ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

দেশের অর্থনীতিতে গতিসঞ্চারে ভূমিকা রাখতে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির

প্রকাশিত: ১৮:৫৩, ২৫ জানুয়ারি ২০২২

দেশের অর্থনীতিতে গতিসঞ্চারে ভূমিকা রাখতে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান রাষ্ট্রপতির

অনলাইন রিপোর্টার ॥ আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের দ্বাররক্ষী হিসেবে পরিবেশ নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে গতিসঞ্চারে ভূমিকা রাখতে বাংলাদেশ কাস্টমসকে যথাযথ দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। আগামীকাল ২৬ জানুয়ারি ‘আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস-২০২২’ উপলক্ষে মঙ্গলবার এক বাণীতে তিনি এ আহ্বান জানান। আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস ২০২২ উপলক্ষে বাংলাদেশ কাস্টমস এর সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সেবাগ্রহীতা এবং শুল্ককর প্রদানকারী সকল অংশীজনদের আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য তথা আমদানি-রফতানির ক্ষেত্রে কাস্টমস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। বাংলাদেশ কাস্টমস অত্যন্ত দৃঢ়তার সঙ্গে এসব কার্যক্রম পরিচালনা করছে। আমদানি-রফতানি কার্যক্রমকে সহজ, স্বচ্ছ ও গতিশীল করার জন্য বাংলাদেশ কাস্টমসের কার্যক্রমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকল সরকারি-বেসরকারি সংস্থা এবং ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের নিবিড় যোগাযোগ স্থাপন খুবই জরুরি। এক্ষেত্রে প্রযুক্তির যথাযথ ব্যবহারের কোনো বিকল্প নেই। এ প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘স্কেলিং আপ কাস্টমস ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনস বাই এম্ব্রাসিং অ্যা ডাটা কালচার অ্যান্ড বিল্ডিং অ্যা ডাটা ইকোসিসটেম’ সময়োপযোগী হয়েছে বলে রাষ্ট্রপতি উল্লেখ করেন। আবদুল হামিদ বলেন, নিরাপদ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য নিশ্চিত এবং বাণিজ্যবান্ধব পরিবেশ তৈরি করা শুল্ক বিভাগের অন্যতম দায়িত্ব। এজন্য কাস্টমস প্রশাসনের অবকাঠামোসহ সার্বিক প্রাতিষ্ঠানিক দক্ষতা বৃদ্ধি ও উন্নয়নের বিকল্প নেই। এ বিবেচনায় বর্তমান সরকার কাস্টমস বিভাগের আধুনিকায়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে। কাস্টমস ব্যবস্থাপনার অটোমেশন, করদাতাদের দ্রুত সেবা প্রদান, আমদানি-রফতানি সরলীকরণ, কন্টেইনার/কার্গো স্ক্যানিং, বাণিজ্য ও ট্যারিফ উদারীকরণসহ ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো (এনএসডব্লিউ), ডাটা অ্যানালাইসিস এবং আধুনিক ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে চোরাচালান এবং জালজালিয়াতি প্রতিরোধে বাংলাদেশ কাস্টমস বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছে। তিনি বলেন, তথ্যপ্রযুক্তি ভিত্তিক আধুনিক কাস্টমস ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে একদিকে যেমন রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি পাবে এবং তেমনি আমদানি-রফতানি বাণিজ্যে অসাধু তৎপরতাও হ্রাস পাবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, বাংলাদেশ কাস্টমস দেশের আমদানি-রফতানি বাণিজ্যের প্রসারকল্পে ডিজিটাল পদ্ধতিসহ আন্তর্জাতিক রীতিনীতি দ্রুত বাস্তবায়ন করে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে আরো তৎপর হবে। সঙ্গে সঙ্গে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের দ্বাররক্ষী হিসেবে পরিবেশ নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে গতিসঞ্চার করতে সক্ষম হবে। তিনি আন্তর্জাতিক কাস্টমস দিবস-২০২২’ উপলক্ষ্যে গৃহীত কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।
×