ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

বরিশালে আম্মানিয়া এতিমখানা

ছাত্র ছয়জন, সরকারী বরাদ্দ নিচ্ছে ৩০ জনের

প্রকাশিত: ২৩:৪২, ২৪ জানুয়ারি ২০২২

ছাত্র ছয়জন, সরকারী বরাদ্দ নিচ্ছে ৩০ জনের

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ ছাত্র রয়েছে মোট ছয়জন। অথচ কাগজপত্রে গরমিল করে প্রতিমাসে সমাজসেবা অফিস থেকে ৩০ এতিমের নামে টাকা উত্তোলন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি বরিশাল সদর উপজেলার চরকাউয়া ইউনিয়নের কর্ণকাঠী আম্মানিয়া এতিমখানার। জানা গেছে, ২০২১ সালের মাঝের দিকে অনেকদিন বন্ধ ছিল এতিমখানাটি। গত বছরের শেষের দিকে মাত্র ১৪ ছাত্র নিয়ে ফের চালু হয় এতিমখানাটি। বর্তমানে ওই এতিমখানায় ছাত্র রয়েছে মাত্র ছয়জন। এর মধ্যে এতিম শিক্ষার্থী রয়েছে মাত্র তিনজন। তারপরেও কীভাবে ৩০ এতিমের নামে সরকারী বরাদ্দ পাচ্ছেন? জানা গেছে, সরকারী ক্যাপিটেশনপ্রাপ্ত এতিমখানায় ৩০ এতিমের বরাদ্দ নিতে হলে সেই এতিমখানায় কমপক্ষে ৬০ জন এতিম থাকতে হবে। নতুবা ওই প্রতিষ্ঠান সরকারী বরাদ্দ পাবে না। মাদ্রাসায় গিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে ছয়জন ছাত্রের মধ্যে মাত্র তিন শিক্ষার্থী এতিম। একজন পাশের মাদ্রাসার অধ্যক্ষের ভাগ্নে। অন্য দুইজনের মধ্যে একজন স্থানীয়, আর একজনের মা-বাবা সবাই বেঁচে আছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এতিমখানা পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক গণি সরদার প্রতারণার মাধ্যমে ব্যাপক অনিয়ম করে সরকারী অর্থ তুলে আত্মসাত করছেন। স্থানীয়রা এতিম শিশুদের নামে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাতের বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এতিমখানার প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা আনছার উদ্দিন বলেন, এতিমখানাটি সঠিকভাবে পরিচালিত হচ্ছে না। এটি এখন সরকারী বরাদ্দের টাকা আত্মসাতসহ ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে রূপ দিয়েছে বর্তমান কমিটির নেতৃবৃন্দ। এতিমখানার সুপার মাওলানা মোছাদ্দেক বিল্লাহ বলেন, আমি কিছু দিন হয়েছে এখানে এসেছি। তাই সঠিকভাবে কিছু বলতে পারব না। তিনি আরও বলেন, আমি এখানে যোগদানের পর ১২ জন ছাত্র পেয়েছি। তার মধ্যে কিছু ছাত্র ছুটিতে রয়েছে। এতিমখানায় সরকারী বরাদ্দ আসার বিষয়ে তিনি (সুপার) কিছুই জানেন না বলে উল্লেখ করেন। অভিযোগের বিষয়ে জেলা সামজসেবা অফিসের এক কর্মকর্তা বলেন, খোঁজখবর নিয়ে অভিযোগের সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
×