ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিআরটিএ’র ব্যাখ্যা

প্রকাশিত: ২৩:৪৬, ১২ জানুয়ারি ২০২২

বিআরটিএ’র ব্যাখ্যা

দৈনিক জনকণ্ঠ পত্রিকায় গত ৩০/১২/২০২১ তারিখে ‘ভুয়া লাইসেন্সের রাজত্ব’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের কিছু অংশের প্রতিবাদ ও ব্যাখ্যা দিয়েছে বিআরটিএ। উপ-পরিচালক জামাল উদ্দিন স্বাক্ষরিত প্রতিবাদলিপিতে বলা হয়েছে ‘বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্সির অনেক ভিসা বাতিল হয়ে গেছে- শুধু সময়মতো লাইসেন্স না পাওয়ায়- এ অভিযোগটি সত্য নয়। যিনি এতদিন নিজেই তাদের প্রশ্রয় দিয়েছেন সেই জামালকে দিয়েই তন্ময়ের দুর্নীতি তদন্ত করানোর সিদ্ধান্তে অসন্তোষের তথ্যটিও সত্য নয়। একইভাবে সালাহ উদ্দিন নামের ভুক্তভোগী গ্রাহক চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত যে অভিযোগ করেছে- সে বিষয়ে উপপরিচালক এনফোর্সমেন্টকে আহ্বায়ক করে একজন বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেটকে সদস্য করে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে যার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। প্রকৌশল শাখার একজন কর্মকর্তা জানান মর্মে যেই কর্মকর্তার উদ্ধৃতি দেয়া হয়েছে তা গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ তার নাম ও পদবি উল্লেখ করা হয়নি বিধায় উক্ত বক্তব্য যাচাই করা সম্ভব নয়। প্রকৃত পক্ষে বিআরটিএ’র সার্কেল অফিসের লাইসেন্সিং অথরিটির আইন মোতাবেক ড্রাইভিং কম্পিটেন্সি টেস্ট বোর্ডের মাধ্যমে পরিচালিত দক্ষতা যাচাইয়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদেরকেই লাইসেন্স ইস্যু করা হয়। এখানে ভুয়া লাইসেন্সের কোন সুযোগ নেই। এ ছাড়া চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদারের যে সকল বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে- তা যথাযথ হয়নি। প্রতিবেদকের বক্তব্য-প্রকৃতপক্ষে প্রতিষ্ঠানটির প্রধানের বক্তব্যেই বলা হয়েছে, তিন হাজার ভুয়া লাইসেন্স বাতিল করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রকাশিত সংবাদের পর বিআরটিএ কর্তৃপক্ষ ভুয়া লাইসেন্স প্রদানকারীদের বিরুদ্ধে সাময়িক বরখাস্ত, শোকজ ও তদন্ত করার মতো বিভাগীয় ব্যবস্থাও নেয়া হয়েছে। এতে প্রমাণ হয়, প্রতিবেদনে প্রকাশিত তথ্যে যথেষ্ট সত্যতা নিহিত রয়েছে।
×