ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

করোনা চিকিৎসায় নতুন দুই পদ্ধতি অনুমোদন

প্রকাশিত: ২২:২৬, ১৫ জানুয়ারি ২০২২

করোনা চিকিৎসায় নতুন দুই পদ্ধতি অনুমোদন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) শুক্রবার করোনার নতুন দুই চিকিৎসা পদ্ধতির অনুমোদন দিয়েছে। এ ভাইরাসজনিত গুরুতর অসুস্থতা ও মৃত্যু প্রতিরোধ করতে অন্যান্য টিকার পাশাপাশি নতুন এই চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করা যাবে। এদিকে বিশ্বব্যাপী করোনা আক্রান্ত ৩২ কোটি ১২ লাখ ১৬ হাজার ২৮৯ জন। মৃত্যু ৫৫ লাখ ৪১ হাজার ২৮ জন। মোট সুস্থ ২৬ কোটি ৪৩ লাখ ৪৩ হাজার ৫৭৮ জন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ওমিক্রন ধরনে সংক্রমিত ব্যক্তিদের হাসপাতালে যাওয়ার হার বাড়ছে। ডব্লি¬উএইচও আশঙ্কা করছে, আগামী মার্চ মাসের মধ্যে ইউরোপের অর্ধেক মানুষ করোনা সংক্রমিত হবে। ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নালে (বিএমজে) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, করোনায় গুরুতর অসুস্থ রোগীদের কর্টিকসটারয়েডস নামে একটি ওষুধের সঙ্গে আর্থ্রাইটিসের ওষুধ বারিসিটিনিব প্রয়োগ করলে ভেন্টিলেশনে নেয়ার ঝুঁকি কমে যায়। মৃত্যুর ঝুঁকিও কমে। যারা বয়স্ক, রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কম কিংবা ডায়াবেটিসের মতো কোন রোগে ভুগছেন, তাদের করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে যাওয়ার ঝুঁকি কমাতে বিশেষজ্ঞরা সিনথেটিক এ্যান্টিবডি চিকিৎসা পদ্ধতি সট্রোভিম্যাবের সুপারিশ করেছেন। তবে করোনা সংক্রমিত যাদের হাসপাতালে চিকিৎসা নেয়ার ঝুঁকি কম, তাদের ক্ষেত্রে সট্রোভিমাব প্রয়োগের খুব বেশি প্রয়োজন আছে বলে মনে করা হয় না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, ওমিক্রনের মতো করোনার নতুন ধরনের বিরুদ্ধে এটি কতটা কার্যকর, তা এখনও অনিশ্চিত। করোনার আরও তিনটি চিকিৎসা পদ্ধতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পেয়েছে। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে করোনা সংক্রমিত গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তিদের চিকিৎসায় কর্টিকসটারয়েডসের প্রয়োগ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পায়। কর্টিকসটারয়েডের দাম কম। গুরুতর অসুস্থতার ক্ষেত্রে এটি দ্রুত কার্যকর। গত বছরের জুলাইয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পায় আর্থ্রাইটিসের আরও দুটি ওষুধ টসিলিজুম্যাব ও সারিলুম্যাব। তবে এসব ওষুধ থেকে নতুন অনুমোদন পাওয়া বারিসিটিনিব কিছুটা আলাদা। ভারতে সংক্রমণ বাড়লেও কমেছে মৃত্যু ॥ ভারতে বৃহস্পতিবার দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় আড়াই লাখ ছুঁয়ে ফেলেছিল। শুক্রবার তা আরও ৬.৭ শতাংশ বেড়ে দাঁড়ায় ২ লাখ ৬৪ হাজার অর্থাৎ দেশটিতে এখন দৈনিক গড়ে আড়াই লাখ করে করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও মৃত্যু বাড়েনি। শুক্রবার ভারতে প্রাণ হারায় ৩১৫ জন। বৃহস্পতিবারের তুলনায় সংখ্যাটা কিছুটা কম।
×