ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

নীলনক্সা লন্ডনে

প্রকাশিত: ২৩:০৯, ২৮ অক্টোবর ২০২১

নীলনক্সা লন্ডনে

জনকণ্ঠ রিপোর্ট ॥ দেশের বিভিন্নস্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের পূজাম-পে হামলা, ভাংচুর করে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা-হাঙ্গামা ছড়ানোর পেছনে বিএনপি, জামায়াত ও হেফাজতের নেতাকর্মীদের জড়িত থাকার বিষয়ে তদন্তে প্রমাণ পেয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। লন্ডনে বসে ষড়যন্ত্র করে মদদদান ও উস্কানি দিয়ে দেশের ভেতরে বিএনপি, জামায়াত ও হেফাজতের নেতাকর্মীদের মাঠে নামিয়েছেন লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির এক নেতা। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে দেশে অস্থিতিশীল ও অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য বেছে নেয়া হয়েছে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা-হাঙ্গামা। কুমিল্লা, নোয়াখালী, ফেনীসহ বিভিন্নস্থানে গ্রেফতারকৃতদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের দেয়া জবানবন্দীতে পেয়েছে বিএনপি, জামায়াত, হেফাজতের নেতাকর্মীদের নাম। কুমিল্লার নানুয়ার দীঘিরপাড়ের অস্থায়ী পূজাম-পে পবিত্র কোরান রাখার ঘটনায় ইকবাল হোসেনকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সিআইডির একজন কর্মকর্তা বলেছেন, কুমিল্লার নানুয়ার দীঘিরপাড়ের অস্থায়ী পূজাম-পে পবিত্র কোরান রাখার ঘটনায় মামলার তদন্ত করছে সিআইডি। ইকবালের পেছন থেকে কারা ইন্ধন জুগিয়েছেন, কক্সবাজার যেতে কারা পরামর্শ দিয়েছেন এবং সামাজিক মাধ্যমে বিষয়টি ভাইরালে কাদের হাত রয়েছে এসব বিষয় ভালভাবে খতিয়ে দেখছে তদন্তকারী সংস্থা। এ ঘটনায় ইকবালসহ বর্তমানে চারজনের সাতদিনের রিমান্ড চলছে। সিআইডি কুমিল্লার পুলিশ সুপার (এসপি) খান মোহাম্মদ রেজওয়ানের নেতৃত্বে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তাকে সহযোগিতা করছে সিআইডির একটি স্পেশাল টিম। জিজ্ঞাসাবাদে ইকবাল নতুন তথ্য দিয়েছেন বলে জানা গেছে। এ মামলায় আসামিরা হলেন প্রধান অভিযুক্ত ইকবাল হোসেন, ৯৯৯ নম্বরে পুলিশকে ফোন করা রেজাউল ইসলাম ইকরাম, দারোগা বাড়ি মাজার মসজিদের সহকারী খাদেম ফয়সাল ও হুমায়ুন কবির সানাউল্লাহ। সিআইডি কুমিল্লার পুলিশ সুপার খান মোহাম্মদ রেজওয়ান বলেছেন, গত ২৪ অক্টোবর রাতে পুলিশ সদর দফতরের নির্দেশে মামলাটি তদন্তের স্বার্থে সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়েছে। বর্তমানে এ মামলার সব ডকুমেন্ট আমাদের বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। মামলায় ৮০ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে। বিশেষ করে ইকবালের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের তথ্য আমাদের হাতে রয়েছে। তা যাচাই-বাচাই করে দেখা হচ্ছে। রিমান্ডে প্রতিদিনই আমরা নতুন নতুন তথ্য পাচ্ছি। সব তথ্য সমান গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে তদন্তের স্বার্থে সেসব তথ্য বলা যাচ্ছে না। মামলার গুরুত্বপূর্ণ আলামত হচ্ছে ম-প থেকে পুলিশের উদ্ধার করা হয়েছে। ওই আলামতের (কোরান শরিফে) ফিঙ্গারপ্রিন্ট