ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

আজ দুপুরে বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যা মামলার রায়

প্রকাশিত: ১০:৪৯, ৮ ডিসেম্বর ২০২১

আজ দুপুরে বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যা মামলার রায়

অনলাইন ডেস্ক ॥ আজ বুধবার (৮ডিসেম্বর) দুপুরে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্বিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা মামলার রায় ঘোষণা হবে । ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামানের আদালতে রায় ঘোষণা করবেন বলে জানা গেছে। দুপুর ১২টার দিকে বিচারক এই মামলার রায় ঘোষণা করবেন বলে জানিয়েছেন আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আবু আব্দুল্লাহ ভূঁয়া । রাষ্ট্রপক্ষের এই আইনজীবী বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে দীর্ঘ সময় আদালত বন্ধ থাকার পরও এই মামলাটি দ্রুত সময়ের মধ্যে শেষ হয়েছে। মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে চার্জশিটভুক্ত ৬০ জন সাক্ষীর ৪৬ জন আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। দ্রুততার সঙ্গে মামলাটি শেষ করতে চেষ্টা করেছি। এখন আশা করছি, রায়ে আসামিদের সর্বোচ্চ সাজাই হবে। অপরদিকে আসামিপক্ষের অন্যতম আইনজীবী ফারুক আহাম্মদ বলেন, আমরাও চাই আবরার হত্যার ঘটনায় ন্যায়বিচার হোক। শুধু একটি সিসিটিভি ফুটেজের ওপর ভিত্তি করেই এই মামলায় অনেককে জড়ানো হয়েছে। আশা করছি, আসামিরাও ন্যায়বিচার পাবে। ১৪ নভেম্বর এই মামলায় রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করে। ওইদিনই বিচারক রায়ের জন্য ২৮ নবেম্বর দিন ধার্য করেন। তবে, রায় প্রস্তুত না হওয়ায় বিচারক সেদিন রায়ের তারিখ পিছিয়ে ৮ ডিসেম্বর ধার্য করেন। ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরে-বাংলা হলে আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে পরের দিন ৭ অক্টোবর চকবাজার থানায় একটি হত্যা মামলা করেন আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ। ওই বছরের ১৩ নবেম্বর ২৫ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক ওয়াহেদুজ্জামান। আর রাষ্ট্রপক্ষে সাক্ষী করা হয় ৬০ জনকে। চার্জশিট দাখিলের পর ২০২০ সালের ১৫ মার্চ মামলাটি দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এ স্থানান্তরের আদেশ দিয়ে গেজেট প্রকাশ করে আইন মন্ত্রণালয়। একই বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর মামলাটি চার্জগঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান। করোনা পরিস্থিতির কারণে বিচারকাজে বিঘ্ন ঘটে। শেষ পর্যন্ত বিচার শুরুর এক বছর দুই মাসের মধ্যে পুরো কার্যক্রম শেষে গত ১৪ নবেম্বর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্কের মাধ্যমে বিচারকাজ শেষ হয়। বিচার চলাকালে মামলার বাদী আবরারের বাবা বরকত উল্লাহসহ মোট ৪৬ সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দেন। এই মামলার তদন্ত চলাকালে অভিযুক্ত ২৫ আসামির মধ্যে ২১ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। মোর্শেদ অমত্য ইসলাম নামে পলাতক এক আসামি পরে আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। আদালত জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠান। তাই এখন পলাতক রয়েছেন আর তিন আসামি।
×