ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নির্বাচনী প্রচার তুঙ্গে

প্রকাশিত: ২৩:১০, ১৪ জানুয়ারি ২০২২

নির্বাচনী প্রচার তুঙ্গে

শরীফুল ইসলাম ॥ আর মাত্র একদিন পর নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের (নাসিক) নির্বাচন। প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচার তুঙ্গে। আজ মধ্য রাতেই শেষ হচ্ছে নির্বাচনী প্রচার। তাই ভোটারদের মন জয় করতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে মেয়র কাউন্সিলররা শেষ মুহূর্তের প্রচারে দিন-রাত ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে সকল প্রার্থীই নির্বাচনী প্রচারে কিছুটা কৌশল পরিবর্তন করেছে। এর অংশ হিসেবে পরস্পরবিরোধী প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের কাছে টানার চেষ্টা চলছে। প্রচার কৌশলে কে কাকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যাবে এ নিয়ে তীব্র প্রতিযোগিতা চলছে। আর এ প্রতিযোগিতার ফল দেখতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে মহানগরবাসী। সূত্র জানায়, শেষ মুহূর্তে নাসিক নির্বাচনে ভোটের হিসাব কষতে গিয়ে প্রার্থীরা সরাসরি ভোটারদের সঙ্গে গণসংযোগের পাশাপাশি বিপরীত মেরুর প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন। আগের কৌশল পরিবর্তন করে অতি গোপনে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন প্রার্থীরা। এ কৌশল প্রয়োগ করতে গিয়ে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াত আইভী যেমন বিএনপির একাংশকে কাছে টানার চেষ্টা করছেন তেমনি বিএনপি নেতা হিসেবে পরিচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকারও আওয়ামী লীগের একাংশকে কাছে টানার চেষ্টা করছেন। কাউন্সিলর প্রার্থীরাও নিজ নিজ ওয়ার্ডে এ কৌশল প্রয়োগ করছেন বলে জানা যায়। ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থীদের প্রতীক সম্বলিত পোস্টারে ছেয়ে গেছে নারায়ণগঞ্জের প্রতিটি অলি-গলি ও পাড়া-মহল্লা। প্রার্থীদের পাশাপাশি তাদের কর্মী সমর্থকরাও বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছে। প্রতিটি এলাকায় দিনভর হচ্ছে খ- খ- মিছিল। হোটেল-রেস্তরাঁ, দোকানপাট, বাস স্টেশনসহ সর্বত্র নির্বাচনী আলাপ নিয়ে মত্ত নগরবাসী। নির্বাচনের পরিবেশ অনুকূলে থাকায় প্রার্থীরা সবাই সমানতালে গণসংযোগ করছে। মুখে মুখে পাল্টাপাল্টি বক্তব্য থাকলেও কোন সংঘাত-সহিংসতার ঘটনা ঘটছে না। প্রতিটি অলি-গলি ও রাজপথের মোড়ে মোড়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রয়েছে অধিকতর তৎপর। নগরবাসীর প্রত্যাশা ভোট শেষ না হওয়া পর্যন্ত যেন এ পরিবেশ বজায় থাকে। এদিকে দেশে আবার করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ায় আজ থেকে বিধিনিষেধ জারি করা হলেও তা উপেক্ষা করেই নাসিক নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থী ও তাদের কর্মী-সমর্থকরা গণসংযোগসহ বিভিন্নভাবে নির্বাচনী প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে। বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীকে সঙ্গে নিয়ে অন্য প্রার্থীদের প্রচারে এগিয়ে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী ডাঃ সেলিনা হায়াত আইভী ও বিএনপি নেতা হিসেবে পরিচিত হাতি প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার। তবে নির্বাচনী প্রচারে নেমে কোন প্রার্থী এবং তাদের কর্মী সমর্থকই করোনা প্রতিরোধে জারি করা সরকারী বিধিনিষেধ মানছেন না। বিভিন্ন সূত্র জানায়, নির্বাচনী প্রচার যেমনই হোক এবার নালায়নগঞ্জের ভোটাররা বুঝেশুনেই ভোট দেবেন। মহানগরের উন্নয়নের জন্য যিনি অধিকতর যোগ্য তাকেই তারা মেয়র হিসেবে বেছে নেবেন। তবে মেয়র পদে শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন সমীকরণ ভোটের ফলে প্রভাব রাখতে পারে বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করছেন। এরমধ্যে রয়েছে- প্রার্থীদের নিজস্ব ভোট ব্যাংক, নিজ নিজ দলীয় ভোট, নতুন ভোট, নারী ভোট, ওসমান পরিবার সমর্থিত ভোট ব্যাংক, হেফাজত সমর্থিত ভোট, জামায়াতের ভোট, সংখ্যালঘুদের ভোট, শ্রমিক- হকার ও দল না করা ভাসমান ভোট। নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্তরের মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতাকর্মী নৌকা প্রতীকের মেয়র প্রার্থী সেলিনা হায়াত আইভীর পক্ষে নির্বাচনী প্রচারে সোচ্চার হলেও ওই সিটির ওসমান পরিবারের সদস্য সাংসদ শামীম ওসমান ও সেলিম ওসমান এখনও আইভীর পক্ষে সরাসরি কাজ করছেন না। আর আইভীও