থাকায় আমরা (সিআইডি) পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে এতে সুনির্দিষ্ট কারও ফিঙ্গারপ্রিন্ট পাইনি। তবে ইকবালের কাঁধে থাকা হনুমানের গদা উদ্ধারের পর ইকবালের ফিঙ্গারপ্রিন্ট পাওয়া গেছে। গত ২৩ অক্টোবর দুপুরে কুমিল্লার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিথিলা জাহান নিপার আদালতে ইকবালসহ চারজনকে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ। শুনানি শেষে আদালত তাদের প্রত্যেকের সাতদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তার আগে গত ২১ অক্টোবর রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত এলাকার সুগন্ধা পয়েন্ট থেকে ইকবালকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কুমিল্লা মহানগরের নানুয়ার দীঘিরপাড় পূজাম-পে পবিত্র কোরান পাওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত ১৩ অক্টোবর মন্দিরে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার কোতোয়ালি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হারুন অর রশীদ বাদী হয়ে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও কোরান অবমাননার অভিযোগে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের আসামি করে মামলা করেন। পূজাম-প ভাংচুরের ঘটনায় কুমিল্লার বিভিন্ন থানায় এ পর্যন্ত ১১টি মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে কোতোয়ালি মডেল থানায় সাতটি, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানায় দুটি এবং দাউদকান্দি ও দেবীদ্বার থানায় একটি করে মামলা হয়েছে। এসব মামলায় বুধবার পর্যন্ত মোট ৭৭ জনকে গ্রেফতার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কুমিল্লা পূজাম-পে হামলায় জড়িতদের সঙ্গে বিএনপির সম্পৃক্ততা ॥ কুমিল্লায় পূজাম-পে কোরান শরিফ রেখে হামলার ঘটনায় প্রাথমিকভাবে জড়িতদের সঙ্গে বিএনপির সম্পৃক্ততা মিলেছে তদন্তে। কোরান রাখা ইকবালের সহযোগী একরাম বিএনপির সক্রিয় কর্মী, তার সঙ্গে আছে খাদেম ফয়সাল। ফয়সালের সঙ্গে জড়িত হাফেজ হুমায়ুন জামায়াত কর্মী বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা। গত ১৩ অক্টোবর সকাল আনুমানিক সাড়ে ৯টা। নানুয়ার দীঘির মন্দিরে শুরু হয় প্রথম ভাংচুর। যার শুরু হনুমানের প্রতিমার কাছে কোরান শরিফ রাখা নিয়ে। এর আগেই সকাল সাতটায় ত্রিপল নাইনে ফোন দিয়ে ম-পে পুলিশকে ডেকে নিয়ে আসে যে, তার নাম একরাম। সেই প্রথম কোরান রাখার দৃশ্য দেখেছে বলে আগেই জানিয়েছিল। গদা হাতে হেঁটে যাওয়া ইকবাল, যে কিনা মন্দিরে কোরান রেখেছিল বলে প্রাথমিকভাবে বলা হচ্ছে, তার আশপাশেই ছিল একরাম। এখানেই শেষ নয়, এই ইকরামই পরদিন জনতাকে উত্তেজিত করে এবং সরাসরি অংশ নেয় ভাংচুরে। একাত্তর খুঁজে পেয়েছে সেই ছবি। কে এই একরাম অনুসন্ধান চলে সেই পথ ধরে। একরামের প্রকৃত নাম রেজাউল করিম একরাম। স্থানীয় সূত্র ও তার ফেসবুক প্রোফাইল বলছে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সে যুক্ত। তার ফেসবুকে পেজে প্রকাশিত বেশিরভাগ ছবিই বিএনপি নেত্রী খালেদার মুক্তি, তারেক রহমানের পোস্টার, সঙ্গে বিএনপির নানা কর্মসূচী। একরাম সবচেয়ে বেশি ঘনিষ্ঠ ইউসুফ মোল্লা টিপুর