ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

নগর ভবনে সংবর্ধনায় সিক্ত হলেন রাসিক মেয়র লিটন

প্রকাশিত: ২১:৪৩, ৪ ডিসেম্বর ২০২১

নগর ভবনে সংবর্ধনায় সিক্ত হলেন রাসিক মেয়র লিটন

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হওয়ায় রাজশাহী সিটি করপোরেশনের (রাসিক) মেয়র এএইচএম খামারুজ্জামান লিটনকে ব্যাপক সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে। শনিবার সকালে সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে বর্ণিল আয়োজনে নগর ভবনে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হওয়ার পর শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় নগর ভবনে আসেন সিটি মেয়র। এ সময় সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর ও কর্মকর্তারা রাসিক মেয়র লিটনকে আনুষ্ঠানিভাবে বরণ করে নেন। এরপর কাউন্সিলর, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের পক্ষ থেকে পৃথক পৃথকভাবে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। নগর ভবনের প্রধান ফটকে ফুলেল শুভেচ্ছা জ্ঞাপনের পর গান আর নৃত্যের তালে তালে নগর ভবনের ভেতরে নিয়ে যাওয়া হয় মেয়রকে। এরপর মেয়র দফতর কক্ষে সিটি কর্পোরেশনের সকল বিভাগ ও শাখার কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত হন রাসিক মেয়র খায়রুজ্জামান লিটন। সচিবালয় বিভাগ, প্রকৌশল বিভাগ, স্বাস্থ্য বিভাগ, রাজস্ব বিভাগ, হিসাব বিভাগ, পরিচ্ছন্ন বিভাগ ও সকল শাখার কর্মকর্তা-কমচারীরা পৃথক পৃথকভাবে সিটি মেয়রকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। এরপর সেখানে এক সংক্ষিপ্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের নেতা ও সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন বলেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ট বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। উপমহাদেশের অন্যতম প্রাচীন ও বৃহত্তম দল। দলটি শাখা প্রশাখা বিস্তার করে সারাদেশে আনাছে কানাছে ছড়িয়ে পড়েছে। স্বাধীন একটি দেশ উপহার দিতে জাতির পিতা দলটি তিলে তিলে গড়ে তুলেছিলেন, তাঁরই কন্যা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতে আজকে আরো শাখা-প্রশাখা বিস্তার করে পুরো দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। হয়তো উত্তরাঞ্চলের নেতৃত্বের শূণ্যতা পূরণ করায় জন্য প্রধানমন্ত্রী আমাকে সভাপতিম-লীর সদস্য মনোনীত করেছেন। এসময় তিনি প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।ৎ লিটন বলেন, আমার পিতা শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শীর্ষ দুটি পদে ছিলেন। স্বাধীনতার পূর্বে নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। স্বাধীনতার পরে ১৯৭৪ সালে তাঁকে আওয়ামী লীগের সভাপতি করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আমার পিতা শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান অনেক উপরে যেতে পেরেছিলেন। তিনি তাঁর মেধা, যোগ্যতা, প্রজ্ঞা, দেশপ্রেম ও ভালোবাসা দিয়ে পুরো উত্তরাঞ্চসহ দেশের অনেক জায়গার মানুষের অন্তরে স্থান করে নিয়েছিলেন। মেয়র আরো বলেন, রাজশাহী মহানগরীর ব্যাপক উন্নয়ন কাজ চলমান আছে। প্রায় তিন হাজার কোটি টাকার সমন্বিত নগর অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে এক হাজার কোটি টাকার কাজের টেন্ডার সম্পন্ন হয়েছে। আরো অনেক কাজ বাকি আছে, সেগুলো করতে হবে। আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য হওয়ায় রাজশাহীসহ উত্তরাঞ্চলের মানুষের কল্যানে আরো বেশি করে কাজ করার সুযোগ হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করেন। এদিকে নগর ভবনে দিনভর বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষের ফুলেল শুভেচ্ছা আর অভিনন্দনে সিক্ত হন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও সিটি মেয়র এ.এইচ.এম খায়রুজ্জামান লিটন।
×