ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

জার্মান-বাংলাদেশী দম্পতি প্যাট্রিক-ইভার লালমনিরহাটে ঈদ পালন

প্রকাশিত: ১৬:৩৪, ২০ মে ২০২২

জার্মান-বাংলাদেশী দম্পতি প্যাট্রিক-ইভার লালমনিরহাটে ঈদ পালন

নিজস্ব সংবাদদাতা, লালমনিরহাট ॥ পবিত্র ঈদ উল ফিতরের আনন্দ ভাগাভাগি করতে সুদূর জার্মানি থেকে ছুটে এসেছেন লালমনিরহাটে শ্বশুড় বাড়িতে জার্মান-বাংলাদেশী দম্পতি প্যাট্রিক-ইভা। প্রথমবার শ্বশুরবাড়িতে ঈদ উদযাপন করতে পেরে দারুণ খুশী প্যাট্রিক। এই জুটি ফেসবুক, ইউটিউবসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল জনপ্রিয়তা পেয়েছে। শ^শুড়বাড়িতে এসে জামার্ন নাগরিক ড. প্যাট্রিক মুলার ধান মাড়াই, লুঙ্গি-গামছা পড়ে পুকুরে জাল দিয়ে মাছ ধরেছেন। বাঙালী খাবার তারখুব প্রিয়। হাত দিয়ে বাঙালীর মত করে খাবার খেয়েছে। শ^শুড় বাড়িতে বেড়াতে এসে শ্বশুড়বাড়ি তো বটেই পাড়াপ্রতিবেশী সকলের মন জয় করে নিয়েছে। জানা গেছে, জার্মানী নাগরিক ড. প্যাট্রিক মুলার ও বাংলাদেশের মৌসুমী আক্তার ইভার দাম্পত্য জীবনের শুরুটা বাংলা চলচিত্রের মত। ২০১৬ সালে মাস্টার্স করতে জার্মানিতে যায় লালমনিরহাটের মেয়ে ইভা। পড়াশুনার পাশাপাশি রেস্টুরেন্টে চাকরি করতে হয়। সেই রেস্টুরেন্টে আসা যাওয়া ছিল অর্থনীতিতে পিএইচডি করা ড. প্যাট্রিক মুলারে। সেখানে দুই জনের মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। সেই বন্ধুত্ব হতে ভাললাগা। ভাললাগাটা হতে ভালবাসা। দীর্ঘ ৬ মাসের প্রেম তারপর ভালবাসার স্থায়ীরুপ পায় বিবাহবন্ধনে। এই বিয়ে সম্পর্কে ইভার পরিবারকে জানায়নি ইভা। হুট করে বিয়ে করেন জার্মান-বাংলাদেশী দম্পতি প্যাট্রিক-ইভা। বিয়ের এক বছর পর এই দম্প্রতির কোল আলো করে জন্ম নেয় ফুটফুটে পুত্র সন্তান ইউহান। প্যাট্রিক বর্তমানে বার্লিনের একটি সনামধ্যন্য বে-সরকারি কোম্পানীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। ৪ বছরের সংসার জীবন চলছে এই দম্প্রতির। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশের প্রাকৃতিক রূপ দেখে মুগ্ধ হয়ে যায় জার্মান জামাই ড.প্যাট্রিক মুলার। ইভার কাছে ইচ্ছে প্রকাশ করে বাংলাদেশে যেতে। ইভার পরিবারকে নিয়ে পবিত্র ঈদ উল ফিতর করতে চান প্যাট্রিক। তার ইচ্ছায় দেশে আসা। ১৫ দিন শ্বশুরালয়ে ড. প্যাট্রিক মুলার জামাই আদরে ছিলেন। বিদায় বেলা আবেগঘন মুহুর্তের সৃষ্টি হয়। এই দৃশ্য ছিল খুব বেদনার। বাংলাদেশের মানুষ কে শ^শুড় বাড়ির মানুষকে ত্যাগ করে নিজ দেশে ফিরে যেতে তার মন চাইছিল না। তাই সে নিজেও কেঁদেছেন, শ্বশুরবাড়ির স্বজন ও তাঁকে বিদায় জানাতে আসা সকলকে কাঁদিয়েছেন। গ্রাম জুড়ে প্রশংসায় ভাসছেন বিদেশী জামাই ড. প্যাট্রিক মুলারের। জামার্নির মানুষ দৃঢচেতা হয় কিন্তু জামাই খুবে আবেগি ও সহজসরল।
×