সঙ্গে, যিনি কুমিল্লা মহানগর যুবদলের বর্তমান সেক্রেটারি। যুবদলের আরেক নেতা মহিউদ্দিন, যার নামে মন্দির ভাংচুরের অভিযোগে মামলা হয়েছে। তবে এখনও পলাতক এই যুবদল নেতা। কিছুদিন আগেই যুবদল নেতা অসুস্থ আমির হোসেনকে দেখতে তার বাড়ি গিয়েছেন টিপু। সঙ্গে ছিল একরাম। শুধু যুবদল সেক্রেটারি নয়। একরামকে পাওয়া গেছে মেয়র মনিরুল হক সাক্কুর নির্বাচনী প্রচারেও। সামাজিক মাধ্যমেই কেবল নয় প্রকাশ্যে সেই প্রচারে একরাম ছিল মেয়রের পাশেই। খাদেম ফয়সাল এবং হাফেজ হুমায়ুন, যাদের দেখা গেছে মসজিদের বারান্দায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তারাই ইকবালকে সরবরাহ করেছেন কোরান শরীফ। সেই খাদেম ফয়সাল এবং একরামের বন্ধুত্ব পাওয়া গেছে ফেসবুকে। যে মসজিদ থেকে নেয়া হয় কোরান, ফয়সালের বাড়ি তার পাশেই। আর তার বাড়িটিই তিন মাস আগে ভাড়া নেয় খাদেম হুমায়ুন। তাকে ১০-১২ জন ছেলের সঙ্গে আলাপ করত দেখা গেছে ঘটনার দিন সকালেই। তাদের মধ্যে একজনের নাম রিফাত। মন্দির ভাংচুরের দিন আহত হয়েছে পুলিশের গুলিতে। আর ইকবাল পূজাম-পে কোরান রাখার রাতের বেলায় অন্তত তিনবার মাজার সংলগ্ন মসজিদটিতে গিয়ে খাদেমসহ দুই জনের সঙ্গে কথাবার্তা বলেছে এবং যাওয়া-আসা করেছে যার সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজ পেয়েছে তদন্তকারী সংস্থা পুলিশ। নোয়াখালীতে মাথায় ফিতা বেঁধে অংশগ্রহণ করেছিল হেফাজত ॥ নোয়াখালীতে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার সময় মাথায় ফিতা বেঁধে মাঠে নেমেছিল হেফাজতে ইসলামীর কর্মীরা। উস্কানিদাতা হিসেবে ছিলেন বিএনপির কয়েকজন নেতা। যাদের অন্যতম স্বেচ্ছাসেবক দলের সহসভাপতি ফয়সাল ইনাম কমল। ঘটনার দু’দিন আগেই নিজের ফেসবুক এ্যাকাউন্ট থেকে উস্কানিমূলক নানা বক্তব্য দেন তিনি। এছাড়াও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলুর জড়িত থাকার প্রমাণও পেয়েছে পুলিশ। ১৫ অক্টোবর শুক্রবার নোয়াখালীর সব দুর্গা প্রতিমা বিসর্জন হয় জুমার আগেই। কারণ হামলার আশঙ্কা করছিল পুলিশ। জুমার নামাজের পর চৌমুহনীর প্রায় সব মসজিদ থেকেই বের হয় মিছিল। মিছিলের সামনে দেখা যায় বিজিবি ও পুলিশকেও। মিছিলের ভেতর কয়েক জায়গায় জটলা বাধা দেখা যায় কয়েকজনকে। তাদের মাথায় ছিল হেফাজতে ইসলাম ২০২১ লেখা সাদা ফিতা। নিজের ফেসবুক এ্যাকাউন্টে মিছিলে নিজের অবস্থান জানান দিয়ে ছবি দিয়েছেন পল্লী চিকিৎসক শাহাদত হোসেন। ছিলেন গোলাম কিবরিয়া, হৃদয় সরদারসহ কজনকে দেখা যায়। যারা বিভিন্ন সময় হেফাজতের নানা কর্মসূচীতে অংশ নেন। গ্রেফতারকৃতদের জবানবন্দীতে বিএনপি নেতা বরকতউল্লাহ বুলুর নাম ॥ জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সভাপতি ফয়সাল ইনাম কমল হামলার আগের দিন ফেসবুকে বাম ও ধর্ম নিরপেক্ষ রাজনীতির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক দেন। আগের দিন কুমিল্লায় কোরান অবমাননার ঘটনার লাইভ শেয়ার দিয়েও একই কথা পোস্ট করেন তিনি। কমলকে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশ বলছে, ইনামসহ যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের তথ্যের ভিত্তিতে বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লাহ বুলুর এ ঘটনায় জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে। নোয়াখালীর সাম্প্রদায়িক হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৬টি মামলায় দুইশ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভিডিও ফুটেজ দেখে আসামিদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। নোয়াখালীতে সাম্প্রদায়িক হামলার তদন্তের ভার সিআইডিতে ॥ নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের চৌমুহনীতে মন্দির ভাংচুর ও হত্যাকা-ের ঘটনায় দায়ের করা তিন মামলার তদন্তের দায়িত্ব পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) দেয়া হয়েছে। গত ২৭ অক্টোবর সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা পুলিশ সুপার মোঃ শহীদুল ইসলাম। চৌমুহনীর ইসকন মন্দিরে দুটি হত্যাকা-ের ঘটনায় দায়ের করা মামলা, কলেজ রোডের তিনটি মন্দির ভাংচুরের মামলা ও ব্যাংক রোডের দুটি মন্দির ভাংচুরের ঘটনায় দায়ের করা মামলা তদন্ত করবে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ। মন্দির ভাংচুর ও সহিংসতার ঘটনায় দায়ের করা ২৬ মামলায় ২০১ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে ৯০ জন এজাহারভুক্ত এবং ১১১ জন সন্দেহভাজন আসামি। তাদের মধ্যে ছয়জন ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী দিয়েছেন। নোয়াখালীতে সাম্প্রদায়িক সহিংসতায় ঘটনায় ২৬টি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে বেগমগঞ্জে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়েরসহ ১১টি মামলায় ২০১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং ১৬৪ ধারায় ছয় জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছেন। লন্ডনে বসে পরিকল্পনা ॥ তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, দেশে সাম্প্রদায়িক হামলার পরিকল্পনা হয়েছে লন্ডনে বসে। এ কথা বলেছেন তিনি বলেছেন, যারা এ কাজ করেছে তারা প্রকৃত মুসলমান নয়। গত ২৬ অক্টোবর রাজশাহী সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেছেন মন্ত্রী। তথ্যমন্ত্রী বলেন, মূর্তির কাছে কোরান রেখে সারাদেশে নাশকতা সৃষ্টি করা হয়েছে। যে রেখেছে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কিন্তু আসলে তো সে রাখেনি। সে শুধু কারো ফরমায়েশ পালন করেছে। যাদের কথায় রেখেছে, তাদের শীঘ্রই শাস্তির আওতায় আনা হবে। তিনি আরও বলেন, সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে রাজনীতি কারা করে এই দেশে? সাম্প্রদায়িকতা নিয়ে রাজনীতি করে বিএনপি-জামায়াত, ধর্মান্ধ-উগ্রবাদীরা। বাংলাদেশের কোন সম্প্রদায়ের লোক অপরের ধর্মগ্রন্থ অবমাননা করার মানসিকতা পোষণ করে না। সারাদেশে ১০২ মামলায় গ্রেফতার ৭ শতাধিক ॥ পুলিশ সদর দফতর সূত্রে জানা গেছে, সারাদেশের সাম্প্রদায়িক সহিংসতার ঘটনায় ১০২টি মামলা হয়েছে। এসব মামলায় গ্রেফতার হয়েছে ৭ শতাধিক। মামলার আসামির সংখ্যা ২৫ সহস্রাধিক। গ্রেফতারের জন্য অভিযান পরিচালনা করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বাংলাদেশের এ পদক্ষেপকে বহির্বিশ্ব থেকেও প্রশংসা করা হয়েছে বলে সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
×