ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

প্রধান আসামির সহযোগী গ্রেফতার

হত্যা মিশনে ব্যবহৃত গুলি-অস্ত্র উদ্ধার

প্রকাশিত: ২৩:২৯, ২ ডিসেম্বর ২০২১

হত্যা মিশনে ব্যবহৃত গুলি-অস্ত্র উদ্ধার

নিজস্ব সংবাদদাতা, কুমিল্লা ॥ কুমিল্লা সিটি কাউন্সিলর সৈয়দ মোঃ সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহাকে গুলি করে নির্মম হত্যাকা-ে ব্যবহৃত দুইটি পিস্তলসহ অস্ত্র-গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এসব অস্ত্র -গুলি জমা রাখার দায়ে এ হত্যা মামলার পলাতক প্রধান আসামি শাহ আলমের বিশ্বস্ত সহযোগী শাখাওয়াত হোসেন প্রকাশ জুয়েলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মঙ্গলবার গভীর রাতে জেলা ডিবি পুলিশের ওসি সত্যজিৎ বড়ুয়া ও এস আই পরিমল চন্দ্র দাসের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল নাঙ্গলকোট উপজেলার গন্ধাছি গ্রামের চিহ্নিত সন্ত্রাসী শাখাওয়াত হোসেন প্রকাশ জুয়েলের নিজ বাসা থেকে এসব অস্ত্র উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে একটি ৭.৬৫ বিদেশী পিস্তল, একটি বিদেশী রিভলবার, দুইটি পিস্তলের ম্যাগজিন, তিন রাউন্ড পিস্তলের গুলি। বুধবার দুপুরে কুমিল্লা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম তানভীর আহমেদ। সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, কাউন্সিলরসহ দুই হত্যা মামলার এজাহারনামীয় প্রধান আসামি শাহ আলমসহ সন্ত্রাসীরা ওই দিন হত্যাকা-ে ব্যবহৃত অস্ত্রগুলো আসামি শাহ আলম তার দীর্ঘদিনের সহযোগী নাঙ্গলকোট থানার দেলোয়ার হোসেন মজুমদারের ছেলে শাখাওয়াত হোসেন প্রকাশ জুয়েলের নিকট জমা রাখে। পুলিশ জানায়, জুয়েল এর আগে অস্ত্রসহ বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার হয়ে কারাগারে বন্দী থাকা অবস্থায় শাহ আলমের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে এর সূত্র ধরে কাউন্সিলর সোহেল ও হরিপদ সাহা হত্যাকা-ের পরদিন ২৩ নবেম্বর রাতের বেলা শাহ আলম অস্ত্রগুলো নিয়ে নাঙ্গলকোটে জুয়েলের বাড়িতে যায়। জুয়েলের নিকট অস্ত্রগুলো জমা দিয়ে নিরাপদে রাখতে বলে রাতযাপন শেষে পরদিন শাহ আলম জুয়েলের বাড়ি থেকে অন্যত্র চলে যায়। অস্ত্রসহ গ্রেফতার শাখাওয়াত হোসেন প্রকাশ জুয়েল ও শাহ আলমের বিরুদ্ধে বুধবার পুলিশ বাদী হয়ে নাঙ্গলকোট থানায় অস্ত্র আইনে মামলা রুজু করেছে। এ জোড়া খুনের ঘটনার পর এর আগেও গত ২৩ নবেম্বর রাতে নগরীর সংরাইশ বড়পুকুর পাড় এলাকা থেকে দুটি এলজি, একটি পাইপগান, ৪৮ টি অবিস্ফোরিত হাত বোমা, তিনটি কালো ব্যাগ, দুটি কালো জামা ও ১২ রাউন্ড তাজা বুলেট উদ্ধার করা হয়েছে। কাউন্সিলর সোহেলকে যেখানে হত্যা করা হয় তার নিকটবর্তী এলাকার একটি বাড়ির সীমানা থেকে এসব উদ্ধার করা হয়। পুলিশের ধারণা এসব অস্ত্র - গোলাবারুদ ও কাউন্সিলরসহ দুই হত্যাকা-ে ব্যবহৃত হয়ে থাকতে পারে। পরে ওই ৪৮টি হাত বোমা ঢাকা থেকে আসা বোম ডিস্পোজাল ইউনিটের সদস্যরা গোমতী নদীর পাড়ে নিয়ে ধ্বংস করে। উল্লেখ্য, এর আগে গত ২২ নবেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কালো পোশাকে মুখোশপরা অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা নগরীর পাথুরিয়াপাড়া এলাকায় কাউন্সিলর সৈয়দ মোঃ সোহেলের থ্রি-স্টার এন্টারপ্রাইজের কার্যালয়ে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি করে। এ ঘটনায় কাউন্সিলর সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহা গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান।
×