চান না তারা সরাসরি তার পক্ষে কাজ করুক। এ কারণে ওসমান পরিবারপন্থী আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের কিছু নেতাকর্মী আইভীর পক্ষে মাঠে নামেনি। বিশেষ করে সম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করায় পুরো নারায়ণগঞ্জের বিপুলসংখ্যক ছাত্রলীগ নেতাকর্মী আইভীর প্রতি ক্ষুব্ধ হন। ভোটের আগে তাদের মান ভাঙ্গানো সম্ভব না হলে আইভীর বিপক্ষের প্রার্থীর পক্ষে ভোট চলে যেতে পারে বলে অভিজ্ঞ মহল মনে করছে। এছাড়া নারায়ণগঞ্জ শহরে বিভিন্ন ব্যবসা-বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত অনেক মানুষের ওসমান পরিবারের সঙ্গে সুসম্পর্ক রয়েছে। তাই শেষ পর্যন্ত কোন কারণে ওসমান পরিবার যদি আইভীর পক্ষে অবস্থান না করে তাহলে দলীয় ভোট ব্যাংকের একটি অংশ হারাতে পারেন আইভী। আবার কোন কোন মহল মনে করছে ওসমান পরিবার শেষ পর্যন্ত আইভীর বিপক্ষে অবস্থান নিলে বিপরীতমুখী কিছু ভোট আইভীর দিকে চলে আসতে পারে। কারণ, ওসমান পরিবার ইস্যুতে নারায়ণগঞ্জের রাজনীতির হিসাব খুবই জটিল। তবে আইভী সমর্থকরা মনে করছেন শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সর্বস্তরের ভোট, সর্বস্তরের সাধারণ মানুষের ভোট এবং বিএনপির বিদ্রোহী গ্রুপের ভোট সেলিনা হায়াত আইভী পাবেন। বিএনপি সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এবার নাসিক নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচন করায় তৈমুর আলম খন্দকারকে বিএনপি থেকে অব্যাহতি দেয়ার বিষয়টি দলের কৌশলী সিদ্ধান্ত। শেষ পর্যন্ত বিএনপি সমর্থকরা দলীয় হাইকমান্ডের নির্দেশনা মেনে তৈমুর আলম খন্দকারকেই ভোট দেবে। এছাড়া আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীদের ভোট এবং জামায়াত ও হেফাজতের ভোট তৈমুরই পাবেন। এদিকে পরবর্তী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ঢাকার অতি নিকটের নাসিক নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সরকার ও বিরোধী পক্ষ সবাই তৎপর। এ নির্বাচনের ঢেউ কোন দিকে যায় তা দেখার জন্য সবাই অপেক্ষা করছে। তাই নির্বাচন কমিশন চায় একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করে দেশবাসীর বাহবা নিতে। এ কারণেই নির্বাচন কমিশন এ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। অতিসম্প্রতি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করতে গিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে.এম নূরুল হুদা বলেন, নারায়ণগঞ্জের নির্বাচন একটা ভালো উদাহরণ হবে। ১৬ জানুয়ারির নাসিক নির্বাচন প্রভাবশালী মেয়র প্রার্থী নৌকা প্রতীকের সেলিনা হায়াত আইভী ও হাতি প্রতীকের তৈমুর আলম খন্দকারের জন্য অগ্নি পরীক্ষা। তাই এ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য দুই প্রার্থীই ভোট যুদ্ধে মরিয়া। এখন পর্যন্ত সমান তালে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন তারা। সেলিনা হায়াত আইভী ক্লিন ইমেজের বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী নিয়ে সমগ্র সিটি চষে বেড়াচ্ছেন। তৈমুর আলম খন্দকারও বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মীকে নিয়ে শোডাউন করে গণসংযোগ করছেন। দলীয় কর্মী-সমর্থক ছাড়াও আইভীর নিজস্ব ভোট ব্যাংক রয়েছে। এছাড়া বিএনপির সাবেক সাংসদ আবুল কালাম ও গিয়াসউদ্দিন আইভীর পক্ষে থাকায় বিএনপির একাংশের ভোটও তিনি পাবেন বলে আশা করছেন। অপরদিকে তৈমুর আলম খন্দকার আইভীবিমুখ আওয়ামী লীগের কিছু ভোট পাবেন বলে আশা করছেন। আওয়ামী লীগের সাবেক সাংসদ এস এম আক্রাম তৈমুরের পক্ষে থাকায় তার কর্মী-সমর্থকদের ভোট এবং বিএনপির কর্মী-সমর্থকদের পাশাপাশি হেফাজত ও জামায়াতসহ কিছু ইসলামী দলের ভোট তার পক্ষে আসবে। নির্বাচন কমিশন সূত্র জানায়, ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় নাসিক নির্বাচনে ২৭ ওয়ার্ডের ১৯২ ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে। এবার নাসিক নির্বাচনে ভোটার ৫ লাখ ১৭ হাজার ৩৬১ জন। ২০১৬ সালে ভোটার ছিল ৪ লাখ ৭৪ হাজার ৯৩১ জন। সে অনুযায়ী নতুন ভোটার ৪২ হাজার ৪৩০ জন। বিগত নির্বাচনে আইভীর সঙ্গে বিএনপির প্রার্থীর ভোটের ব্যবধান হয়েছিল প্রায় ৮০ হাজার। আইভী পেয়েছিলেন ১ লাখ ৭৫ হাজার ৬১১ ভোট, আর বিএনপির সাখাওয়াত হোসেন খান পেয়েছিলেন ৯৬ হাজার। নাসিক নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচন করছেন ৬ জন। এছাড়া সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ৩৪ জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে নির্বাচন