ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনই স্থায়ী সমাধান

প্রকাশিত: ২০:১৮, ২৪ মে ২০২২

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনই স্থায়ী সমাধান

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সংশ্লিষ্ট দেশগুলো থেকে রাজনৈতিক চাপ এখনো অপ্রতুল বলে মনে করেন জলবায়ু বিশেষজ্ঞ কোস্ট ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি বলেন, জাতিসংঘের উচিৎ সবার আগে মিয়ানমার সরকারের ওপর রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নিতে চাপ প্রয়োগ করা। মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানায় রোহিঙ্গা পুনর্বাসন নিয়ে কাজ করা সংগঠন কোস্ট ফাউন্ডেশন। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রসঙ্গে রেজাউল করিম বলেন, সম্প্রতি কক্সবাজার সফরে আসা জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার (এইচসি) ফিলিপ গ্রান্ডির সঙ্গে কথা বলার সুযোগ হয়েছিলো আমার। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনকেই একমাত্র স্থায়ী সমাধান মনে করি; এক্ষেত্রে অন্য কোনো বিকল্প চিন্তার সুযোগ নেই। আমাদের সম্পদ, কক্সবাজারের প্রাকৃতিক সম্পদ ঝুঁকিতে পড়েছে। রেজাউল করিম আরও বলেন, সংকট সমাধানে আমরা দুটি সহজ কিন্তু কার্যকর পদক্ষেপের প্রস্তাব করতে চাই- প্রথমত রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে প্লাস্টিক ব্যবহার নিষিদ্ধ করা। কারণ প্লাস্টিক আমাদের জমির উর্বরতা নষ্ট করছে। অগভীর এবং গভীর নলকূপের মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহার বন্ধ করা। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য বিশুদ্ধ পানীয় জল সংরক্ষণ করতে হবে। জলবায়ু এই বিশেষজ্ঞ বলেন, উখিয়ায় এরই মধ্যে নলকূপ স্থাপনে স্থানীয় জনগোষ্ঠীকে তুলনামূলকভাবে গভীরে পানি খুঁজতে হচ্ছে। এ সমস্যা সমাধানে ভূ-পৃষ্ঠের পানি ব্যবহারের ওপর, বিশেষ করে নাফ নদীর পানি ব্যবহারে জোর দিতে হবে। তিনি বলেন, দশ লাখের বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিতে গিয়ে বাংলাদেশ একটি কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। আমাদের প্রধানমন্ত্রীর একটি পরিকল্পনা রয়েছে এবং ইতোমধ্যে সরকার কক্সবাজারে অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য প্রায় ৭০টি প্রকল্পে ৩৩ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছেন, আমরা বাংলাদেশি এবং কক্সবাজারের স্থানীয় জনগণ এর সুবিধা নিতে চাই। আমরা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনকেই একমাত্র স্থায়ী সমাধান মনে করি; এক্ষেত্রে অন্য কোনো বিকল্প চিন্তার সুযোগ নেই। আমরা উল্লেখ করতে চাই যে, আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন- আমরা ১৬ কোটি মানুষের জন্য খাবার যোগাড় করতে পারলে, প্রত্যাবাসন না হওয়া পর্যন্ত আমরা ১০ লাখ শরণার্থীকেও খাওয়াতে পারবো। তিনি আরও বলেন, কক্সবাজার এমন একটি জেলা যেখানে দেশের অন্যান্য জেলার তুলনায় স্থানীয় সুশীল সমাজ সংগঠন বৃদ্ধির প্রবণতা কম। আমরা বিশ্বাস করি যে স্থানীয় নাগরিক সমাজ গণতন্ত্রের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং মানবাধিকার ও রোহিঙ্গা শরণার্থীদের মানবিক মর্যাদাকে সম্মান করার সর্বোত্তম ক্ষেত্র। আমরা মনে করি, এই ক্ষেত্রে বিশেষ তহবিল বকা পুল ফান্ডের প্রয়োজন রয়েছে। বাংলাদেশে একটি সক্রিয় ও সচেতন নাগরিক সমাজ রয়েছে এবং এই ধরনের তহবিলে নাগরিক সমাজের গণতান্ত্রিক মালিকানা রয়েছে, তাই আমরা এই বিষয়ে কারো কোনও একচেটিয়াত্ব দেখতে চাই না।
×