ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

‘পাকিস্তানী জঙ্গীবাদ মোকাবেলায় ঢাকা-দিল্লীকে একযোগে কাজ করতে হবে’

প্রকাশিত: ০১:৪২, ২৭ নভেম্বর ২০২১

‘পাকিস্তানী জঙ্গীবাদ মোকাবেলায় ঢাকা-দিল্লীকে একযোগে কাজ করতে হবে’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোতে জঙ্গীবাদ বিস্তারে পাকিস্তান নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এই দেশটি জঙ্গীদের অর্থায়ন করছে। পাকিস্তান হচ্ছে বিশ্বের প্রধান সন্ত্রাস উৎপাদনকারী ও বিপণনকারী রাষ্ট্র। পাকিস্তানের মৌলবাদী সন্ত্রাস রফতানি নীতি সারা বিশ্বের নিরাপত্তার জন্য হুমকি। বিশেষ করে বাংলাদেশ ও ভারতে জঙ্গীবাদ ছড়িয়ে দেয়া তাদের অন্যতম লক্ষ্য। তাই পাকিস্তানী জঙ্গীবাদ মোকাবেলায় বাংলাদেশ ও ভারতকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি আয়েজিত ‘মুম্বাইয়ে সন্ত্রাসী হামলার ১৩তম বার্ষিকী’ উপলক্ষে আলোকচিত্র ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। শুক্রবার বিকেলে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালার ৬নং গ্যালারিতে এই প্রদর্শনী ও আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়। এ অনুষ্ঠানের সহ-আয়োজক ছিল বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী সমিতি। প্রদর্শনীর উদ্বোধন করে প্রধান অতিথি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ভারতের ওপর হামলা হোক, বা ভারতের কিছু হোক-এটা আমরা চাই না। তাদের ওপর যখন হামলা হয়, আমরা উৎকণ্ঠায় ছিলাম। পাকিস্তান সবসময় আমাদের নানাভাবে বিব্রত করার প্রচেষ্টা নিয়েছে। তিনি বলেন, আমরা সারাবিশ্বেই জঙ্গীবাদের উত্থান ও ধ্বংসলীলা দেখেছি। শুধু ভারত নয়, ইউরোপেও এমন হামলা হয়েছে। ২০০১ সালের পর আমাদের দেশে এটি প্রকট হয়ে উঠেছিল। বাংলা ভাই নামের জঙ্গী তখন প্রভাব বিস্তার করতে চাচ্ছিল। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বলেন, ২৬ নবেম্বরের হামলা আমাদের দুঃসহ স্মৃতি। তারা কমান্ডো স্টাইলে হামলা চালিয়েছিল। কাপুরুষের মতো তারা নিরীহ মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। আমরা বুঝতে পেরেছিলাম, এটা সাধারণ কোন হামলা নয়। তারা প্রশিক্ষিত ছিল বলে সবকিছু পরিকল্পনা করেই করেছে। আর সেসময় এমন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বাঙালীরা আমাদের অনুপ্রেরণা ছিল। এটা বলায় যায় যে, ১৯৭১ এবং ২০০৮ এর ঘটনা প্রায় একইরকম। বাংলাদেশ এবং ভারত একসঙ্গে সন্ত্রাসী ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে কাজ করে যাচ্ছে। আর এই পথচলা আরও দীর্ঘ হবে। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেজর জেনারেল আব্দুর রশীদ, সংসদ সদস্য আরমা দত্ত, শহীদ জয়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী এবং বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক প্রমুখ।
×