জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ গত দু’বছরে শিশুদের করোনা সংক্রমণের ঘটনা কমই চোখে পড়েছে। অতিমারীর প্রথম দিকে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন প্রবীণরা। ডেল্টা ধরনে মাঝবয়সীদের বেশি ভুগতে দেখা গেছে। বর্তমানে ওমিক্রন ধরনে ছোটদের মধ্যে করোনা সংক্রমণের ঘটনা কিছুটা বেড়েছে। ওমিক্রনে প্রাণসংশয় হয়তো কম, কিন্তু চিন্তা বাড়াচ্ছে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, করোনা থেকে সেরে ওঠার পরে অনেক শিশুরই টাইপ ১ ও টাইপ ২ ডায়াবেটিস ধরা পড়ছে। এই সংক্রান্ত একটি গবেষণা সোমবার আমেরিকার ‘সেন্টারস ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এ্যান্ড প্রিভেনশন’ (সিডিসি) প্রকাশ করেছে।
বিশ্বজুড়ে করোনা আক্রান্ত, ৩১ কোটি ১৩ লাখ ৪৩ হাজার ৭২৯ জন। মৃত্যু ৫৫ লাখ ১৪ হাজার ৯১৮ জন। মোট সুস্থ ২৬ কোটি ৮৫ লাখ ১৯ হাজার ২৪ জন। খবর আনন্দবাজার ও ওয়ার্ল্ডোমিটার্সের।
ইউরোপে ইতোমধ্যেই শিশুদের ডায়াবেটিসে আক্রান্তের একাধিক ঘটনা প্রকাশ পেয়েছে। চিকিৎসকেরা জানান, কোভিড থেকে সেরে ওঠার পরে টাইপ ১ এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ছে শিশুদের। কারও কারও ‘ডায়াবেটিক কিটোএ্যাসিডোসিস’ দেখা যাচ্ছে। এতে রক্তে উপস্থিত শর্করা থেকে শক্তি তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় ইনসুলিন যথেষ্ট পরিমাণে তৈরি হয় না। এ অসুখে শিশুর প্রাণসংশয়ও ঘটতে পারে।
বাতাসে ৫ মিনিটেই ক্ষমতা
হারায় করোনা ॥ গবেষণা
গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, খোলা বাতাসে মুক্ত অবস্থায় থাকলে ৫ মিনিটের মধ্যেই ৯০ শতাংশ সংক্রমণ ক্ষমতা হ্রাস পায় করোনার এবং ৫০ শতাংশ সংক্রমণ ক্ষমতা ভাইরাসটি হারায় প্রথম ১০ সেকেন্ডের মধ্যেই। যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব ব্রিস্টলের সাম্প্রতিক এক গবেষণায় উঠে এসেছে এ তথ্য। মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে জানানো হয়, এই গবেষণার মাধ্যমে আরও একবার প্রমাণ হলো করোনা স্বল্প দূরত্বের মধ্যে ছড়ায় এবং এই ভাইরাসটির সংক্রমণ ঠেকাতে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা ও মাস্ক পরা কতখানি গুরুত্বপূর্ণ।
গবেষক দলের প্রধান ও ইউনিভার্সিটি অব ব্রিস্টলের এ্যারোসল রিসার্চ সেন্টারের পরিচালক প্রফেসর জোনাথন রিড বলেন, ‘মানুষের ধারণা, করোনা একটি বায়ুবাহিত রোগ এবং আলো-বাতাস কম আসে- এমন জায়গাতেই করোনা ছড়ায়। এ ধারণা যে একেবারে ভুল- তা আমি বলব না; তবে বাস্তব সত্য হলো এই রোগে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি থাকবে যখন আপনি কোন করোনা আক্রান্ত রোগীর কাছাকাছি অবস্থান করবেন।’
বাজারে আসছে অরেঞ্জ কালারের রে ডিশ ওয়াশ
