স্টাফ রিপোর্টার ॥ তরুণ নির্মাতা রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত পরিচালিত বহুল আলোচিত চলচ্চিত্র ‘নোনাজলের কাব্য‘ দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে আজ শুক্রবার। ঢাকার স্টার সিনেপ্লেক্সের সকল শাখাসহ শ্যামলী সিনেমা ও ব্লকবাস্টার মুভিজ, নারায়ণগঞ্জের সিনেমাস্কোপ, চট্টগ্রামের সিলভারস্ক্রিন ও সুগন্ধা সিনেমা এবং বগুড়ার মধুবন প্রেক্ষাগৃহে ছবিটি প্রদর্শিত হবে।
সংবাদিকদের জন্য ছবিটির বিশেষ প্রদর্শনী হয় বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভে বৃহস্পতিবার বিকেলে। এতে উপস্থিত ছিলেন ছবির পরিচালক রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত, অভিনেতা তাসনোভা তামান্না ও অন্যান্য কলাকুশলীরা। এরপর রাতে স্টার সিনেপ্লেক্সের এসকেএস টাওয়ার শাখায় ছবিটির গালা প্রিমিয়ার হয়। অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন সংসদ সদস্য অভিনেতা আসাদুজ্জামান নূর, অভিনেতা আলমগীর, সাহিত্যিক সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম, তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমসহ ছবির কলাকুশলীরা। অনুষ্ঠানে ছবির পরিচালক রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত আবেগপ্রবণ কণ্ঠে বলেন, ‘নোনা জলের কাব্য’ আমার সত্তার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ এবং আমি নিজে এই ছবির নির্মাণের সঙ্গে সঙ্গে আরও পরিপক্ব হয়ে উঠেছি। বিদেশের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ছবিটি যথেষ্ট খ্যাতি অর্জন করেছে। সম্প্রতি আমরা পটুয়াখালী জেলার প্রত্যন্ত উপকূলীয় অঞ্চলে তিনটি প্রদর্শনীর আয়োজন করেছিলাম যার প্রত্যেকটি সফল হয়েছে। এটি জেলেদের নিয়ে নির্মিত ছবি। তাই প্রেক্ষাগৃহে প্রদর্শনের আগে তারাই এটি সবার আগে দেখেছে। নিজেদের জীবনের গল্পকে পর্দায় দেখে তারাও আমারই মতো আবেগাপ্লুত হয়ে পড়ে। আমি আশা করব বাংলাদেশের চলচ্চিত্র প্রেমীরা আমার প্রথম ছবিটি পছন্দ করবেন। তারা হলে গিয়ে ছবিটি দেখবেন। এই ছবির মাধ্যমে আমি শুধু জলবায়ু যোদ্ধাদের জীবনেই পরিবর্তন আনতে চাই না, বরং ধর্ম সংক্রান্ত সহিংসতা বন্ধের জন্যও ভূমিকা রাখতে চাই।
‘নোনা জলের কাব্য’ চলচ্চিত্রে মূল ভূমিকায় অভিনয় করেছেন ফজলুর রহমান বাবু, শতাব্দী ওয়াদুদ, তিতাস জিয়া, এবং তাসনোভা তামান্না। আবহ সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন অর্ণব। এই ছবির টাইটেল স্পন্সর ফ্রেশ এবং পরিবেশক স্টার সিনেপ্লেক্স।
লন্ডন, বুসান, গুটেনবার্গ, সাও পাওলো, তুরিন, সিয়াটেল, সিঙ্গাপুরসহ বেশ কিছু আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে দর্শক ও সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে ‘নোনাজলের কাব্য’। চলচ্চিত্র উৎসবের গ-ি পেরিয়ে ছবিটি পাড়ি জমিয়েছে জাতিসংঘের জলবায়ু সম্মেলনে। স্কটল্যাণ্ডের গাসগো শহরে অনুষ্ঠিত গুরুত্বপূর্ণ এই আসরে নবেম্বরের ৮ তারিখে আইম্যাক্স থিয়েটারে দেখানো হয়। এই সম্মেলনে পৃথিবীর প্রায় সকল দেশের রাষ্ট্র প্রধানরা অংশগ্রহণ করেন। অংশগ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়াও একই শহরে জাতিসংঘের সম্মেলনে অক্টোবরের ২৯ তারিখ দেখানো হয় ছবিটি। সুমিত বলেন, নির্মাণ করতে আজ থেকে তিন বছর আগে আমি গিয়েছিলাম পটুয়াখালীর প্রত্যন্ত এক জেলেপাড়ায়। খুবই দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে, উপকূলবর্তী সেই গ্রামটির এখন আর কোন অস্তিত্ব নেই।
