাবে আগেই নিঃস্ব আর সর্বস্বান্ত হয়েছিলেন শেখ হাসিনা। একমাত্র বোন রেহানা ছাড়া পাশে আর কেউ ছিল না। যে দলকে নিয়ে তিনি নিজেকে সুসংহত করেছেন সেখানেও আঘাত হানল প্রতিপক্ষ অপশক্তি। আবারও তাঁকে নিশ্চিহ্ন করে দলকে বিপথগামী করতেই ২১ আগস্টের এই গ্রেনেড হামলা। অনেকের মৃত্যু, বেঁচে যাওয়াদের করুণ আর্তনাদ সে সময়ের এক দুঃসহ বিভীষিকা। প্রাণে বেঁচে গেলেও শেখ হাসিনার কানের পাশ দিয়ে গ্রেনেডের জ্বলন্ত টুকরো ছিটকে আসায় চিরস্থায়ী ক্ষতের মুখোমুখি হলেন। যা আজও তিনি বয়ে বেড়াচ্ছেন। সবারই স্মরণে আছে সেই পাঁচ বছরে জঙ্গীবাদের উত্থান। জেএমবির দুর্ধর্ষ নায়ক বাংলা ভাইয়ের নির্দেশে সশস্ত্র হামলার শিকার হন অনেক মানুষ। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক মোঃ ইউনূস এই জেএমবির ক্যাডারের উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে ঘটনাস্থলেই মারা যান। এমন লোমহর্ষক আক্রমণে সারাবাংলা কেঁপে উঠলেও খালেদার মসনদ ছিল তখন অনেকটা নিরাপদ। তারপরেও শেষ রক্ষা হয়নি। সে দায় তাকে একাও বহন করতে হয়নি। পুরো জাতিকে তার মূল্য পরিশোধ করতে হয়। সেই বিপাকে পড়ে যায় আওয়ামী লীগও। ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারি ফখরুদ্দীনের তত্ত্বাবধানে যে অস্থায়ী সরকার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয় তার সময়কাল প্রায়ই দুই বছর গড়ায়। খালেদাও তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী পুত্র তারেক জিয়ার ওপর নেমে আসে এতদিনের অত্যাচার আর দুর্নীতির ফল ভোগ। তারেককে তার কর্মফলের পুরো দায় মেটাতে হয়েছিল। যার কারণে সে আজ দলবিচ্ছিন্ন, দেশত্যাগী এমনকি দ-প্রাপ্তও। হাজারও অপকর্ম আর মামলার বোঝা ঘাড়ে নিয়ে আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়ানো। আর খালেদা জিয়া? বিপন্ন আর বিচ্ছিন্ন বিএনপিকে সুস্থ গণতান্ত্রিক ধারায় রাজনীতিতে আর ফেরাতে পারলেন না। ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেয়া তো দূরের কথা বরং সংঘাতপূর্ণ অপরাজনীতিতে সম্পৃক্ত হতে হলো। সময় আর ইতিহাস কাউকে ক্ষমা করে না। ইতিহাসকে কাটাছেঁড়া করার যথার্থ জবাব ইতিহাসই দিয়ে থাকে। এখানেও তার কোন ব্যতিক্রম হলো না। ২০০৯ থেকে ২০১৩ এই পাঁচ বছরে আওয়ামী সরকার শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে বিজয়ের রথ তৈরি করে তা আজ অবধি নিরন্তর গতি পাওয়া। পদ্মা সেতুর তথাকথিত অর্থ কেলেঙ্কারিতে পড়েও সেখান থেকে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে নিজেদের আর্থিক বিনিয়োগে নির্মাণ শুরু হওয়া সেও এক সময়ের নির্ভীক অভিযাত্রা। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশ আজ সার্বিক উন্নয়নের ধারায় নিরবচ্ছিন্নভাবে এগিয়ে যাচ্ছে। কৃষি শিল্প থেকে শুরু করে সরকারী-বেসরকারী প্রতিষ্ঠানে সফল কর্মীদের দক্ষতা, ক্ষমতা তার সঙ্গে অবিচ্ছেদ্য হয়ে আছে দাপটের সঙ্গে রাজনৈতিক কর্তৃত্বের দীপ্ত পথযাত্রা। উন্নয়নের প্রায়ই প্রতিটি সূচকে নিরন্তর এগিয়ে যওয়ার সঙ্গে নিবিড়ভাবে যুক্ত হয়ে আছে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির সম্ভাবনাময় সংযোজন। ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যে অঙ্গীকার শেখ হাসিনার দৃপ্তকণ্ঠে উচ্চারিত হয়েছিল তাও আজ সকল মানুষের অতি নিকটে। বিএনপির তৈরি করা রাজনৈতিক সহিংসতায়ও দেশের সামগ্রিক প্রবৃদ্ধি তার লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করে। শুধু তাই নয়, ৭ শতাংশকে ছাড়িয়েও যায়। আর্থ-সামাজিক বলয়ে অর্ধাংশ নারী জাতির উল্লেখযোগ্য অংশীদারিত্ব অগ্রযাত্রার নিয়ামক শক্তি। সেখানে হাসিনা সরকার যুগান্তকারী অবদান রেখেছে। ২০১৭ সালে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম এক গবেষণা জরিপে দেখায় নারী-পুরুষের সমতার ভিত্তিতে বাংলাদেশ বিশ্বের ৪৭তম। আর দক্ষিণ এশিয়ায় একেবারে শীর্ষে। ভারতসহ অন্যান্য দেশ বাংলাদেশ থেকে অনেক পেছানো। মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের চতুর্থতম আর সবজি ফলনে আমরা একেবারে তৃতীয় অবস্থানে। আর শিল্প খাত থেকে দেশের যে সিংহভাগ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয় সেখানে পোশাকশিল্প সবচেয়ে এগিয়ে। উল্লেখ্য, এসব জায়গায় সাধারণ শ্রমজীবী মানুষের অসামান্য ভূমিকায় উন্নয়নের বিভিন্ন সূচকে এমন জোয়ার। অর্থাৎ সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান এখন প্রশ্নাতীতভাবে বেড়েই চলেছে। এসব প্রবৃদ্ধির নিরন্তর এগিয়ে যাওয়ার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকে সর্বক্ষেত্রে নারীদের গুরুত্বপূর্ণ অংশগ্রহণ। বাংলাদেশ সেই গন্তব্যেও ক্রমান্বয়ে এগিয়ে যাচ্ছে। অর্থাৎ এতদিন স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান এতটাই অগ্রগামী যাতে করে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রের কাতারে উঠে আসতে তাকে বেগ পেতে হয়নি। স্বাধীনতার এই মহিমান্বিত মাসে আমাদের আরও একটি বড় অর্জন অর্থনীতির তিন সূচকে নির্ধারিত পয়েন্টকে ধরে ফেলায় বাংলাদেশ জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসি কর্তৃক স্বীকৃতি পায় উন্নয়নের বৈশ্বিক মর্যাদায়। মাথাপিছু আয়, মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতাÑ এই তিন ক্ষেত্রে উন্নয়নশীল দেশের সমপর্যায়ে আসতে পারায় বাংলাদেশ এই কাক্সিক্ষত ও অনবদ্য স্বীকৃতিটি পায়। এই তিন সূচকের যে কোন দুটিতে আসতে পারলে এমন কৃতিত্বের অধিকারী হওয়া যায়। বাংলাদেশ শুধু তিনটিতেই নয় বরং যেটুকু নির্ধারিত ছিল তার চেয়েও কিছু এগিয়ে। অর্থনৈতিক ভঙ্গুরতা সূচকে যেখানে ৩২ পয়েন্টের নিচে থাকার কথা, সেখানে বাংলাদেশের অর্জন ২৫.২% মানবসম্পদ উন্নয়নে ৬৬-এর জায়গায় আমাদের অবস্থান ৭৩.২ আর মাথাপিছু আয়ের ১ হাজার ২৩০ মার্কিন ডলার হওয়া জরুরীÑ সেখানে বাংলাদেশের আছে ১২৭৪ ডলার। উন্নয়নশীল দেশের পাশে নিজের অবস্থান আরও শক্ত করতে এবং জনগণের দ্বারে এ সুফল পৌঁছাতে হলে ক্রমবর্ধমান প্রবৃদ্ধির ধারাকে আরও এগিয়ে নিতে হবে। যা শুধু ব্যক্তিক কর্মযোগ কিংবা সফলতা নয়, পুরো আর্থ-সামাজিক অবয়বের ওপর তার সার্বিক প্রতিফলন পড়াও বিশেষ বিবেচ্য। দেশ এখন শিল্প, বাণিজ্য আর ব্যবসার ক্ষেত্রে নতুন নতুন উদ্যোক্তা তৈরি করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছে। উন্নয়নশীল দেশের সারিতে আসায় আগের স্বল্প সুদে ঋণ কিংবা উন্নত দেশের সাহায্য-সহযোগিতার বদলে বাংলাদেশ এখন সংশ্লিষ্ট দেশের অর্থনৈতিক কর্মকা-ে অংশীদারিত্বেরও সুযোগ পাবে। যা আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যে নতুন মাত্রা যোগ করবে। শিল্পোন্নত দেশের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নেমে আরও উদ্যোক্তা তৈরি যেমন কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র প্রসারিত করবে, একইভাবে আন্তর্জাতিক ব্যবসা-বাণিজ্য আর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনেও যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে। সম্ভাবনাময় বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সম্পদের যথাযথ ব্যবহার এবং উপযুক্ত বিনিয়োগ দেশও বৈশ্বিক সীমানায় নিজের অবস্থান আরও এগিয়ে নিতে নির্ণায়কের ভূমিকা পালন করবে। যে অপার সম্ভাবনায় বাংলাদেশ এগিয়ে গেল তাকে আরও যুগোপযোগী করা সর্বমানুষের দায়বদ্ধতা। লেখক : সাংবাদিক
×