করছেন ১৪৫ জন প্রার্থী। মেয়র পদে প্রার্থীরা হলেন- আওয়ামী লীগের সেলিনা হায়াত আইভী, স্বতন্ত্র থেকে বিএনপির সাবেক নেতা তৈমুর আলম খন্দকার, খেলাফত মজলিসের এবিএম সিরাজুল মামুন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মোঃ রাশেদ ফেরদৌস, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাওলানা মোঃ মাছুম বিল্লাহ ও বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মোঃ জসীম উদ্দিন। ২০১১ সালে সিটি কর্পোরেশন হিসেবে যাত্রা শুরুর পর এবার হচ্ছে নাসিকের তৃতীয় নির্বাচন। এর আগে নাসিক নির্বাচন হয়েছিল ২০১৬ সালের ২২ ডিসেম্বর। আজ শুক্রবার রাত ১২টার পর নির্বাচনী প্রচার করলে ৭ বছরের কারাদ- ॥ আজ রাত ১২টায় শেষ হচ্ছে নাসিক নির্বাচনের প্রচার। এরপর নাসিক নির্বাচনী এলাকায় যে কোন ধরনের প্রচার, সভা, সমাবেশ, মিছিল নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এ নিষেধাজ্ঞা না মানলে সর্বোচ্চ সাত বছর কারাদ-ে দ-িত করা হতে পারে। ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপ-সচিব মোঃ আতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, এ নির্দেশনাটি রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া মাঠে রয়েছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা। কেউ এই আদেশ অমান্য করলে ন্যূনতম ছয়মাস থেকে সর্বোচ্চ সাত বছর কারাদ-ে দ-িত হবেন। কেন্দ্রে কেন্দ্রে মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি ॥ নাসিক নির্বাচনে কেন্দ্রে কেন্দ্রে স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার নূরুল হুদা। এ বিষয়ে তিনি প্রতিটি কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসারদের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন। প্রতিটি কেন্দ্রে পর্যাপ্ত পরিমাণে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতেও বলেছেন তিনি। আর মাস্ক ছাড়া কাউকে কেন্দ্রে কিংবা নির্বাচনের বুথে ঢুকতে না দেয়ার নির্দেশনাও দিয়েছেন। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার মাহফুজা আক্তারও জানিয়ে দিয়েছেন মাস্ক পরা, দূরত্ব বজায় রাখাসহ সাধারণ যে স্বাস্থ্যবিধি তাই মেনে ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে হবে। নাসিক নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য হবে বলে সুজনের আশা ॥ নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন অতীতেও গ্রহণযোগ্য হয়েছে তাই এবারও এ নির্বাচন শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে সুজন। বৃহস্পতিবার দুপুরে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার সংগঠনের পক্ষ থেকে এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয় এবার নাসিক নির্বাচনে উচ্চশিক্ষিত প্রার্থী বেশি এবং প্রধান্য রয়েছে ব্যবসায়ীদের। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রার্থীদের আয়কর বিবরণীর তথ্য প্রকাশ না করে এবং অসম্পূর্ণ হলফনামা প্রকাশের মাধ্যমে নির্বাচন কমিশন ভোটারদের বঞ্চিত করছে। আর হলফনামায় যেসব তথ্য দেয়া হয়েছে, সেগুলো বিস্তারিত নয়। হলফনামার যে ছক, তাও সঠিক নয়। হলফনামাগুলো অত্যন্ত দুর্বল। এতে পরিবর্তন আনতে হবে। নারায়ণগঞ্জের সাংসদ শামীম ওসমান আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন, কিন্তু সিইসি বলেছেন, শাস্তিযোগ্য অপরাধ নয়। কিন্তু আচরণবিধি লঙ্ঘন অবশ্যই শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাই সিইসির বক্তব্য বোধগম্য নয়। নাসিক নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় ও মনিটরিং সেল গঠন করেছে ইসি ॥ নাসিক নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে আইনশৃঙ্খলা সমন্বয় ও মনিটরিং সেল গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। ইসির স্মার্টকার্ড প্রকল্প পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ আবুল কাশেম মোঃ ফজলুল কাদেরের নেতৃত্বে গঠিত ওই সেলে আরও চারজন সদস্য রাখা হয়েছে। এতে রয়েছেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের উপসচিব পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা, পুলিশ সুপার বা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা, বিজিবি বা র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব) বা আনসার ও ভিডিপির উপ-পরিচালক পদমর্যাদার একজন ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বা সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার একজন কর্মকর্তা।
×