ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

৫০ হাজার টাকা জরিমানা কাতার এয়ারওয়েজকে

প্রকাশিত: ২৩:১৭, ১২ জানুয়ারি ২০২২

৫০ হাজার টাকা জরিমানা কাতার এয়ারওয়েজকে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রতিবন্ধী দুই ব্যক্তির কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নিয়েও পছন্দের আসন বরাদ্দ না দেয়ায় মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক কাতার এয়ারওয়েজকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে জরিমানার টাকা পরিশোধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার দীর্ঘ শুনানি শেষে এই রায় ঘোষণা করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর। জানা যায়, বিগত ২০২১ সালের ১৩ জুলাই ডাঃ মৃণাল কুমার সরকার নামে একজন চিকিৎসক তার পরিবারের দুজন বয়স্ক সদস্যের জন্য কাতার এয়ারওয়েজে কানাডা যাওয়ার টিকেট ক্রয় করেন। ওই দুজনের শারীরিক অক্ষমতা (ডিজেবিলিটিজ) থাকায় টিকেট কেনার সময় বিষয়টি উল্লেখ করেন চিকিৎসক মৃণাল। পাশাপাশি টিকেটের মূল্য ছাড়াও নির্দিষ্ট অতিরিক্ত ফি জমা দিয়ে ‘প্রেফার্ড’ সিট নেন তিনি। সিট নম্বরগুলো ছিল ১৬ডি ও ১৭সি। ওই দুজনের যাত্রার তারিখ ছিল ১৯ জুলাই। তবে সেদিন বিমানবন্দওে গেলে কাতার এয়ারওয়েজের চেক-ইনের কর্মকর্তারা সিট দুটি দিতে অস্বীকৃতি জানান। পরে অন্য সিট নিয়ে ওই দুই বয়স্ক যাত্রী কানাডা যান। এই ঘটনার পরেই কাতার এয়ারওয়েজের বিরুদ্ধে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরে অভিযোগ করেন ডাঃ মৃণাল কুমার। অভিযোগের ভিত্তিতে দুই পক্ষকে ডাকা হয় অধিদফতরে। শুনানি শেষে কাতার এয়ারওয়েজের বিরুদ্ধে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের অভিযোগটি প্রমাণিত হয়। তাই ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ এর ৪৫ ধারা অনুযায়ী তাদের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। রায় ঘোষণার দিন ১১ জানুয়ারি থেকে পরবর্তী পাঁচ কার্য দিবসের মধ্যে টাকা পরিশোধের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। জরিমানার ২৫ ভাগ অর্থ পাবেন অভিযোগকারী। জরিমানার বিষয়ে জানতে চাইলে কাতার এয়ারওয়েজের কেউ কথা বলতে রাজি হননি। শুনানিতে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষে উপস্থিত হয়েছিলেন কাতার এয়ারওয়েজের আইনজীবী। তিনি অধিদফতরকে জানান, ভোক্তাকে বরাদ্দ করা সিট দুটি বাতিল করা হয়েছিল। তবে কারিগরি ত্রুটির কারণে ভোক্তা সেই বরাদ্দ বাতিলের নোটিস, এসএমএস বা ই- মেল পাননি। এর আগেও ২০২০ সালের ২৫ ডিসেম্বর করোনা আক্রান্ত এক রোগীকে ঢাকায় আনার অপরাধে কাতার এয়ারওয়েজকে পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
×