ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

শিমুকে হত্যার পর নিখোঁজের জিডি করেন স্বামী

প্রকাশিত: ১১:৩১, ১৯ জানুয়ারি ২০২২

শিমুকে হত্যার পর নিখোঁজের জিডি করেন স্বামী

অনলাইন ডেস্ক ॥ অভিনেত্রী রাইমা ইসলাম শিমুকে হত্যার পর তার স্বামী সাখাওয়াত আলী নোবেল স্ত্রী নিখোঁজ হওয়ার কারণ দেখিয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন। রবিবার (১৬ জানুয়ারি) রাতে রাজধানীর কলাবাগান থানায় এই জিডি করেন তিনি। পুলিশের ধারণা, স্ত্রীকে হত্যার পর নিজেকে সন্দেহের বাইরে রাখতেই জিডি করেছিলেন। জিডির তদন্ত কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক (এসআই) বিপ্লব হাসান বলেন, জিডিতে নোবেল উল্লেখ করেছেন, তার স্ত্রী সকালে কাউকে না বলে বেরিয়েছেন। এরপর থেকে কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এর আগে সোমবার (১৭ জানুয়ারি) সকালে বস্তাবন্দি শিমুর মরদেহ উদ্ধার করে কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ। এরপর আটক করা হয় নোবেলসহ দুজনকে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া শিমু হত্যার তথ্য। পুলিশ জানায়, নোবেল তার বাল্যবন্ধু গাড়িচালক এস এম ওয়াই আব্দুল্লাহ ফরহাদের সহযোগিতায় শিমুর মরদেহ দুটি চটের বস্তায় ভরেন। এরপর মরদেহ কেরানীগঞ্জের হযরতপুর ইউনিয়নের আলীপুর ব্রিজের ৩০০ গজ দূরে সড়কের পাশে ঝোপের ভেতর ফেলে আসা হয়। ঢাকা জেলা পুলিশ বলছে, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দায় স্বীকার করেছেন নোবেল। হত্যার কারণ হিসেবে তিনি পারিবারিক কলহের কথা জানিয়েছেন। তবে বিস্তারিত তদন্ত শেষে প্রকৃত কারণ বলা যাবে। শিমু হত্যার ঘটনায় কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় মামলা করেছেন নিহতের ভাই শহীদুল ইসলাম খোকন। এতে আসামি করা হয় নোবেল, তার বন্ধু ফরহাদ ও আরেকজনকে। এর আগে মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মারুফ হোসেন সরদার নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলেন, পারিবারিক বিষয় ও দাম্পত্য কলহের কারণে শিমুকে হত্যা করা হয়। হত্যা করেন নোবেল এবং মরদেহ গুম করতে সহায়তা করেন ফরহাদ। মঙ্গলবার (১৮ জানুয়ারি) ময়নাতদন্ত শেষে ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ বলেন, শিমুর গলায় দাগ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, রশি বা এ জাতীয় কিছু দিয়ে তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে। শিমু হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় নোবেল ও নোবেলের বন্ধু আব্দুল্লাহ ফরহাদকে তিনদিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কেরানীগঞ্জ মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) চুন্নু মিয়া মঙ্গলবার আসামিদের আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে সন্ধ্যায় ঢাকার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রাবেয়া বেগম তিনদিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
×