ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

মধ্যরাতে চবি ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১৩

প্রকাশিত: ১৭:১০, ১৯ জানুয়ারি ২০২২

মধ্যরাতে চবি ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১৩

চবি সংবাদদাতা ॥ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ১৩ ছাত্রলীগ কর্মী আহত হয়েছে । মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে সোহরাওয়ার্দী ও শাহ আমানত হলসংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। জানা যায়, সোমবার মধ্যরাতে চবি ছাত্রলীগের উপগ্রুপ বিজয়ের এক নেতার জন্মদিনের অনুষ্ঠানে ইট নিক্ষেপ করে অপর উপগ্রুপ সিএফসি। এ নিয়ে দুই পক্ষে দিনভর উত্তেজনা বিরাজ করে । পরে মঙ্গলবার মধ্যরাতে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। বিজয় সোহরাওয়ার্দী ও সিএফসি আমানত হলে অবস্থান নিয়ে ইটপাটকেল ও কাঁচের বোতল নিক্ষেপ করতে থাকে। এসময় ১৩ জন কর্মী আহত হয়েছে বলে ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে। এদের মধ্যে ৩ জনকে চবি মেডিকেল সেন্টারে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বিবদমান উভয় পক্ষ শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী। এদিকে চলমান উত্তেজনার পেছনের কারণটি শাখা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি বলে মনে করছেন অনেকে। বিজয়ের নেতা মো. ইলিয়াছ বলেন, পূর্ণাঙ্গ কমিটি বানচাল করার জন্যই সভাপতির লোকেরা আমাদের উপর হামলা করছে। অভিযোগ অস্বীকার করে চবি ছাত্রলীগ সভাপতি রেজাউল হক রুবেল বলেন, ছাত্রলীগের চলমান অগ্রযাত্রা ব্যাহত করতেই এই হামলা করেছে ইলিয়াছের অনুসারীরা। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১৩ জুলাই রেজাউল হক রুবেলকে সভাপতি ও ইকবাল হোসেন টিপুকে সাধারণ সম্পাদক করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়। এরপর আড়াই বছর পার হলেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে পারেনি চবি শাখা ছাত্রলীগ। এরইমাঝে গত ১৩ জানুয়ারি ছাত্রলীগের দুই কেন্দ্রীয় নেতা বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শনে আসলে বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক আটকে দ্রুততম সময়ের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি দেয়ার দাবি জানায় কয়েকটি গ্রুপ। এসময় কেন্দ্রীয় নেতাদের উপস্থিতিতে ২৫ জানুয়ারির মধ্যে শাখা ছাত্রলীগের কমিটি পূর্ণাঙ্গ করার ঘোষণা দেন চবি ছাত্রলীগের সভাপতি রেজাউল হক রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন টিপু। এরপর থেকেই ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে সহকারী প্রক্টর ড. রামেন্দু পাড়িয়ালকে আহ্বায়ক এবং এস.এ.এম. জিয়াউল ইসলামকে সদস্য সচিব করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন সোহরাওয়ার্দী হলের আবাসিক শিক্ষক ড. মোরশেদুল আলম ও শাহ আমানত হলে আবাসিক শিক্ষক হাসান মোহাম্মদ রোমান শুভ।
×